আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
240 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম।

প্রতিমাসে সাধারণত ৭ দিন হলে হায়েজ ভালো হয়। গত দুই একবার যাবত ষষ্ঠ দিনের দিন মনে হয় যেন ভালো হয়ে গেছে।

কিন্তু বাইরে থাকলে তো নামাজ পড়া যায় না কারণ তখন তো পবিত্র হওয়া যাচ্ছে না।

এখন এটি নিয়ে খুবই পেরেশানি এবং দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হয়। মনে হয় যেন অনেকগুলো নামাজ কাজা হয়ে যাচ্ছে।

কারণ গত দুই একবার যাবত ষষ্ঠ দিনের দিন এমন হয় যে বাদামি বা হলুদ কোন রঙ ই থাকে না আবার সেটি পরিষ্কার  পানির মতো ও না। সেটা অনেকটা হালকা একটু ভারি মতন আবার  কখনো একটু সচ্ছ মনে হয়। কিন্তু বাদামী ও না, অনেকটা এক তার দুই তার মত হয়। এভাবে কি বুঝবো??

আমি বুঝতে পারি না। মনে হয় যে এই জন্য অনেকগুলো নামাজ কাজা হয়ে যায়। এভাবে করলে এটা তো নিজের ঈমান এবং ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর। এভাবে তো মুনাফিকি রও আশঙ্কা থাকে। এবং মনও খারাপ থাকে।

মনে হয় অনেক প্রতারণা করছি.. মানুষ কত নামাজি বলে জানে কিন্তু আসলে তো এভাবে প্রতি মাসে কতগুলো নামাজ কাজা হয়। এটা তো মানুষ জানে না।

 ওই দুইটা দিন খুব পেরেশানের মধ্যে থাকে।

এখন কি ষষ্ঠ দিন থেকেই নামাজ পড়া শুরু করে দিব?

এক্ষেত্রে বেশ কয়েকবার পবিত্র হওয়া লাগে এবং অলসতা ও ধরে যায়।

ষষ্ঠ দিনের দিন ঐ অবস্থাতেও বেশ অস্বস্তি লাগে। মনে হয় যেন আমার নামাজ পড়ার দরকার কিন্তু পড়ছি না। এখন এটা দ্বারা কি বুঝবো এটা যে ঐদিন থেকেই পবিত্র হয়ে নামাজ শুরু করতে হবে।?

এবার আমি বাইরে থাকায় আমার মনে হয় যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আমি দুই তিন ওয়াক্ত নামাজ কাজা করে ফেলেছি এখন কি করব । আমি ভেবেছি যে এবারও সপ্তম দিন থেকেই ভালো হবে হায়েয।
by (42 points)
আস্সালামু আলাইকুম
মহিলাদের কানের দুলের ফোঁটায় ( দুল না পড়া অবস্থায়) পানি পৌঁছানোর বিধান কী? এক্ষেত্রে তো নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই যে পানি পৌঁছিয়েছে কিনা।  নাড়া চারা করাই যথেষ্ট? ফরজ গোসল হয়ে যাবে এতে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/78


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
৬ দিন পর যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন।আপনার এ হায়েয বন্ধ হয়ে যাওয়া চায় ঔষধের কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক,আপনি  পবিত্র হয়ে যাবেন।

তবে যদি দশ দিনের ভিতর আবার হায়েয চলে আসে,তাহলে আবার আপনি অপবিত্র হয়ে যাবেন।তথা মাঝে বন্ধ হওয়ার পর আবার চালু হলে,সেই রক্তকে হায়েযের রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।যেমন বর্ণিত রয়েছে,

اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
৬ দিন পর পবিত্র হয়ে যাবেন। এ সময় কোনো নামায ছুটে গেলে হলে সেই নামাযকে কাযা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (42 points)
+1

আস্সালামু আলাইকুম
মহিলাদের কানের দুলের ফোঁটায় ( দুল না পড়া অবস্থায়) পানি পৌঁছানোর বিধান কী? এক্ষেত্রে তো নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই যে পানি পৌঁছিয়েছে কিনা। নাড়া চারা করাই যথেষ্ট? ফরজ গোসল হয়ে যাবে এতে?
by (42 points)
reshown by
দুঃখিত
আমার প্রশ্নটিতে আরো কিছু সংযোজন এর একটু দরকার..
৬ স্ঠ দিন থেকে যে ডিসচার্জ নির্গত হয় উল্লেখ করেছিলাম তা  দুর্গন্ধযুক্ত
কিন্তূ ৬.৫ দিন থেকে যে ডিসচার্জ নির্গত হয় , সেটা অনেকটা গন্ধ হীন । 
এবং সাড়ে সাত দিনের দিন একদম পরিষ্কার পানি দেখা যায়।
এখনও কি আগের মতই নিয়ম থাকবে?
দুঃখিত..
by (589,140 points)
তাহলে সাড়ে সাত দিন থেকে আপনি নিজেকে পবিত্র মনে করবেন। জাযাকুুমুল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...