আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
210 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
আমার মাসিক হওয়া না হওয়া নিয়ে খুব ভয় হতো তাই আমি প্রতি মাসে হয়েজের  সময় আসলেও যখন দেখতাম হয়েজ হয়না তখন আমি পস্রাব করার সময় মাসিকের রাস্তায় আঙ্গুল দিতে খুচা দিয়ে দেখতাম ভিতরে রক্ত আছে কিনা সেটা দেখার জন্য। শুধু আঙ্গুল দিলে রক্ত না দেখলে খুচা দিতেই থাকতাম তখনো রক্ত না দেখলে ভাবতাম পরে হবে মাসিক। আমি তখন নামাজ ও বেশি পড়তামনা।আর রক্ত দেখে ফেললে নামায পড়তাম কিনা মনে নাই খুব সম্বভত নামাজ পড়তাম না। আর রক্ত দেখতাম হাই কমড এর বসার সিট তো সাদা ভিতর থেকে খুঁচিয়ে আঙ্গুল এনে সেই  সাদা সিটের ওপর রাখতাম তারপর সেখানে আমার আঙ্গুল রেখে দেখতাম পানিটা লালচে কিনা বা টিস্যুতে হাত মুছে দেখতাম । লালচে দেখলে ভাবতাম হয়েজ হবে সামনে। তারপর ২ ৩ দিন পরে হয়েজ হয়ে যেতো। হয়েজ হওয়ার আগে পর্যন্ত নামাজ পড়তাম কিনা মনে নাই। কোনো ইদ্দত করতেসে নারী যদি এভাবে ভিতরে আঙ্গুল দিয়ে রক্ত বের করে তার ২ ৪ পর মাসিক হয় তাহলেকি মাসে ২ বার হয়েজ হয়েছে ধরা হবে???এরকম হলেতো মাসে আমার ৩ ৫ বার হয়েজ হয়ে যাবে। কারণ আমি হয়েজ হওয়ার আগে পর্যন্ত খুঁচিয়ে দেখতেই থাকতাম। আমি অনেক সময় আগেরদিন খুঁচিয়ে লালচে পানি দেখলে পরেরদিন মাসিক না হলে আবারো খুঁচিয়ে দেখতাম।তাহলেকি আমার মাসে  কোকেবারে হয়েজ হয়ে ইদ্দত শেষ হয়ে গেছে???

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
মাসে কয়েকবার হায়েজ হয়ে ইদ্দত শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
কেননা যত কিছুই হোক,দুই হায়েজের মাঝে কমপক্ষে পনেরো দিন পবিত্রতা ধরতেই হবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আঙ্গুল প্রবেশ করানোর ফলে যাহা দেখেছেন,সেটিকে হায়েজ বলার সুযোগ নেই।

হায়েজ যাহা আপনা আপনি নির্গত হয়ে বাহিরে আসবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 404 views
...