আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ। লিঙ্কে একজন স্বঘোষিত ফেসবুক "আলিমের" নতুন পোস্ট দেওা আছে। আগে তো অনেক কিছুই লিখেছে এই লোক, এখন নতুন করে সে জানাল যে মুয়াবিয়া রা কে সে সাহাবীই মনে করে না। আর এই লোক নিজেকে শিয়া বলেও পরিচয় দেয় না যে তাদের দিকে একে কোনভাবে সাব্যস্ত করা যাবে।
https://postimg.cc/KRFfDk5K
আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাহের আকিদার ক্ষেত্রে এমন স্পষ্ট ভ্রষ্টতার ভিত্তিতে এর ব্যাপারে ঈমান-কুফরের মাসআলা কি হবে উস্তাদ? বিশেষ করে তার এই কথাঃ
"সাহাবীর সংজ্ঞায় আমি আপনার সাথে একমত নই, কিন্তু আপনার দেয়া সংজ্ঞা মানলেও মুয়াবিয়াকে সাহাবী বলে গ্যারান্টি দেয়া যায় না। কারণ তার অন্তরে ঈমান ছিল না নিফাক সেটা অকাট্যভাবে জানার কোন দলিল নেই। মুয়াবিয়া জান্নাতে যাবে এমন কোন নুসুস বা টেক্সট নেই। তাই মুয়াবিয়ার ক্ষেত্রে সাহাবী অথবা মুনাফিক দুইটি সম্ভাবনাই থাকে। কোনটাই নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। কেবল একটাকে প্রাধান্য দেয়া যায়। দলিলের আলোকে নিফাকের দিকটা ঈমানের চাইতে তারজিহ পায়। অনেকগুলো দলিলের মধ্যে শক্তিশালী একটি হল, মাওলা আলীর প্রতি তার বিদ্বেষ। যাকে আল্লাহর রাসূলের মুনাফিক চেনার একটি বিষয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
মুয়াবিয়া নিয়ে আমি অন্য কারো মত পরিবর্তনে আগ্রহী নই। একইসাথে তার ব্যাপারে নিজের মত স্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করতেও দ্বিধাগ্রস্থ নেই। মুয়াবিয়াকে আমি সাহাবী মনে করি না। আপনি মনে করতে চাইলে করুন। আমার কিছু আসে যায় না।"
জেনে বুঝে, সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে এহেন কথার দ্বারা কি কেউ আদতে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাহের অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে কিনা? আর তার নিজের যে দ্ব্যর্থহীন স্বীকারোক্তি "রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের হোয়াইট ওয়াশ করার জন্য কোরআন ও রাসূলের সুন্নাহকে টুইস্ট করার যেই আকিদা আহলুস সুন্নাহ নামে পরিচিত, আমি সেই পলিটিকাল সুন্নিবাদ থেকে নিজেকে মুক্ত ঘোষণা করলাম।" এই কথার পরে।
** এই লোক আগে এমন "নসিহা"ও মানুষকে দিয়েছে, পরিমিত পরিমাণে গুনাহ করা ঈমানের জন্য উপকারি, এতে করে আল্লাহের প্রতি বান্দার তওবা করার মানসিকতা ভালো থাকবে। উস্তাদ আপনাদের মতামত জানাতে পারেন এগুলো দেখে।