আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
295 views
in পবিত্রতা (Purity) by (60 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১।অযু করার সময় কুলি করার পর পানি না ফেলে দিয়ে খেয়ে ফেললে অযু হবে?
২।অযু করার সময় নাকের নরম অংশ পর্যন্ত যে পানি পৌছানো হয়,তা ঝেড়ে বের না করলে৷ অযু হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
 بسم الله الرحمن الرحيم 

আল্লাহ্ তাআলা বলেন:
يا ايها الذين امنوا  اذا قمتم الي الصلوة فاغسلوا وجوهكم و ايديكم الي المرافق وامسحوا بروؤسكم وارجلكم الي الكعبين 

 “হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ কর এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও।”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬]

,
সুতরাং শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  ওযুর ফরয ৪টি।
১। মাথার চুলের গোড়া থেকে থুতনীর নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অন্য কানের লতি পর্যন্ত সমস্ত মুখ ধৌত করা
২। দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করা।
৩। মাথা চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করা।
৪। দুই পা টখনুসহ ধৌত করা।

সুতরাং কুলি করা অযুর ফরজ নয়,বরং সেটা অযুর সুন্নাত।

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ مِنْ كَفٍّ وَاحِدٍ فَعَلَ ذَلِكَ ثَلاَثًا

আবদুল্লাহ ইবনু যাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক আজলা পানি দিয়ে কুলি করতে ও নাক পরিষ্কার করতে দেখেছি। তিনি তিনবার এরকম করেছেন। 
(তিরমিজি ২৮,আবু দাউদ ১১০)

যদি কুলি নাও করা হয়,তাহলেও অযু হয়ে যাবে,তবে সুন্নাত আদায় হবেনা।

★রোযাদার ছাড়া অন্য কেহ যদি অযুর মধ্যে কুলি করার সময় পানি গিলে ফেলে,সেটা কোনো সমস্যাকর নয়। 
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত ""অযু করার সময় কুলি করার পর পানি না ফেলে দিয়ে খেয়ে ফেললে অযু হবে।
,
(০২)
অযুতে নাকে পানি দেওয়া অযুর ফরজ নয়,বরং সেটা অযুর সুন্নাত।

والمبالغة فيهما بالغرغرة لغير الصائم لاحتمال الفساد (رد المحتار-1/237)
ومنها المبالغة فى المضمضة والاستنشاق إلا فى حال الصوم فيرفق، لأن المبالغة فيهما من باب التكميل فى التطهير فكانت مسنونة إلا فى حال الصوم لما فيها من تعريض الصوم للفساد (بدائع الصنائع-1/112، الفتاوى التاتارخانية-1/276، رقم-377)
ফাতাওয়া শামী, এবং বাদায়েউস সানায়ে এবং ফাতাওয়া তাতারখানিয়ার পরিস্কার ইবারত প্রমাণ করছে যে, নাকে ও মুখে পানি দেবার ক্ষেত্রে মুবালাগা তথা গভীরে পানি পৌঁছানো এটি অযু/গোসলের সময় ফরজ নয়, বরং সুন্নত।

,
নাকে পানি না দিলেও অযু হবে,তবে সুন্নাতের খেলাফ হবে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত অযু করার সময় নাকের নরম অংশ পর্যন্ত যে পানি পৌছানো হয়,তা ঝেড়ে বের না করলে অযু হবে।
কোনো সমস্যা  নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 946 views
0 votes
1 answer 130 views
...