জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا بَكْرٌ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا سَجَدَ الْعَبْدُ سَجَدَ مِنْهُ سَبْعَةُ آرَابٍ وَجْهُهُ وَكَفَّاهُ وَرُكْبَتَاهُ وَقَدَمَاهُ " .
কুতায়বা (রহঃ) ... আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, যখন কোন বান্দা সিজদা করে তখন তার সপ্ত অঙ্গ সিজদা করে। তার মুখমন্ডল, উভয় হাতের তালু, উভয় হাটু এবং তার উভয় পা।
সহিহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ৮৮৫, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৯৯২/ক নাসায়ী ১০৯৭)
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، وَيُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أُمِرْتُ أَنْ أَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةٍ - لاَ أَكُفَّ الشَّعْرَ وَلاَ الثِّيَابَ - الْجَبْهَةِ وَالأَنْفِ وَالْيَدَيْنِ وَالرُّكْبَتَيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ " .
আহমদ ইবনু আমর ইবনু সারহ, ইবনু আবদুল আলা ও হারিস ইবনু মিসকীন (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি আদিষ্ট হয়েছি সাত অঙ্গের উপর সিজদা করতে। আর যেন আমি চুল ও কাপড় একত্র করে না রাখি (সে সাত অঙ্গ হচ্ছে ) ললাট, নাক, উভয় হাত, উভয় হাঁটু এবং উভয় পা।
সহিহ, বুখারি হাঃ ৮১২, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৯৯২,নাসায়ী ১০৯৯)
আরো জানুনঃ
'فتاوی ہندیہ'' :
''وكمال السنة في السجود وضع الجبهة والأنف جميعاً ولو وضع أحدهما فقط إن كان من عذر لا يكره، وإن كان من غير عذر فإن وضع جبهته دون أنفه جاز إجماعاً ويكره، إن كان بالعكس فكذلك عند أبي حنيفة رحمه الله، وقالا : لا يجوز، وعليه الفتوى''۔(2/26)
সারমর্মঃ-
সেজদার মধ্যে সুন্নাতের পূর্ণতা হলো কপাল ও নাক উভয়টিই জমিনের উপর রাখা। যদি এদুটির কোনো একটি রাখে,সেক্ষেত্রে তাহা যদি ওযর বশত হয়,সেক্ষেত্রে মাকরুহ হবেনা।
আর যদি ওযর ছাড়াই হয়,সেক্ষেত্রে যদি কপাল রাখে,আর নাক জমিন থেকে উঠিয়ে নেয়,তাহলে তাহা জায়েজ আছে,তবে মাকরুহ,আর যদি শুধু নাক জমিনে রাখে,কপাল উঠিয়ে নেয়,সেক্ষেত্রে ফতোয়া হলো নামাজ জায়েজ হবেনা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
,
তবে রুকুর পুরোটা সময় ওযর ছাড়া সম্পূর্ণ নাক উঁচু করে রাখলে নামাজ মাকরুহ হবে।
(০২)
এক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
নামাজ হয়ে যাবে।
(০৩)
তিলাওয়াতে ভুল হলে যদি একই শব্দ অথবা একটি সম্পূর্ণ আয়াত একাধিকবার তেলাওয়াত করা হয়,সেক্ষেত্রে সালাত বাতিল হয়ে যাবেনা।
(০৪)
নামাজ আবার পড়তে হবেনা।
(০৫)
ঐ শব্দ শেষ করবেন। তারপর থেমে যেয়ে আবার ঐ লাইনের শুরু থেকে (যেইটার মাখরাজ ভুল হয়েছে) সেইখান থেকে শুরু করবেন।
(০৬)
এক্ষেত্রে বায়ুর চাপ বেশি হলে বায়ু ছেড়ে দিয়ে পুনরায় ওজু করে এসে নামাজ পড়বেন।
(০৭)
এর জন্য আপনি গুনাহগার হবেননা।
(০৮)
আপনার যদি তিলাওয়াত বাস্তবে শুদ্ধ হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে এগুলো আপনার মনের সন্দেহ মাত্র।
পুনরায় পড়তে হবেনা।
আর যদি আপনার তিলাওয়াত শুদ্ধ না হয়,সেক্ষেত্রে নামাজের বাহির মশক করে ঠিক করে নিবেন।
এভাবে নামাজের মধ্যে বিশেষ করে সুরা ফাতেহার ক্ষেত্রে ও প্রথম রাকাতের তাশাহুদের ক্ষেত্রে এরুপ করবেননা।
ভুল সম্পর্কে নিশ্চিত হলে ভুলের স্থান থেকে পুনরায় পড়বেন।
বা সেই আয়াতের শুরু থেকে পড়বেন।
ভুলের স্থান থেকে পড়ে আবার আয়াতের শুরু থেকে পড়বেননা।