আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
258 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (20 points)
edited by
১)  আমি আমার বোনের সাথে একটি মুভি দেখছিলাম। মুভিটিতে নায়ক-নায়িকাদের চরিত্রগুলো মুসলিম এর ছিলো  আমি আমার বোনকে তাই প্রশ্ন করেছিলাম ওরা তো এখানে মুসলিম। আমার বোনও হ্যা বলেছিলো।  যদিও তারা বাস্তবজীবনে হয়ত অন্য ধর্মের ছিলো এখানে তাদের মুসলিম বলাতে আমার ও আমার বোনের কি ইমানে কোনো  সমস্যা হবে? যদিও আমরা জানতাম না সঠিক তারা কোন ধর্মের।  আমার জানা মতে কাফের কে কাফের না বললেও ইমান ভঙ্গ হয়। তাহলে এক্ষেত্রে কি আমার বা আমার বোনের পুনরায় ইমান আনতে হবে? বা আমি উক্ত কথা বলার ফলে কি আমার ইমান ভঙ্গ হয়েছে?

২) নামাজের সিজদার সময় নামাজের সামনে যদি কোনো কাপড়ে (+) চিহ্ন থাকে আর সিজদাকালিন যদি মনে এরুপ ভাবনা আসে আমি এই (+) কে সিজদা করে ফেল্লাম নাহ তো যেহেতু এটি অন্য ধর্বামের সংকেত বা  নামাজের সামনে কোনো বাচ্চা চলে আসলে সিজদাকালিন সময়ে যদি এরুপ ভাবনা আসে যে আমি কি তাকে সিজদা করে ফেললাম না তো যদিও পরবর্তিতে এর জন্য অনেক অনুতাপ হয় তাহলে কি ইমান এ কোনে সমস্যা হবে?যদিও আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইবাদত করছি  তবে ওয়াসওয়াসার কারনে অনেক সময় এরুপ ভাবনা আসে তাহলে কি পুনরায় ইমান আনতে হবে?

৩)যেকোনো  সূরার উচ্চারন করার ফলে যদি অর্থ পরিবর্তন হয়ে কোনো কুফরি বাক্য হয়ে যায় তাহলে কি সেই ব্যাক্তির ইমান চলে যাবে?যদিও এটি তার না জানার ফলে হচ্ছে?  সে সঠিক উচ্চারন শেখার চেষ্টা করছে?  তাহলে কি তাকে পুনরায় ইমান আনতে হবে?

৪) মনে কুফরি চিন্তা আসলে তবে তার জন্য৷ সাথে সাথে তওবা করার পরও কি ইমান চলে যাবে?

৫)যদি কোনো সূরার বাংলা অর্থ পড়ার সময় ভুলে কোনো কুফরি বা শিরকি বাক্য উচ্চারণ করে ফেলে বা আল্লাহর কাছে  দোয়া করার সময় ভুলে এরুপ বাক্য  বলে ফেলে  আর তার জন্য সাথে সাথে আল্লাহর কাছে মাফ চায়  তাহলে কি তার ইমান চলে যাবে?  যদিও সে জানে আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় । আল্লাহ ছাড়া  কোনো ইলাহ নেই এবং  মনে প্রানে তা বিশ্বাসও  করে তবে ভুলে কথাটি বলে ফেলেছে  তাহলে কি তাকে পুনরায় ইমান আনতে হবে?

৬) যদি গোসলের সময় মাথায় পানি ঢালার সময় কারো কোনো বিধর্মী ব্যাক্তির ছবি চোখে ভেসে ওঠে  এবং পানি ঢেলে ফেলে মাথায় এবং  সে ওয়াসওয়াসার কারনে ভাবে যে সি এখন ওই ব্যাক্তির মতো অমুসলিম হয়ে গেলো কিনা এবং পরে আবার মুসলিম কোনো ভালো ব্যক্তির কথা ভেবে মাথায় পানি ঢালে(মনে করে ওই ব্যক্তির মতো আল্লাহর প্রিয় হবে) এতে কি তাকে পুনরায় ইমান আনতে হবে এ সবকিছুই যদিও ওয়াসওয়াসার কারনে হয়ে থাকে।  এখন তাহলে কি সে  ইসলাম বহির্ভূত হয়ে যাবে?

৭) যদি কারো সাথে কথা বলার সময় যেমন আমরা অনেক সময় বলে থাকি আল্লাহ তুমি এতো  বড় হয়ে গেছো এবং  তখন যদি মনে এরুপ চিন্তা আসে যে আমি তাকে আল্লাহ বলে ফেললাম কিনা নাউজুবিল্লাহ  তাহলে কি ইমান ভঙ্গ হয়ে যাবে?

৮) যদি কেউ  কোনো কিছু পড়ার সময় যদি কোনো কুফরি বাক্য পড়ে ফেলে যেমন " আমরা তো কুফরি সিস্টেমে চলছি" এরকম কিছু পড়ে ফেললে কি ইমান চলে  যাবে? যদিও এটি কোনো লিখা পড়ার সময় বলে ফেলেছে?
৯)  ৮ নং প্রশ্নটি করার ফলে কি আমার ইমানের কোনো সমস্যা হবে? যেহেতু জানার জন্য কথাটি লিখেছি?

১০)যদি কেউ কুসংস্কার বিশ্বাস করে যেমনঃজোড়া কলা খেলে জমজ বাচ্চা হয় বা বের হওয়ার সময় পেছনে ডাকতে নেই তাহলে কি তার ইমান এ কোনো সমস্যা হবে? যদিও এগুলো বর্জন করা উচিত তবে বহুকাল ধরে এই বিশ্বাস গুলো রয়ে গেছে মানুষের মাঝে তাই অনেকসময় না চাইতেই এরুপ ধারনা চলে আসে বা বলে ফেলে এরুপ কথা  এতে কি তার ইমান চলে যাবে?

১১) যদি কেউ না জানার  ফলে কোনো কিছুকে সফলতার কারন মনে করে যেমনঃ পরীক্ষায় সবুজ কলম দিয়ে লিখলে পরীক্ষা ভালো হয় এতে কি তার ইমান চলে যাবে?

১২) বড়দের পা ধরে সালাম করলে কি ইমান চলে যায়?

১৩) আমি আগে অনেক গান শুনতাম তবে এখন গান শোনা জায়েজ নয় জানার পর থেকে তা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।  তবে আগে এমন কিছু গান শুনতাম  তা অনেক সময় নিজে মাঝে মাঝে গাইতাম কিছু গানের অর্থ হয়ত দেখা যেতো তা আল্লাহর সাথে কাওকে সমতুল্য করার কিছু লাইন থাকত বা কোনো ব্যাক্তির পূজা করার লাইন থাকতো যেমন" এমনি করে পূজো করি অন্য কাউকে " বা " আমি আমার ভাগ্য বদলে দিবো" নাউজুবিল্লাহ।  মনে হচ্ছে হয়তো সেসব গানের লাইনগুলো আমিও গেয়েছি  তবে তখন আমি একদমি বুঝতে পারি নি যে এরকম বলার ফলে ইমান চলে যেতে পারে।  বুঝার পর থেকে সেসকল গান ত্যাগ করেছি। সেসকল শিরকি বা কুফরি লাইনগুলো  উচ্চারনের ফলে কি আমি ইসলাম বহির্ভূত হয়ে গিয়েছি? আমার কি আবার ইমান আনতে হবে?  আর এখানে যে আমি এই কথাটি বল্লাম এর ফলে কি আমার ইমান চলে গিয়েছে?

১৪) হারাম কোনো কাজ করলে কি ইমান নষ্ট হয়ে যাবে? যদি কেউ জানে যে কাজটি হারাম তবে সে তা থেকে নিজেকে সরাতে পারছে না তাহলে কি তাকে পুনরায় ইমান আনতে হবে?

১৫) বই খাতা নিচে পরে গেলে বা পা লাগলে তাতে হাত দিয়ে সালাম করলে মানে আমরা যেমন করে থাকি এটি কি করা ঠিক? গুনাহ হয় এমন করলে? হলে কি ধরনের গুনাহ হয়?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
মুসলিম বলাতে আপনার ও আপনার বোনের ইমানে কোনো  সমস্যা হবে না।

মুভি দেখা হারাম ও মারাত্মক পর্যায়ের গোনাহ।

২) নামাজের সিজদার সময় নামাজের সামনে যদি কোনো কাপড়ে (+) চিহ্ন থাকে আর সিজদাকালিন যদি মনে এরুপ ভাবনা আসে আমি এই (+) কে সিজদা করে ফেল্লাম নাহ তো, এই ওয়াসওয়াসার কারণে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

৩)যেকোনো সূরার উচ্চারন করার ফলে যদি অর্থ পরিবর্তন হয়ে কোনো কুফরি বাক্য হয়ে যায়,তাহলে  সেই ব্যাক্তির ইমান চলে যাবে না। হ্যা, ঐ ব্যক্তির উপর ফরয যে, তিনি কিরাতকে শিক্ষা করবেন।

৪) মনে কুফরি চিন্তা আসলে তবে তার জন্য সাথে সাথে তওবা করে নিলে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

৫) যদি কোনো সূরার বাংলা অর্থ পড়ার সময় ভুলে কোনো কুফরি বা শিরকি বাক্য উচ্চারণ করে ফেলে বা আল্লাহর কাছে  দোয়া করার সময় ভুলে এরুপ বাক্য  বলে ফেলে  আর তার জন্য সাথে সাথে আল্লাহর কাছে মাফ চায়  তাহলে তার ইমান চলে যাবে না।  

৬) যদি গোসলের সময় মাথায় পানি ঢালার সময় কারো কোনো বিধর্মী ব্যাক্তির ছবি চোখে ভেসে ওঠে  এবং পানি ঢেলে ফেলে মাথায় এবং  সে ওয়াসওয়াসার কারনে ভাবে যে সি এখন ওই ব্যাক্তির মতো অমুসলিম হয়ে গেলো কিনা এবং পরে আবার মুসলিম কোনো ভালো ব্যক্তির কথা ভেবে মাথায় পানি ঢালে(মনে করে ওই ব্যক্তির মতো আল্লাহর প্রিয় হবে) 

এতে তাকে পুনরায় ইমান আনতে হবে না। 

৭) যদি কারো সাথে কথা বলার সময় যেমন আমরা অনেক সময় বলে থাকি আল্লাহ তুমি এতো  বড় হয়ে গেছো এবং  তখন যদি মনে এরুপ চিন্তা আসে যে আমি তাকে আল্লাহ বলে ফেললাম কিনা নাউজুবিল্লাহ  তাহলে ইমান ভঙ্গ হবে না।

৮) যদি কেউ  কোনো কিছু পড়ার সময় যদি কোনো কুফরি বাক্য পড়ে ফেলে যেমন " আমরা তো কুফরি সিস্টেমে চলছি" এরকম কিছু পড়ে ফেললে ইমান চলে  যাবে না।


(৯)  ৮ নং প্রশ্নটি করার ফলে আপনার ইমানের কোনো সমস্যা হবে না।

(১০)যদি কেউ কুসংস্কার বিশ্বাস করে যেমনঃ জোড়া কলা খেলে জমজ বাচ্চা হয় বা বের হওয়ার সময় পেছনে ডাকতে নেই। তাহলে তার ইমানে যদিও কোনো সমস্যা হবে না।যদিও এগুলো বর্জন করা উচিৎ।


১১) যদি কেউ না জানার  ফলে কোনো কিছুকে সফলতার কারন মনে করে যেমনঃ পরীক্ষায় সবুজ কলম দিয়ে লিখলে পরীক্ষা ভালো হয়, এতে তার ইমান চলে যাবে না।

১২) বড়দের পা ধরে সালাম করলে  ইমান চলে যায় না।যদিও এটা বিদ'আত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (20 points)
জাযাকাল্লহু খায়রান।  হুজুর  পরের তিনটি  প্রশ্ন  ( ১৩,১৪,১৫)  এর উত্তর দিলে খুবই উপকৃত হতাম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...