আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ। লিঙ্কে একজন স্বঘোষিত ফেসবুক "আলিমের" নতুন পোস্ট দেওা আছে। আগে তো অনেক কিছুই লিখেছে এই লোক, এখন নতুন করে সে জানাল যে মুয়াবিয়া রা কে সে সাহাবীই মনে করে না। আর  এই লোক নিজেকে শিয়া বলেও পরিচয় দেয় না যে তাদের দিকে একে কোনভাবে সাব্যস্ত করা যাবে।
https://postimg.cc/KRFfDk5K

আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাহের আকিদার ক্ষেত্রে এমন স্পষ্ট ভ্রষ্টতার ভিত্তিতে এর ব্যাপারে ঈমান-কুফরের মাসআলা কি হবে উস্তাদ? বিশেষ করে তার এই কথাঃ
"সাহাবীর সংজ্ঞায় আমি আপনার সাথে একমত নই, কিন্তু আপনার দেয়া সংজ্ঞা মানলেও মুয়াবিয়াকে সাহাবী বলে গ্যারান্টি দেয়া যায় না। কারণ তার অন্তরে ঈমান ছিল না নিফাক সেটা অকাট্যভাবে জানার কোন দলিল নেই। মুয়াবিয়া জান্নাতে যাবে এমন কোন নুসুস বা টেক্সট নেই। তাই মুয়াবিয়ার ক্ষেত্রে সাহাবী অথবা মুনাফিক দুইটি সম্ভাবনাই থাকে। কোনটাই নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। কেবল একটাকে প্রাধান্য দেয়া যায়। দলিলের আলোকে নিফাকের দিকটা ঈমানের চাইতে তারজিহ পায়। অনেকগুলো দলিলের মধ্যে শক্তিশালী একটি হল, মাওলা আলীর প্রতি তার বিদ্বেষ। যাকে আল্লাহর রাসূলের মুনাফিক চেনার একটি বিষয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

মুয়াবিয়া নিয়ে আমি অন্য কারো মত পরিবর্তনে আগ্রহী নই। একইসাথে তার ব্যাপারে নিজের মত স্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করতেও দ্বিধাগ্রস্থ নেই। মুয়াবিয়াকে আমি সাহাবী মনে করি না। আপনি মনে করতে চাইলে করুন। আমার কিছু আসে যায় না।"

জেনে বুঝে, সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে এহেন কথার দ্বারা কি কেউ আদতে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাহের অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে কিনা? আর তার নিজের যে দ্ব্যর্থহীন স্বীকারোক্তি "রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের হোয়াইট ওয়াশ করার জন্য কোরআন ও রাসূলের সুন্নাহকে টুইস্ট করার যেই আকিদা আহলুস সুন্নাহ নামে পরিচিত, আমি সেই পলিটিকাল সুন্নিবাদ থেকে নিজেকে মুক্ত ঘোষণা করলাম।" এই কথার পরে।
** এই লোক আগে এমন "নসিহা"ও মানুষকে দিয়েছে, পরিমিত পরিমাণে গুনাহ করা ঈমানের জন্য উপকারি, এতে করে আল্লাহের প্রতি বান্দার তওবা করার মানসিকতা ভালো থাকবে। উস্তাদ আপনাদের মতামত জানাতে পারেন এগুলো দেখে।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ  

وَالسَّابِقُونَ الْأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُم بِإِحْسَانٍ رَّضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي تَحْتَهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ۚ ذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

“আর যেসব মুহাজির ও আনসার (ঈমান আনয়নে) অগ্রবর্তী এবং প্রথম, আর যেসব লোক সরল অন্তরে তাদের অনুগামী, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও তাতে সন্তুষ্ট। তিনি তাদের জন্য এমন। উদ্যানসমূহ প্রস্তুত করে রেখেছেন, যার তলদেশে নদীমালা প্রবাহিত; যার মধ্যে তারা চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান করবে, এ হল বিরাট সফলতা।” (তাওবাহঃ ১০০)।

ইবনে মাসউদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ يَجِيءُ أَقْوَامٌ تَسْبِقُ شَهَادَةُ أَحَدِهِمْ يَمِينَهُ، وَيَمِينُهُ شَهَادَتَهُ

“সর্বোত্তম যুগ হল আমার (সাহাবীদের) শতাব্দী। অতঃপর তৎপরবর্তী (তাবেয়ীদের) শতাব্দী। অতঃপর তৎপরবর্তী (তাবেতাবেয়ীনদের) শতাব্দী। অতঃপর এমন সম্প্রদায়ের আগমন ঘটবে, যাদের একজনের কসমের আগে সাক্ষি হবে, আবার সাক্ষির আগে কসম। হবে।”
(বুখারী ২৯৫২, মুসলিম ২৫৩৩নং হাদীস)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উল্লেখযোগ্য আক্বিদা-বিশ্বাস এর মধ্যে অন্যতম হলোঃ

সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি।এবং তাদের স্ব স্ব অবস্থানে সঠিক। তাদের মধ্য থেকে কাউকে মন্দ বলা যাবে না।এবং কটাক্ষ করাও যাবে না।তাদের মধ্যকার পরস্পর ঝগড়া-বিবাদ নিছক তাদের নিজস্ব ব্যাপার।উক্ত ঝগড়ায় শরীক হয়ে কারো পক্ষাবলম্বন করা যাবে না।বরং সর্বদা নিজেকে এই স্পর্শকাতর বিষয় থেকে আগলিয়ে রাখতে হবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বিদা হল-সাহাবায়ে কেরাম সমলোচনার উর্দ্ধে। তাদের দোষ বর্ণনা করা হারাম ও কবিরা গুনাহ”। (শরহুল আকায়েদ পৃষ্ঠা ৩৫২)

মহান রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেন-আমি [সাহাবাদের] তাদের প্রতি সন্তুষ্ট আর তারাও আমার অনুগত। {সূরা তাওবা-১০০}

রাসূল সাঃ সাহাবাদের সম্পর্কে বলেন-আমার সাহাবীরা তারকাতুল্য। তোমরা যারই অনুসরণ করবে হেদায়েত পেয়ে যাবে। {কানুযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০০২, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-২৪৩৫৫}

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (16 points)
জাযাকাল্লাহু খাইরান উস্তাদ। এর সাথে এই লোকের আরেকটি কথা দেওয়া হল এখানে, একজন সাহাবী রা কে এভাবে গালিগালাজ করার মাধ্যমে কি সে ঈমানদার থাকতে পারে? এগুলো তো রাফিজি কাফির শিয়াদের কাজকর্ম। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...