জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
দারুল উলুম দেওবন্দ এর ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশিত 155923 নং ফতোয়াতে লেখা রয়েছে,কেহ যদি মনে মনে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে অন্যের সামনে বিষয়টি স্বীকার করে,সেক্ষেত্রে তালাক হবেনা।
এক্ষেত্রে বায়েন তালাকও হবেনা,রজয়ী তালাকও হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)
অপর এক হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মাতের ভুল , বিস্মৃতি ও বলপূর্বক যা করিয়ে নেয়া হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, ২০৪৩]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।
(০২)
যদি বায়ু নির্গত হয় তাহলে তালাক হবেনা।
(০৩)
স্ত্রী যদি আরও ঘটনা মা কে বলে তাহলেও তালাক হবেনা।
(০৪)
পরবর্তীতে সেসব শর্ত পাওয়া গেলেও তালাক হবেনা।
তবে আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে,মনের মধ্যে আসা তালাক সংক্রান্ত এহেন বাক্য আপনার স্ত্রীকে বলবেননা।
(০৫)
আপনি যেহেতু ইসলামী আকীদা বিশুদ্ধ রেখেই এগুলো করেছেন,সুতরাং আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে আপনাকে তওবা করতে হবে।
(০৬)
এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে আপনাকে তওবা করতে হবে।
(০৭)
আসলেই ঈমান চলে গিয়ে থাকলে আগের আমল বজায় থাকবেনা।