বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হালাল কে হারাম সাব্যস্ত করা এবং হারামকে হালাল সাব্যস্ত করার অধিকার একমাত্র আল্লাহ তা'আলার।আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কেউ হারাম কে হালাল এবং হালালকে হারাম সাব্যস্ত করতে পারবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلاَ تَقُولُواْ لِمَا تَصِفُ أَلْسِنَتُكُمُ الْكَذِبَ هَـذَا حَلاَلٌ وَهَـذَا حَرَامٌ لِّتَفْتَرُواْ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ لاَ يُفْلِحُونَ
তোমাদের মুখ থেকে সাধারনতঃ যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে তেমনি করে তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে বল না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করে, তাদের মঙ্গল হবে না।(সূরা নাহল-১১৬)
قُلْ أَرَأَيْتُم مَّا أَنزَلَ اللّهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُم مِّنْهُ حَرَامًا وَحَلاَلاً قُلْ آللّهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللّهِ تَفْتَرُونَ
বল, আচ্ছা নিজেই লক্ষ্য করে দেখ, যা কিছু আল্লাহ তোমাদের জন্য রিযিক হিসাবে অবতীর্ণ করেছেন, তোমরা সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটাকে হারাম আর কোনটাকে হালাল সাব্যস্ত করেছ? বল, তোমাদের কি আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, নাকি আল্লাহর উপর অপবাদ আরোপ করছ?(সূরা ইউনুস-৫৯)
قَدْ خَسِرَ الَّذِينَ قَتَلُواْ أَوْلاَدَهُمْ سَفَهًا بِغَيْرِ عِلْمٍ وَحَرَّمُواْ مَا رَزَقَهُمُ اللّهُ افْتِرَاء عَلَى اللّهِ قَدْ ضَلُّواْ وَمَا كَانُواْ مُهْتَدِينَ
নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা নিজ সন্তানদেরকে নির্বুদ্ধিতাবশতঃ কোন প্রমাণ ছাড়াই হত্যা করেছে এবং আল্লাহ তাদেরকে যেসব দিয়েছিলেন, সেগুলোকে আল্লাহর প্রতি ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে হারাম করে নিয়েছে। নিশ্চিতই তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং সুপথগামী হয়নি।(সূরা আন'আম-১৪০)
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে তার ঈমান চলে যাবেনা।
তাকে আবারো মুসলিম হতে হবেনা।
তবে এহেন বাক্য পরিহার করতে হবে।
(০২)
বিষয়টি ধমকানো স্বরুপ ছিলো।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আবার কালেমা পড়তে হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৩)
এরকমভাবে কেক কেটে বা মোমবাতি জ্বালিয়ে অনুষ্ঠান পালন করা বিজাতীয় সংস্কৃতি হওয়ায় হারাম।
তবে কেহ এরকম ভাবে পালন করলে তার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে হারাম কাজ করায় তাকে তওবা করতে হবে।
(০৪)
অন্য ধর্মের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানানো জায়েজ নেই। হারাম।
বিস্তারিত জানুনঃ-
অন্য ধর্মের অনুষ্ঠান পালন করার বিধান জানুনঃ-
(০৫)
অনিচ্ছায় এভাবে না বুঝে বলাতে তার ঈমান চলে যাবেনা।
তাকে পুনরায় ইসলাম গ্রহন করতে হবেনা।
(০৬)
প্রশ্নে উল্লেখিত আপনার বান্ধবী যেহেতু নিজেকে খ্রিস্টান বলেছে,তাই তার ঈমান চলে গিয়েছে।
তাকে পুনরায় ঈমান আনতে হবে।
(০৭)
এভাবে আল্লাহর ইবাদত করার সুযোগ আছে।
তবে কোনোভাবেই বিজাতীয় সংস্কৃতি পালন করা যাবেনা।
সেই উদ্দেশ্যও নেয়া যাবেনা।
(০৮)
এ সংক্রান্ত আমল জানুনঃ-
(০৯)
না জানার কারনে৷ এমন সন্দেহ করায় ঈমানের সমস্যা হবেনা।
(১০)
আকীদা নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে,কুফরি কথাবার্তা ও কাজ থেকে নিজেকে হেফাজতে রাখতে হবে।
(১১)
এরুপ মনে করলে ইমানের ক্ষতি হবেনা।
তবে এরকম মনে করা অনুচিত।
(১২)
এরুপ মনে করলে ইমানের ক্ষতি হবেনা।
তবে এরকম মনে করা অনুচিত।
(১৩)
আদায় করা যাবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
(১৪)
এরুপ সন্দেহ আসলে ঈমান এর সমস্যা হবেনা।
(১৫)
তারপর কালিমা পাঠ এ ভুল হলে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবেনা।