আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in সালাত(Prayer) by (19 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته.

আমার হায়েজ আসার আগেই বগলে পশম গজানো শুরু হয়েছিলো। এটা ঠিক ৯ নাকি ১০ বছর বয়স থেকে আমার খেয়াল নেই। আমার সালাত, সিয়াম কি হায়েজ আসার পর ফরজ হয়েছে নাকি বগলে পশম গজানোর পর থেকে?  এখন খেয়ালও নেই কোন বয়স থেকে লোম উঠেছে।

বেশ কয়েক বছর যাবৎ সালাত, সিয়ামে নিয়মিত হয়েছি। এখন কাযা সালাত, সিয়াম কতগুলো তা নির্ধারণ করতে পারছি না বালেগ হয়েছি কবে তা বুঝতে না পারার জন্য। অনুগ্রহ করে আমাকে সমাধান বাতলে দিন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَإِذَا بَلَغَ الْأَطْفَالُ مِنكُمُ الْحُلُمَ [٢٤:٥٩]
তোমাদের সন্তান-সন্ততিরা যখন বায়োঃপ্রাপ্ত হয়, [সূরা আননূর-৫৯]

মেয়ের বালেগ তথা প্রাপ্ত বয়স্ক হবার মূল নিদর্শন বীর্যস্খলন হওয়া। এটির প্রকাশক অনেক কিছুই হতে পারে। যেমন

সেটি স্বপ্নদোষের মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে।
স্তন বড় হওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে।
মেয়েদের হায়েজ আসা, গর্ভধারণ করা ইত্যাদির মাধ্যমেও বালেগ হওয়া সাব্যস্ত হয়।

বালেগ হবার উপরোক্ত আলামতগুলো যদি কোন মেয়ের মাঝে প্রকাশিত না হয়, তাহলে সন্তানের বয়স পনের বছর হলেই উক্ত মেয়ে বালেগ হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن ابن عمر رضي الله عنهما أنه عُرِض على النبي صلى الله عليه وسلم يوم أُحدٍ وله أربع عشرة سنة فلم يُجِزْه، وعُرِض عليه يوم الخندق وله خمس عشرة سنة فأجازه.

ইবনে উমর রাঃ উহুদের জিহাদে অংশ নেবার অনুমতি চাইলেন, তখন তার বয়স ছিল চৌদ্দ বছর। রাসূল সাঃ তাকে অনুমতি প্রদান করেননি। কিন্তু খন্দকের জিহাদের অংশ নিতে অনুমতি চাইলে অনুমতি দেয়া হয়, তখন তার বয়স ছিল পনের বছর। [আলআহাদ ওয়ালমাছানী, হাদীস নং-৭৪৬]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার যদি ১৫ বছর আগেই হায়েজ এসে থাকে,সেক্ষেত্রে আপনার সালাত, সিয়াম হায়েজ আসার পর ফরজ হয়েছে।

আর যদি আপনার হায়েজ ১৫ বছরের পর এসে থাকে,সেক্ষেত্রে ১৫ বছর থেকে আপনার সালাত, সিয়াম ফরজ হয়েছে।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 131 views
0 votes
1 answer 198 views
0 votes
1 answer 224 views
0 votes
1 answer 221 views
...