ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
মুসলিম বলাতে আপনার ও আপনার বোনের ইমানে কোনো সমস্যা হবে না।
মুভি দেখা হারাম ও মারাত্মক পর্যায়ের গোনাহ।
২) নামাজের সিজদার সময় নামাজের সামনে যদি কোনো কাপড়ে (+) চিহ্ন থাকে আর সিজদাকালিন যদি মনে এরুপ ভাবনা আসে আমি এই (+) কে সিজদা করে ফেল্লাম নাহ তো, এই ওয়াসওয়াসার কারণে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
৩)যেকোনো সূরার উচ্চারন করার ফলে যদি অর্থ পরিবর্তন হয়ে কোনো কুফরি বাক্য হয়ে যায়,তাহলে সেই ব্যাক্তির ইমান চলে যাবে না। হ্যা, ঐ ব্যক্তির উপর ফরয যে, তিনি কিরাতকে শিক্ষা করবেন।
৪) মনে কুফরি চিন্তা আসলে তবে তার জন্য সাথে সাথে তওবা করে নিলে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
৫) যদি কোনো সূরার বাংলা অর্থ পড়ার সময় ভুলে কোনো কুফরি বা শিরকি বাক্য উচ্চারণ করে ফেলে বা আল্লাহর কাছে দোয়া করার সময় ভুলে এরুপ বাক্য বলে ফেলে আর তার জন্য সাথে সাথে আল্লাহর কাছে মাফ চায় তাহলে তার ইমান চলে যাবে না।
৬) যদি গোসলের সময় মাথায় পানি ঢালার সময় কারো কোনো বিধর্মী ব্যাক্তির ছবি চোখে ভেসে ওঠে এবং পানি ঢেলে ফেলে মাথায় এবং সে ওয়াসওয়াসার কারনে ভাবে যে সি এখন ওই ব্যাক্তির মতো অমুসলিম হয়ে গেলো কিনা এবং পরে আবার মুসলিম কোনো ভালো ব্যক্তির কথা ভেবে মাথায় পানি ঢালে(মনে করে ওই ব্যক্তির মতো আল্লাহর প্রিয় হবে)
এতে তাকে পুনরায় ইমান আনতে হবে না।
৭) যদি কারো সাথে কথা বলার সময় যেমন আমরা অনেক সময় বলে থাকি আল্লাহ তুমি এতো বড় হয়ে গেছো এবং তখন যদি মনে এরুপ চিন্তা আসে যে আমি তাকে আল্লাহ বলে ফেললাম কিনা নাউজুবিল্লাহ তাহলে ইমান ভঙ্গ হবে না।
৮) যদি কেউ কোনো কিছু পড়ার সময় যদি কোনো কুফরি বাক্য পড়ে ফেলে যেমন " আমরা তো কুফরি সিস্টেমে চলছি" এরকম কিছু পড়ে ফেললে ইমান চলে যাবে না।
(৯) ৮ নং প্রশ্নটি করার ফলে আপনার ইমানের কোনো সমস্যা হবে না।
(১০)যদি কেউ কুসংস্কার বিশ্বাস করে যেমনঃ জোড়া কলা খেলে জমজ বাচ্চা হয় বা বের হওয়ার সময় পেছনে ডাকতে নেই। তাহলে তার ইমানে যদিও কোনো সমস্যা হবে না।যদিও এগুলো বর্জন করা উচিৎ।
১১) যদি কেউ না জানার ফলে কোনো কিছুকে সফলতার কারন মনে করে যেমনঃ পরীক্ষায় সবুজ কলম দিয়ে লিখলে পরীক্ষা ভালো হয়, এতে তার ইমান চলে যাবে না।
১২) বড়দের পা ধরে সালাম করলে ইমান চলে যায় না।যদিও এটা বিদ'আত।