আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in সাওম (Fasting) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম,
অনিয়মিত মাসিক হয়।মাসের প্রায় বেশিরভাগ দিনই রক্ত আসে।এই সমস্যা প্রায় চার বছর ধরে।অনেক চিকিৎসা করানো হচ্ছে সুস্থ হচ্ছেনা।বড় জোড় এক দুইমাস ভালো থাকে।এরপর আবার শুরু হয়ে যায়।
এ অবস্থায় কি সিয়াম রাখা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি লক্ষ্য করবেন যে এক হায়েজ শেষ হওয়ার কতদিন পর আবার আপনার রক্ত আসছে?
এক হায়েজ শেষ হওয়ার পনেরো দিন বা তার চেয়ে বেশি দিন পর যদি রক্ত আসে,এবং তাহা যদি তিন দিন তিন রাত অতিক্রম করে,তাহলে সেটিকে হায়েজ হিসেবেই ধরতে হবে।
নামাজ আদায় করতে হবেনা।
রোযা আদায় না করে পরবর্তীতে কাজা আদায় করতে হবে। 
এক হায়েজ শেষ হওয়ার পনেরো দিনের আগেই যদি রক্ত আসে, তাহলে সেটিকে ইস্তেহাজা হিসেবে ধরতে হবে।
এক্ষেত্রে নামাজ আদায় করতে হবে।
রোযা রাখতে হবে।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অনবরত হায়েজ আসতেই থাকলে আপনি মাসের ১ম ১০ 
দিন হায়েজ হিসেবে ধরবেন,এই দশ দিনে রোযা রাখবেননা,পরবর্তীতে কাজা আদায় করে নিবেন।
এরপর ১৫ দিন রোযা রাখবেন,এরপর ১০ দিন রোযা হায়েজ ধরবেন।
এভাবেই চলতে থাকবে।
আর যদি কোনো সময় তিন দিনের কম হায়েজ আসে,তাহলে সেটিকে হায়েজ ধরার সুযোগ নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...