ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কোনো মুসলমানের অগোচরে তার এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করা, যা শুনলে সে তা অপছন্দ করবে।তবে যদি কারো সম্বন্ধে এমন কোনো আলোচনা হয়,যা তার মান-মর্যাদাকে কমাবে না এবং যা কারো মন্দ আলোচনাও হবে না।এমন আলোচনা গীবতের আওতাধীন হবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1715
হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ النَّاسُ وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ ).
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে।আস-(সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০) এই হাদীসের সনদে কালাম থাকার ধরুণ মুহাদ্দিসিনে কেরাম এটা যঈফ হাদীস বলে বিবেচনা করেছেন।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার নিমিত্তে তার রোগ নিয়ে আলোচনা করা, কারো কাছে বলা অবশ্যই গীবতের অন্তর্ভুক্ত। তবে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা উদ্দেশ্য না হলে, বরং সহানুভূতির নিয়তে অবশ্যই তার রোগ অন্যর কাছে বলা যাবে।
কেউ কারো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, বিশেষ করে বিয়ে শাদীর মুহূর্তে কারো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তখন বাস্তবতা বলে দেয়াই উচিৎ। এই বাস্তবতা বলার কারণে গীবত হবে না।