জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، - يَعْنِي مَوْلَى مَيْمُونَةَ - قَالَ أَتَيْتُ ابْنَ عُمَرَ عَلَى الْبَلَاطِ وَهُمْ يُصَلُّونَ فَقُلْتُ أَلَا تُصَلِّي مَعَهُمْ قَالَ قَدْ صَلَّيْتُ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَا تُصَلُّوا صَلَاةً فِي يَوْمٍ مَرَّتَيْنِ "
সুলায়মান ইবনু ইয়াসার অর্থাৎ মায়মূনাহ্ (রাঃ)-এর মুক্ত দাস সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বালাত নামক স্থানে ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সাথে দেখা করতে এসে লোকদেরকে সালাত আদায়রত পাই। আমি বললাম, আপনি তাদের সাথে সালাত আদায় করছেন না কেন? তিনি বললেন, আমি ইতিপূর্বে সালাত আদায় করেছি। আমি রসূলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা একদিনে কোন সালাত দু’বার আদায় করো না।
(আবু দাউদ ৫৭৯. নাসায়ী (অধ্যায়ঃ ইমামাত, অনুঃ মসজিদে ইমামের সঙ্গে জামা‘আতে সালাত আদায় করলে, হাঃ ৮৫৯), আহমাদ (২/১৯), ইবনু খুযাইমাহ (অনুঃ ফারয সালাতের নিয়্যাত করে পুনরায় সালাত আদায়ে নিষেধ, হাঃ ১৬৪১), বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (৬/৩০৩)
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ التَّيْمِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ، مَوْلَى مَيْمُونَةَ قَالَ رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ جَالِسًا عَلَى الْبَلاَطِ وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ قُلْتُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَا لَكَ لاَ تُصَلِّي قَالَ إِنِّي قَدْ صَلَّيْتُ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ تُعَادُ الصَّلاَةُ فِي يَوْمٍ مَرَّتَيْنِ " .
ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ তায়মী (রহঃ) ... মায়মুনা (রাঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম সুলায়মান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু উমর (রাঃ)-কে বালাত নামক স্থানে উপবিষ্ট দেখলাম আর লোকেরা তখন সালাত আদায় করছিল। আমি বললাম, হে আবূ আব্দুর রহমান! আপনার কি হয়েছে, সালাত আদায় করছেন না কেন? তিনি বললেনঃ আমি সালাত আদায় করে ফেলেছি। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, একদিনে এক সালাত দু'বার আদায় করা যাবে না।
(নাসায়ী ৮৬১.আবু দাউদ হাঃ ৫৯২)
ব্যাখ্যা: لَا تُصَلُّوا صَلَاةً فِي يَوْمٍ مَرَّتَيْنِ ‘‘একই দিনে একই সালাত দু’বার আদায় করবে না।’’
ইমাম শাওকানী বলেন, এ হাদীসটি তাদের দলীল যারা বলেন যে, কোন ব্যক্তি একবার জামা‘আতে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার পর পুনরায় জামা‘আত পেলে তিনি আর পুনর্বার জামা‘আতে শরীক হবেন না। সে জামা‘আত যেমনই হোক না কেন। কেননা জামা‘আতের ফাযীলাত তিনি প্রথম জামা‘আতের মাধ্যমেই অর্জন করেছেন। এ হাদীসটি পূর্বে বর্ণিত ঐ হাদীস বিরোধী যাতে ইবনু ‘উমার (রাঃ) ফাতাওয়া দিয়েছেন যে, জামা‘আত পেলে তিনি পুনরায় জামা‘আতে শরীক হবেন। এ দুই বিপরীতমুখী হাদীসের সমন্বয়ের ব্যাপারে ‘আলিমগণ ভিন্নমত পোষণ করেছেন।
(১) এ হাদীসটি তাদের বেলায় প্রযোজ্য যারা জামা‘আতে সালাত আদায় করেছেন। তারা পুনরায় ঐ সালাত আদায় করবে না। আর অন্য হাদীসটি তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা একাকী সালাত আদায় করেছে। তারা পুনরায় জামা‘আত পেলে জামা‘আতে শরীক হবে।
(২) ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত এ হাদীসের উদ্দেশ্য হল দ্বিতীয়বার ফারযের (ফরযের/ফরজের) নিয়্যাতে সালাত আদায় করবে না বরং প্রথম সালাতকে ফরয সালাত গণ্য করবে। আর পরের সালাত নফলের নিয়্যাতে আদায় করবে।
(৩) বিনা কারণে একই দিনে এক সালাত দু’বার আদায় করবে না।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এভাবে একাধিকবার একই নামাজের জামায়াতে শরীক হলে প্রথমবারের দ্বারা আপনার ফরজ আদায় হয়ে যাবে। দ্বিতীয়বার ও তার পরবর্তী বার গুলোর দ্বারা আপনার নফল আদায় হবে।
তবে এভাবে বারবার একই নামাজের জামায়াতে শরীক হওয়া অনুচিত।
কেননা রাসুলুল্লাহ সাঃ নিষেধ করেছেন।