আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
339 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (20 points)
edited by
১)কেউ যদি কথার ছলে বলে যে এই কাজ করা হারাম যেমনঃ কোনো বিছানার চাদর নাপাক হওয়ার সন্দেহ থাকলে সে যদি বলে  এই বিছানায় বসা হারাম বা ডায়াবেটিস রোগীদের যদি বলা হয় মিষ্টি খাওয়া হারাম  তাহলে যে এরুপ কথা বলেছে তার কি ইমান চলে যাবে?আবার তাকে মুসলিম হতে হবে?

২) যদি আমার সামনে কেউ মজা করে হিন্দুদের কথা বলে যেমন কলম দেখিয়ে বলে যে  তোকে সিদুর পরিয়ে দিব এবং আমি যদি বলি তুমি হিন্দু যদিও আমি জানি সে একজন মুসলিম তবে কথার ছলে এটি বলে ফেলেছি তবে কিছুক্ষন পর আমার মনে হয়েছে হয়ত এমন বলা ঠিক  হয়নি হয়ত ইমানের সমস্যা হতে পারে।  সাথে সাথে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছি এতে কি আমার ইমানের কোনো সমস্যা হবে?যেহেতু আমার জানা মতে এমন একটি  আয়াত রয়েছে যার অর্থ ঃ যে অন্যকে কাফির বলে এবং যাকে বলা হয়েছে সে যদি কাফির না হয় তাহলে যে এরুপ বলেছে সে নিজেই কাফির হয়ে যাবে?আর সমস্যা হলে কি আমার আবার কালেমা পরতে হবে? করনীয় কি হবে?
৩) অনেকক্ষেত্রে জেনে বা না জেনে আমরা বিভিন্ন জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করেছি বা কারো জন্মদিন এর অনুষ্ঠানে গিয়েছি সেখানে কিছু যায়গায় আমরা ছোট থাকতে না বুঝেই মোমবাতি জ্বালিয়ে অনুষ্ঠান পালন করেছি বা যেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছি সেখানে মেমবাতি জ্বালিয়ে অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে এক্ষেত্রে মোমবাতি জ্বালনোর ফলে কি আমাদের ইমানের কোন? বা আমাদের বাবা মা ও যে ছোটবেলায় আমাদের জন্মদিন পালন করেছেন সেখানে কি তাদের ইমানে কোনো সমস্যা হবে? সমস্যা হলে করনীয় কি? আর যেহেতু এটি অন্য ধর্মের অনুষ্ঠান তাহলে এরকমভাবে কেক কেটে বা মোমবাতি জ্বালিয়ে অনুষ্ঠান পালন করলে কি তাদের ইমানে কোনে সমস্যা হবে?যদিও তারা জানে যে এটি বিধর্মিদের কাজ তবুও তারা এটি করছেন তবে এটি বিশ্বাস করেন না যে মোমবাতির ফলে কারো কল্যান হবে.? এই বিষয়ে বিস্তারিত বুঝিয়ে বললে খুবই উপকৃত হতাম৷ আর ইমান এর বিষয়টিও জানাবেন হুজুর।
৪) আমরা অন্য ধর্মের অনুষ্ঠান পালন করলে বা সেই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানালে কি ধরনের গুনাহ হবে?ইমানের কোনো সমস্যা হবে কি?

৫)কেউ কথার কথায় বেখেয়ালে কোনো শিরকি বা কুফরি কথা বলে ফেললে তবে  বলার পর পরই তার কথার জন্য তওবা করলে কি সে অমুসলিম হয়ে যায়? বা তার ইমানে কোনো সমস্যা হবে?যদিওবা সে জানে  আল্লাহ ছাড়া কোনো৷ ইলাহ নেই।

৬) আমার বান্ধবী  আর আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম সেইদিন খ্রিস্টানদের বড়দিন ছিলো যদিও আমরা আগে থেকেই সেইদিন ঠিক করে রেখেছিলাম ঘুরতে যাওয়ার জন্য খেয়াল ছিলো না যে সেদিন খ্রস্টানদের বড়দিন আমার  বান্ধবী  কথার কথায় বলে আমরাও খ্রিষ্টান চল তখন তাকে আমি বাঁধা দেই আর বলি এমন বলা ঠিক নয় তখন সে সাথে সাথে তওবা করে ( পরে আমরা সেই জায়গায় গিয়ে ঘুরে আসি তবে সেটা খ্রিস্টানদের কোনো ধর্মীয় স্থান নয় সেটি একটি শপিং মল বা পার্ক ছিলো তবে বড়দিন উপলক্ষ্যে সেই স্থান সাজানো হয়েছিলো) এর ফলে কি তার ইমানে কোনো সমস্যা হবে? হলে করনীয় কি? আর আমাদের কি সেই জায়গায় সেইদিন যাওয়ার ফলে গুনাহ হবে?

৭)নতুন বছর শুরু উপলক্ষ্যে কি নতুন বছর নফল ইবাদাত দ্বারা শুরু করা যাবে? বা কারো জন্মদিন উপলক্ষ্যে কি তার জন্য দোয়া করলে কোনো গুনাহ হবে? যেহেতু এগুলো পালনের বিধান নেই তবুও আমি এগুলোর উদ্দেশ্যেই আল্লাহর ইবাদাত করছি? এটি কি  ঠিক হবে?
৮) ইমানকে  মজবুদ করার জন্য কি কোনো আমল আছে কি?

৯) হালাল হারাম বিষয়ে সন্দেহের ফলে কি ইমানের কোনো ক্ষতি হবে?

১০) ইমান ও হালাল হারাম বিষয়ক ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকায় কোন বিষয়গুলোকে এরিয়ে চলা উচিত বা কি আমল করা যেতে পার?

১১) অনেক সময় নফসের ধোঁকায় নিজে নিজে কোনে বিষয়ে কিছু ঠিক করলে যেমন আমি যদি নামাজের পর বলি এখন নফল নামাজ না পরলে বিপদ হবে বা এখন চুলা জ্বালানো আছে কিনা তা না দেখলে কোনো ক্ষতি হবে বা বাবা -মা মারা যাবে এরুপ  মনে করলে ইমানের কোনে ক্ষতি  হবে কি?

১২) এশারের নামাজের পর চার রাকাত নফল নামাজ পরার পr যদি এরুপ ভাবনা হয় যে আরও ২ রাকাত নামাজ না পরলে ঘরেরে বাকি দুইজনের ক্ষতি হতে পারে?( আমাদের বাসায় ৬ জন সদস্য তাই এরুপ ধারনা হয় আমার বেশিরভাগ সময়)

১৩) বাবা-মা এর  কল্যান কামনায় বা বাসার সবার ভালো থাকার উদ্দেশ্য এ দৈনিক নফল ২ রাকাত সালাত  এশার সালাতে পর আদায়  করা যাবে কি? এতে কোনো সমস্যা হবে?

১৪) ইমান চলে গেছে কিনা মনে এরুপ সন্দেহ আসলে কি ইমান এর কোনো সমস্যা হবে?

১৫) যদি কোনো মুসলিম ব্যক্তি ওয়াসওয়াসার কারনে ইমান নবায়নের উদ্দেশ্যে এরুপ মুখে উচ্চারণ  করে নিয়ত বলেন যে হে আল্লাহ আমি মুসলিম  হওয়ার নিয়তে কালিমা পাঠ করছি তারপর কালিমা পাঠ  এ ভুল হলে সে কি ইসলাম বহির্ভূত হয়ে যাবে?
by (20 points)
জাযাকাল্লাহু খায়রান

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হালাল কে হারাম সাব্যস্ত করা এবং হারামকে হালাল সাব্যস্ত করার অধিকার একমাত্র আল্লাহ তা'আলার।আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কেউ হারাম কে হালাল এবং হালালকে হারাম সাব্যস্ত করতে পারবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلاَ تَقُولُواْ لِمَا تَصِفُ أَلْسِنَتُكُمُ الْكَذِبَ هَـذَا حَلاَلٌ وَهَـذَا حَرَامٌ لِّتَفْتَرُواْ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ لاَ يُفْلِحُونَ

তোমাদের মুখ থেকে সাধারনতঃ যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে তেমনি করে তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে বল না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করে, তাদের মঙ্গল হবে না।(সূরা নাহল-১১৬)

قُلْ أَرَأَيْتُم مَّا أَنزَلَ اللّهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُم مِّنْهُ حَرَامًا وَحَلاَلاً قُلْ آللّهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللّهِ تَفْتَرُونَ
বল, আচ্ছা নিজেই লক্ষ্য করে দেখ, যা কিছু আল্লাহ তোমাদের জন্য রিযিক হিসাবে অবতীর্ণ করেছেন, তোমরা সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটাকে হারাম আর কোনটাকে হালাল সাব্যস্ত করেছ? বল, তোমাদের কি আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, নাকি আল্লাহর উপর অপবাদ আরোপ করছ?(সূরা ইউনুস-৫৯)

قَدْ خَسِرَ الَّذِينَ قَتَلُواْ أَوْلاَدَهُمْ سَفَهًا بِغَيْرِ عِلْمٍ وَحَرَّمُواْ مَا رَزَقَهُمُ اللّهُ افْتِرَاء عَلَى اللّهِ قَدْ ضَلُّواْ وَمَا كَانُواْ مُهْتَدِينَ
নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা নিজ সন্তানদেরকে নির্বুদ্ধিতাবশতঃ কোন প্রমাণ ছাড়াই হত্যা করেছে এবং আল্লাহ তাদেরকে যেসব দিয়েছিলেন, সেগুলোকে আল্লাহর প্রতি ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে হারাম করে নিয়েছে। নিশ্চিতই তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং সুপথগামী হয়নি।(সূরা আন'আম-১৪০)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে তার ঈমান চলে যাবেনা। 
তাকে আবারো মুসলিম হতে হবেনা।

তবে এহেন বাক্য পরিহার করতে হবে।

(০২)
বিষয়টি ধমকানো স্বরুপ ছিলো।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আবার কালেমা পড়তে হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
এরকমভাবে কেক কেটে বা মোমবাতি জ্বালিয়ে অনুষ্ঠান পালন করা বিজাতীয় সংস্কৃতি হওয়ায় হারাম।
তবে কেহ এরকম ভাবে পালন করলে তার ঈমান চলে যাবেনা। 
তবে হারাম কাজ করায় তাকে তওবা করতে হবে।

(০৪)
অন্য ধর্মের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানানো জায়েজ নেই। হারাম।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

অন্য ধর্মের অনুষ্ঠান পালন করার বিধান জানুনঃ- 

(০৫)
অনিচ্ছায় এভাবে না বুঝে বলাতে তার ঈমান চলে যাবেনা।
তাকে পুনরায় ইসলাম গ্রহন করতে হবেনা।

(০৬)
প্রশ্নে উল্লেখিত আপনার বান্ধবী যেহেতু নিজেকে খ্রিস্টান বলেছে,তাই তার ঈমান চলে গিয়েছে।
তাকে পুনরায় ঈমান আনতে হবে।

(০৭)
এভাবে আল্লাহর ইবাদত করার সুযোগ আছে।
তবে কোনোভাবেই বিজাতীয় সংস্কৃতি পালন করা যাবেনা।
সেই উদ্দেশ্যও নেয়া যাবেনা।

(০৮)
এ সংক্রান্ত আমল জানুনঃ- 

(০৯)
না জানার কারনে৷ এমন সন্দেহ করায় ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(১০)
আকীদা নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে,কুফরি কথাবার্তা ও কাজ থেকে নিজেকে হেফাজতে রাখতে হবে।

(১১)
এরুপ মনে করলে ইমানের ক্ষতি হবেনা।
তবে এরকম মনে করা অনুচিত। 

(১২)
এরুপ মনে করলে ইমানের ক্ষতি হবেনা।
তবে এরকম মনে করা অনুচিত। 

(১৩)
আদায় করা যাবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।

(১৪)
এরুপ সন্দেহ আসলে ঈমান এর সমস্যা হবেনা। 

(১৫)
তারপর কালিমা পাঠ  এ ভুল হলে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
হুজুর  ২ নং প্রশ্নটিতে আমি তাকে উক্ত কথাটি মজা৷ করে বলেছি কথার ছলে তবে তাকে উপহাস করে বা তাকে অপবাদ দিয়ে বলিনি এতে কি সমস্যা হবে?অনুরোধপূর্বক জানাবেন।
by (565,890 points)
এতে ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...