বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
ইসলাম মানুষকে যেসব উন্নত চরিত্রের শিক্ষা দেয়, তন্মধ্যে অন্যতম গুণ বা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি ও চুক্তির বাস্তবায়ন। যেকোনো ভালো কাজের অঙ্গীকার পূরণ করা ওয়াজিব।
পবিত্র কোরআনে ওয়াদার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইরশাদ হয়েছে,
يا ايها الذين امنوا اوفوا بالعقود
'হে ইমানদারগণ! তোমরা অঙ্গীকারগুলো পূর্ণ করবে।' (সুরা আল-মায়িদা, আয়াত : ১)
الا الذين عاهدتم من المشركين.....
তবে যেসব মুশরিকের সঙ্গে তোমরা চুক্তি করেছ, পরে তারা চুক্তি রক্ষার ব্যাপারে কোনো ত্রুটি করেনি, আর তারা তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তাদের সেই চুক্তি তোমরা মেয়াদকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ করবে। অবশ্যই আল্লাহ দায়িত্বনিষ্ঠদের ভালোবাসেন। (সুরা তাওবা, আয়াত ৪)
,
ওয়াদা (চুক্তি) পালনকারীকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন। যেমন তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ওয়াদা পূর্ণ করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে তার জানা উচিত যে, আল্লাহ তায়ালা তাকওয়াবানদের ভালোবাসেন।’ (সূরা আলে ইমরান : ৭৬)।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সেই প্রতিষ্ঠানে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে আপনাকে ক্লাস ভিত্তিক পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।
এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠানের যেকোন কারণে ক্লাস না হলে,এক্ষেত্রে আপনার পক্ষ থেকে কোনো ত্রুটি নেই।
কেননা আপনি তো আপনার সময় দিয়েছেন, কিন্তু তারাই আপনাকে দিয়ে ক্লাশ করিয়ে নিতে পারেনি।
এখন কথা হলো,যদি প্রতিষ্ঠানের এমতাবস্থায় আপনাকে পারিশ্রমিক দেয়ার নিয়ম থাকে বা তারা পারিশ্রমিক দিতে চায়,সেক্ষেত্রে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে উক্ত ক্লাসের পারিশ্রমিক নেওয়া আপনার জন্য হালাল হবে।
আর তাদের যদি এমন সময়ে পারিশ্রমিক দেয়ার নিয়ম না থাকে,আর তারাও যদি আপনাকে উক্ত ক্লাশের পারিশ্রমিক না দেয়,সেক্ষেত্রে তাদেরকে পারিশ্রমিক দেয়ার উপর জোড় করে বাধ্য করা যাবেনা।
আরো জানুনঃ-