আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (73 points)
১।বাবা মা চায় না যে আমি সিগারেট খাইলে তারা কষ্ট পায়

★এখন সিগারেট খাইলে কি বাবা মার অবাধ্য হব?

★একবারে ছাড়া আমার জন্য অনেক কষ্টকর যদি কমিয়ে আস্তে আস্তে করে ছেড়ে দেই যেমন আগে ১০ থেকে ১৫ টা খাইতাম এখন কমিয়ে ৫ থেকে ৬টা করে দেই তারপর আরও তারপর ছেড়ে দেই তাহলে কি এই কাজ করা যাবে?

২।১০ টাকার নোটে আল্লাহ আকবার লেখা আছে তা আমার জেকেটের পকেটে ছিলো পরে জামাত দরতে গিয়ে পিছনে রেখে দেই তখন অন্তরে ওসওয়াসার কারনে রাগ হয়ে আল্লাহ পাক নিয়ে খারাপ চিন্তা আসে তাহলে কি কুফরি হবে।?

৩।আমার বাবা টিবিতে ছবি দেখতেছিলো হিন্দুদের ছবি সেখানে হিন্দুরা যাদের উপাসনা করে তাদের নাম নিচ্ছিলো পরে আমি টিবির দিকে তাকাই এই উদ্দেশ্য যে যদি হিন্দুদের যাদের উপাসনা করে তাদের নিয়ে সিনেমা করা হলে বাবা বলব পাল্টায় দিতে পরে মনে পড়ল যদি শিরক হয় উক্ত কাজের দ্বারা। পরে আমি মুখ ফিরিয়ে নেই তাহলে কি আমার ইমান এর ক্ষতি হবে?

৪।আমার ওসওয়াসার কারনে মাঝে মাঝে মুখ দিয়ে উচ্চারন হালা সয়তান গালি এসে পরে একদিন এই গালি আসার সময় হা যখন আসে তখন মুখ দিয়ে আল্লাহ বলতে গিয়ে অনিচ্ছায় হাল্লাহ বলে ফেলি তাহলে কি আমার ইমান চলে যাবে?

৫।ভুলে বা মুখ ফসকে আল্লাহ পাক ও রসুল সঃ এর নাম বিকৃৎ সুরে উচ্চারণ হয় তাহলে কি কুফরি হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ধুমপান মাকরুহে তাহরিমি।কেননা এতে অনেক প্রকার ক্ষতি রয়েছে।
( ويُحِلُّ لهم الطيبات ويُحَرِّمُ عليهم الخبائث )
আল্লাহ তা'আলা খাদ্যদ্রব্যর মধ্যে শুধুমাত্র পবিত্র ও ফায়দাজনক খাদ্যকেই হালাল সাব্যস্ত করেছেন।এবং ক্ষতিকারক জিনিষকে হারাম সাব্যস্ত করেছেন।(সূরা আ'রাফ-১৫৭)
যেহেতু উসূলে ফিকহের মূলনীতির আলোকে সরাসরি ধুমপানকে হারাম সাব্যস্ত করা যাচ্ছে না।তাই উলামায়ে হারামের কাছাকাছি হুকুম মাকরুহে তাহরীমি কে সাব্যস্ত করেছেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1899

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) জ্বী, আস্তে আস্তে কমিয়ে দিলে হবে। তখন শরীয়তের বিধানও পালন হয়ে যাবে এবং মাতাপিতার অবাধ্যও হবেন না।

(২)
কুফরি হবে না।তবে অনিচ্ছাকৃত আল্লাহর প্রতি বিরূপ  মনোভাব আসা কখনো কোনো মুসলমানের জন্য কাম্য হতে পারে না।

(৩)
না, এখানে ঈমানের কোনো ক্ষতি হবে না। তবে আপনার উচিৎ সামান্য সময়ের জন্যও হিন্দুদের ছবি না দেখা।এবং পিতাকে সময়ে সময়ে হেকমতের সাথে নাসিহা করা।

(৪)
ঈমান যাবে না।তবে ভবিষ্যতে আল্লাহর নাম উচ্ছারণের মুহূর্তে সতর্ক থাকবেন।

(৫)
ভুলে বা মুখ ফসকে আল্লাহ পাক ও রসুল সঃ এর নাম বিকৃত হয়ে যদি উচ্চারণ হয়ে যায়, তাহলে এতে কুফরি হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...