بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
স্বপ্ন ও তার
ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেছেন :
الرؤيا
ثلاث : حديث النفس ، وتخويف الشيطان ، وبشرى من الله . (رواه البخاري في التعبير)
স্বপ্ন তিন
ধরনের হয়ে থাকে। মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা। শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আল্লাহ
তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : বুখারি)
হযরত আবু রাযিন
আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন নবী কারীম সাঃ বলেছেন
، عَنْ
أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ
النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا
تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ».
মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ
তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না
কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে)
তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়। (তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/37196
**ইস্তেখারা
অর্থ হল, ভালোকে তালাশ করা। অর্থাৎ যখন কারো সামনে দু’টি রাস্তা থাকে,
সে জানেনা কোন রাস্তাটি তার জন্য মঙ্গলজনক,
তাহলে এমতাবস্থায় সে ইস্তেখারা করে
একটি রাস্তাকে নির্দিষ্ট করবে। সুতরাং কারো অসুখ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে কি না?
সেটা জানার জন্য ইস্তেখারা করার কোনো
নিয়ম নাই। হ্যা এ বিষয়ে আল্লাহর মদদ ও সাহায্য কামনার স্বার্থে ইস্তেখারা করা যেতে
পারে।
যেমন হযরত
জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ
جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ
اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي
الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ:
" إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ
الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ:
তিনি বলেন,
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্ শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের
শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত
সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ
اللَّهُمَّ
إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ
مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ
أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلَّامُ الغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ
هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ
قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي، ثُمَّ
بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي
دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي
وَآجِلِهِ - فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِي الخَيْرَ
حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي " قَالَ: «وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ»
ভাবার্থঃ‘‘প্রভু
হে! আমি তোমার জ্ঞানের ওয়াসিলাহ্তে তোমার অনুমতি কামনা করছি;
তোমার কুদরতের ওয়াসিলায় শক্তি চাচ্ছি
আর তোমার অপার করুণা ভিক্ষা করছি। কারণ তুমিই সর্বশক্তিমান আর আমি দুর্বল। তুমিই জ্ঞানী
আর আমি অজ্ঞ এবং তুমিই সর্বজ্ঞ। প্রভু হে! তুমি যদি মনে কর যে, এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়,
ইহকালে ও পরকালে সত্বর কিংবা বিলম্বে
আমার পক্ষে মঙ্গলজনক হবে তা হলে আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দাও এবং তার প্রাপ্তি আমার
জন্য সহজতর করে দাও। অতঃপর তুমি তাতে বারাকাত দাও। আর যদি তুমি মনে কর এই জিনিসটি আমার
দ্বীন ও দুনিয়ায় ইহকালে ও পরকালে আমার জন্য ক্ষতিকর হবে শীঘ্র কিংবা বিলম্বে তাহলে
তুমি তাকে আমা হতে দূর করে দাও এবং আমাকে তা হতে দূরে রাখো;
অতঃপর তুমি আমার জন্য যা মঙ্গলজনক
তা ব্যবস্থা কর- সেটা যেখান থেকেই হোক না কেন এবং আমাকে তার প্রতি সন্তুষ্টচিত্ত করে
তোল।’’তিনি ইরশাদ করেন هَذَا
الْأَمْرَ তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে।(সহীহ বুখারী- (শামেলা);২/৫৭,হাদীস নং১১৬২,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৬২৯)
বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1472
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আগুন
দ্বারা কোন ক্ষতি হয়নি বিধায় আপনার স্বপ্নের দুই ধরণের ব্যখ্যায় হতে পারে। অর্থাৎ বাহ্যিক
ভাবে আপনার স্বপ্ন পজেটিভ মনে হচ্ছে না। ভিন্ন দিকে আগুন থেকে আলো ছড়ায়,
যা থেকে ভালো কিছুর ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
সুতরাং আপনি বিয়ের উদ্দেশ্যে ইস্তেখারার আমল করুন এবং গুনাহ থেকে বাঁচতে পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ করার
ফিকির করুন। আল্লাহ তায়ালা সব কিছু আপনার জন্য সহজ করুন।