আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
239 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (25 points)
আমি আমার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী, আমি পাচ মাসের গর্ভবতী। এমতাবস্থায় স্বামীর প্রথম স্ত্রীর সন্তান কে ও দেখভাল করতে হয় যা কষ্টসাধ্য।

কিন্তু আমার স্বামীকে কিছু বলার আগেই তিনি বলেছেন তাকে কোলে রাখা আমার জন্য ফরজ।

এখন আমি তা করি।

দেখা যায় আমার স্বলাত এর দেড়ি হয় আর অসুস্থতাজনিত কারণে মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগা স্বর্তেও তাকে বাধ্য হয়ে নিয়ে থাকি।যদিও আগে সাচ্ছন্দে বাচ্চার দিকে যথাযথ খেয়াল আমি রেখেছি।তবে এখন তা আমার ইচ্ছার বাহিরে।

বাচ্চাটিকে নিয়ে অনেক কিছু করতে হয় নয়তো সে কান্নাকাটি করতেই থাকে,যা আমার পক্ষে সম্ভব না এখন।

আমার কোনটা করা উচিৎ?
নিজের উপর জুলুম করে স্বামীর কথা শুনা নাকি আগে নিজের দিকে যত্ন নেওয়া?

1 Answer

0 votes
by (587,250 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)

মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১)আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না। এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ স্বামী দিবেন,এতে তার ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ স্বামী দিবে,তা তাদের স্ত্রীর জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1722

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্ত্রীর জন্য সন্তান লালন পালন করা ওয়াজিব নয়। এমনকি স্ত্রীর নিজ গর্ভের সন্তানের লালনপালনের দায়িত্বও স্বামীর। নিজ গর্ভের সন্তানকে দুধ পান করানোর দায়িত্বও স্বামীর। হ্যা,স্ত্রী নিজের দুধ পান করালে তখন স্ত্রী স্বামীর কাছে বিনিময় তলব করতে পারবে না। যেখানে নিজ সন্তানের লালনপালনের দায়িত্বও স্বামীর সেখানে সৎ সন্তানকে লালনপালন করা স্ত্রীর উপর ওয়াজিব হবে না। এমনকি স্বামীর আদেশ মান্য করাও স্ত্রীর উপর ওয়াজিব হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/430


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...