আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in সালাত(Prayer) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম, হুজুর। আশা করি ভালো আছেন।

হুজুর, উমরী ক্বাজা নামাজের দিবসগুলো অনুমান করে গণনা করার সময় পিরিয়ডের দিনগুলো বাদ দেয়া যাবে বা উচিত? যেমন- ১০০ দিনের মধ্যে পিরিয়ডের ২০ দিন বাদ দিয়ে ৮০ দিন ক্বাজা নামাজ।

1 Answer

0 votes
by (683,680 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ - قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: جَدُّ عَدِيٍّ اسْمُهُ دِينَارٌ - عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ: «تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ فِيهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَتَصُومُ وَتُصَلِّي»

‘আদী ইবনু সাবিত (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে, ইয়াহ্ইয়া ইবনু মা‘ঈন বলেন, ‘আদী এর দাদার নাম দীনার, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুসতাহাযা স্ত্রীলোক সম্পর্কে বলেছেন, সে হায়যগ্রস্ত অবস্থা থাকাকালীন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) পরিত্যাগ করবে। অতঃপর মেয়াদ শেষে গোসল করবে এবং প্রত্যেক সালাতের সময় উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করবে। আর সওম (রোযা) পালন করবে ও সালাত আদায় করবে।
(আবূ দাঊদ ২৯৭, তিরমিযী ১২৬, সহীহুল জামি‘ ৬৬৯৮. মিশকাত ৫৬০)

أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ اسْتُحِيضَتْ ، فَسَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَوْ قَالَ : فَسُئِلَ لَهَا النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَمَرَهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ، وَأَنْ تَغْتَسِلَ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ ، وَتَسْتَذْفِرَ بِثَوْبٍ ، وَتُصَلِّيَ . فَقِيلَ لِسُلَيْمَانَ : أَيَغْشَاهَا زَوْجُهَا ؟ فَقَالَ : إِنَّمَا نَقُولُ فِيمَا سَمِعْنَا

ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ)-এর অত্যধিক রক্তস্রাব হতে থাকলে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বিধান জিজ্ঞেস করলেন অথবা তার সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি তাকে নির্দেশ দিলেন, সে যেন তার মাসিক ঋতুর কয়দিন নামায ছেড়ে দেয়, তারপরের দিনগুলোতে গোসল করে পট্টি বেঁধে নামায পড়ে। সুলায়মান (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, তার স্বামী কি তার সঙ্গে সহবাস করতে পারে? তিনি বলেন, আমরা যতটুকু শুনেছি ততটুকু বললাম।
(সুনানে দারা কুতনি ৭৭১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
শরীয়তের বিধান মতে হায়েজ চলাকালীন দিন গুলোতে নামাজ আদায় করা যাবেনা।
এই দিন গুলোর নামাজের কাজাও নেই।

সুতরাং উমরী ক্বাজা নামাজের দিবসগুলো অনুমান করে গণনা করার সময় পিরিয়ডের দিনগুলো বাদ দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 158 views
...