আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in সালাত(Prayer) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম

১.ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে ( বুখারী ২৪৮, মুসলিম ৪৭৪) নং হাদীসগুলোতে অযুর পর শরীরের আগে মাথায় পানি দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কাধের কথা উল্লেখই নেই, তাও কেনো আমাদের কাধে আগে পানি দিতে বলা হয়?
২. চা, কফি পানের ইত্যাদি পানীয় পর কোনো মাসনূন দোয়া আছে কি?
৩. আমাদের মসজিদের ইমাম প্রতি জুমাবারই ফজরের সালাতে সূরা সাজদা তিলাওয়াত করেন। একদিন খেয়াল করলমা উনি সিজদার আয়াতটিতে (১৫ নং) তাকবিরুন এর পরিবর্তে তাগফিরুন পড়েছেন। আমি হাফেজও নই, সূরা সাজদার তেলাওয়াত আমি তখন শিখছিলাম, ঠোটস্থ হয়নি। তাই সঠিক শুনেছি নাকি ভুল সেটা ভেবে লোকমা না দিয়ে সালাত শেষ করি। সালাত শেষে ইমাম সাহেবকে জিজ্ঞেস করি,

-আপনি কি তাকবিরুন পড়েছেন নাকি তাগফিরুন?

-তাগফিরুন

-ওটা তো তাকবিরুন হবে

কুরআন চেক করে বললেন,

-ও, কাফ হবে। তাইনা?

-জ্বী

-আচ্ছা।

এখন ইমাম সাহেব ভুল করেছেন শিউর হলাম। কিন্তু ভুল ধরিয়ে দেয়ার পরও উনি সালাত আদায় হয়েছে কি হয়নি কিছু না বলায় আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করবো। তখন নিজে নিজে আবার ফরজ পড়ে নিই।

এখানে প্রথমবার কি সালাত আদায় হয়েছে? আমি লোকমা না দেয়ায় কি ভুল করেছি?
৪. ইমাম সূরা দূহা তেলাওয়াতকালে এক আয়াত বাদ দিয়ে অন্য আয়াতে চলে যান। আমি কাতারে দূরে থাকায় এবং সাথে সাথে বুঝতে না পারায় ইমাম ততক্ষণে রুকুতে চলে যায়। লোকমা দেয়া হয়নি। পরবর্তীতে উপস্থিতদের মধ্যে জ্ঞানী দুই ভাইকে আলাদাভাবে জিজ্ঞেস করায় দুইজনই বললো বড় আয়াত পরিমাণ/ প্রথম তিন আয়াত ঠিকভাবে পড়ায় এবং অর্থ না পাল্টানোয় সমস্যা হয়নি। সালাত আদায় হয়ে গিয়েছে। এখানে বিধান কি?
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ে হল মসজিদে মুয়াজ্জিন নিয়েজিত থাকলেও আমাদের কোনো ইমাম নিয়োগ করা নেই। মাঝেমধ্যে ইমাম না আসলে ও দুয়েকজন হাফেজ ভাইয়েরা উপস্থিত না থাকলে অন্যান্যদের মধ্যে যারা অধিক যোগ্য তারা ইমামতি করেন। মাঝেমধ্যে তাদেরও বিভিন্ন ভুল হয়। এমনকি একদিন আমাকেও ইমামতি করতে হয়েছে।

জামআতে সালাতের ক্ষেত্রে মুক্তাদি ও ইমামের প্রয়োজনীয় বিধানাবলি কিভাবে জানবো?

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
গোসলের সুন্নাত ১২ টি।
(১)বিসমিল্লাহ পড়ে শুরু করা।
(২)নিয়্যাত করা।
(৩)দুনু হাত কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
(৪)নাপাক যদি শরীরের কোথাও লেগে থাকে, তা ধৌত করা।
(৫)লজ্জাস্থান ধৌত করা।
(৬)এরপর গোসলকারী ব্যক্তি নামাযের ওজুর মত ওজু করবে,
(৭)অতঃপর শরীরে তিনবার পানি ঢেলে দিবে।
যদি কেহ বহমান পানিতে অথবা এ পরিমাণ পানিতে ডুব দেয়,যা বিধানের ক্ষেত্রে বহমান পানির তুল্য,এবং কিুছুক্ষণ তাতে অবস্থান করে নেয়, তবে সে গোসলের সমস্ত সুন্নাত আদায়কারী বলে গণ্য হবে।
(৮)মাথা থেকে পানি ঢালতে শুরু করবে।
(৯)তারপর ডান কাঁধ ধুবে। 
(১০)অতঃপর বাম কাঁধ ধুবে। 
(১১)ধোয়ার সময় শরীর মলে ধুবে।
(১২)শরীরের এক অঙ্গ অপর অঙ্গের অব্যবহিতের পরে ধুবে।

গোসলের মুস্তাহাব,ওজুর মুস্তাহাব বা আদাবের মত। তবে পার্থক্য এতটুকু যে,গোসলের সময় কেবলা মুখী হবে না।কেননা এতে অনেক সময় সতর খুলে যাওয়ার আশংকা থাকে।ওজুর মধ্যে যেগুলা মাকরুহ গোসলে মধ্যেও সেগুলা মাকরুহ। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/229

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাথা থেকে গোসল শুরু করা সুন্নত।

(২)
সাধারণ খাবারের পর যে দু'আ পড়া হয়, সেটাই চা কফি পান করার পর পড়তে হবে।

(৩)
৩২ নং সূরা সেজদার ১৫ নং আয়াত এটি। এখানে তো তাকরিরুন শব্দ
إِنَّمَا يُؤْمِنُ بِـَٔايَٰتِنَا ٱلَّذِينَ إِذَا ذُكِّرُواْ بِهَا خَرُّواْ سُجَّدًا وَسَبَّحُواْ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُونَ ۩
কেবল তারাই আমার আয়াতের প্রতি বাক্য আনে, যাদের আয়াত উপদেশ প্রাপ্ত হয়েছে সে দায় দ্বারা লুট পড়ে এবং অহংকার মুক্ত হয়ে তাদের পালনকর্তা সপ্রশংসতা বর্ণনা করে।(সেজদা-১৫)

এখানে
লা- ইয়াসতাকবিরুন, এর স্থলে যদি কেউ লা- ইয়াসতাগফিরুন পড়ে নেয়, তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। কেননা এখানে আয়াতের অর্থ বদলে গেছে।

(৪) নামাযে ঝোট তিন আয়াত বা বড় এক আয়াত সমপরিমাণ পড়ে নিলে, নামায হয়ে যায়। যেহেতু এখানে ইমাম সাহেব, তিন আয়াত সমপরিমাণ পড়ে নিয়েছেন, তাই নামায আদায় হয়ে গেছে।

নামাযের ১২ হাজারের উপরে মাস'আলা রয়েছে। আপাতত ফরয ওয়াজিব গুলো জেনে নিতে পারাটাই যথেষ্ট। এ জন্য মালাবুদ্দা মিনহু, নুরুল ইযাহ ইত্যাতভ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...