জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আযানের পূর্বে কেউ যদি প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য গুলি বলে,সেক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।
কিন্তু কেউ যদি এটিকে আবশ্যকীয় মনে করে বা দ্বীনের অংশ মনে করে পড়ে,সেক্ষেত্রে বিদআত হবে।
(০২)
https://www.ifatwa.info/228 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
হাদীসে এসেছে,রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ﺛَﻼَﺛَﺔٌ ﻻَ ﻳُﻜَﻠِّﻤُﻬُﻢُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻭَﻻَ ﻳَﻨْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﻳُﺰَﻛِّﻴﻬِﻢْ ﻭَﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ - ﺍﻟْﻤُﺴْﺒِﻞُ ( ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﺇﺯﺍﺭﻩ ) ﻭَﺍﻟْﻤَﻨَّﺎﻥُ [ ﻭﻓﻰ ﺭﻭﺍﻳﺔ : ﺍَﻟَّﺬِﻯْ ﻻَ ﻳُﻌْﻄِﻰْ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﺇِﻻَّ ﻣِﻨْﻪُ ] ﻭَﺍﻟْﻤُﻨَﻔِّﻖُ ﺳِﻠْﻌَﺘَﻪُ ﺑِﺎﻟْﺤَﻠِﻒِ ﺍﻟْﻜَﺎﺫِﺏِ –
তিন প্রকার লোকের সাথে আল্লাহ কেয়ামতের দিন কোনো কথা বলবেন না,এবং তাদের দিকে তাকাবেন মও না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
তারা হ’ল-
(১) টাখনুর নীচে কাপড় (অন্য বর্ণনায় লুঙ্গী) পরিধানকারী,
(২( খোঁটাদানকারী (অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে খোঁটা না দিয়ে কোন কিছু দান করে না)
(৩) মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়কারী।(মুসলিম ১০৬ মিশকাত ২৭৯৫)
প্রথমেই আমাদেরকে টাখনুর উপর এবং নিচ বুঝতে হবে।
টাখনু ঢেকে যাওয়া মূলত নিষেধ না।
বরং নিষেধ হল,ওপর থেকে কাপড় পরলে সেটি টাখনুর নিচে যেতে পারবে না।চায় সেট লুঙ্গি হোক, পাজামা হোক, প্যান্ট হোক।
উপরের হাদীসে আমরা লক্ষ্য করেছি,যেখানে বলা হয়েছে,
‘যেটা টাখনুর নিচে চলে যাবে, সেটা জাহান্নামে যাবে।’
মোজা তো নিচের দিক থেকে ওপরে পড়া হয়।সুতরাং এটি টাখনুর নিচে যায়নি।তাই টাখনুর নিচে কাপড় পরা হারাম বলে যে বিধান রয়েছে সেটা এক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হবে না।
আল্লাহর রাসুল নিজেও মোজা পরেছেন।
মোজা আমরা নিচের দিক থেকে ওপরের দিকে পড়ি, সুতরাং এই বিষয়টা আলাদা।
মূল কথা হচ্ছে,
কাপড় পরলে সেটি ওপরের দিক থেকে টাখনুর নিচের দিকে যেতে পারবে না।কেননা এটা অহংকারীদের আলামত।
(০৩)
কোনো শুকনো অপবিত্র স্থানে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়লে সেই নামাজ শুদ্ধ হবে।
(০৪)
এ সময়ে নামাজ পড়া উত্তম।
নামাজ আদায় করে তারপর কুরআন পড়বেন।
(০৫)
এটি ঠিক নয়।
মানুষের বানানো কথা,যাহা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
(০৬)
মুরগী সহ যেকোনো পশু জবাইয়ের সময় কিবলার দিকে পশুকে করা সুন্নাত।
যেহেতু বাংলাদেশীদের কিবলা পশ্চিম দিকে। তাই সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি হল, পশুকে দক্ষিণ দিকে মাথা ও উত্তর দিকে পা দিয়ে শোয়াবে।
(০৭)
ইমামের পেছনে নামাজ পড়লে মনে মনে "ইমামের পিছনে নামাজ পরছি" এমন নিয়ত তথা সংকল্প থাকতে হবে।
মুখে নিয়ত পড়তে হবে,এমন কোনো আবশ্যকীয়তা নেই।
মুখে নিয়ত করাকে জরুরী মনে করলে বিদআত হবে।
(০৮)
এক্ষেত্রে ইমাম সাহেব মনে মনে ঈমামতির নিয়ত করবে।
অর্থাৎ মনে মনে সংকল্প করবে যে আমি ঈমামতি করছি।