মানুষের হক বিষয়ে

Question

আমি একটা শিক্ষক এর কাছে প্রাইভেট পড়তাম.তার কোর্স  ফি থেকে আমি কিছু টাকা কম দিয়েছলাম.কারণ আমি শেষের দিক অল্প কিছুদিন কম পরে ছিলাম. ওই সময় আমি যা দিয়েছিলম তাই আমার কাছে ঠিক মনে হয়েছিল.স্যার ও কোনো টাকা চাইতো না.কিন্তু আজ ৪/৫ বছর পর বিষয় টা নিয়ে অনেক চিন্তিত আমি. এখন আমি এক শহরে থাকি স্যার আরেক শহরে থাকে.স্যার এর কলেজ ওয়েবসাইট থেকে স্যার এর ফোন নম্বর পেয়েছি . কিন্তু এই বিষয় টা বলা আমার কাছে লজ্জাজনক এবং ভয় পাই.

১.আমার একবার মনে হচ্ছে আমি যেহেতু সম্পুর্ণ পড়ি নাই তাই আমি যা দিয়েছি তাই ঠিক আছে আবার মনে হচ্ছে পড়ি বা না পড়ি স্যার এর সম্পুর্ণ টাকা দিয়া উচিত যেহেতু এখানে বান্দার হক.এখন আমার কি করা উচিত??

২.কোর্স ফি ছিলো ৫০০০ আমি দিয়েছিলাম ৪০০০ কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে ৩০০০ কিন্তু ৪০০০ এর পক্ষে আমার অত্যধিক মত এখন দিলে ১০০০ দেবো নাকি ২০০০ ??

৩.স্যার এর নম্বর যেহেতু ম্যানেজ করেছি কিন্তু লজ্জা ও ভয় কথা বলতে পারছি না. আর ওই নম্বরে বিকাশ নেই. এখন যদি আমি ওই নম্বরে নিয়মিত রিচার্জ করে দি তাইলে কি হবে??

৪.টাকা না দিয়া পর্যন্ত কি আমার কোনো ইবাদত কবুল হবে না??

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

حدثنا الحسن بن علي الخلال حدثنا أبو عامر العقدي حدثنا كثير بن عبد الله بن عمرو بن عوف المزني عن أبيه عن جده أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الصلح جائز بين المسلمين إلا صلحا حرم حلالا أو أحل حراما والمسلمون على شروطهم إلا شرطا حرم حلالا أو أحل حراما قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমানদের একে অপরের সাথে সন্ধি স্থাপন করা জায়িয। কিন্তু বৈধকে অবৈধ অথবা অবৈধকে বৈধ করার মত সন্ধি চুক্তি জায়িয নেই। মুসলমানগণ তাদের একে অপরের মধ্যে স্থিরকৃত শর্তাবলী মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু হালালকে হারাম অথবা হারামকে হালাল করার মত শর্ত বৈধ নয় (তা বাতিল বলে গণ্য হবে)।(জা'মে তিরমিযি-১৩৫২, পৃষ্টা-৪৮৭, সুনানু ইবনু মা'জাহ-২৩৫৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

যেহেতু স্যারের সাথে ৫হাজার টাকার চুক্তি ছিল, কিন্তু ৪হাজার টাকা উনি গ্রহণ করে নিয়েছেন, তাই এতে বুঝা যায় যে, এই ৪ হাজারের উপর উনার সন্তুষ্টি রয়েছে। কিন্তু বিষয়টা নিশ্চিত নয়, তাই আপনি এখন উনার ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করে নিবেন। উনি নিতে না চাইলে আর দেয়া লাগবে না।