ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদিস শরিফে এসেছে,
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا وَاصِلٌ، مَوْلَى أَبِي عُيَيْنَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عُقَيْلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ الدِّيلِيِّ، عَنْ أَبِي، ذَرٍّ أَنَّ نَاسًا، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالُوا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَهَبَ أَهْلُ الدُّثُورِ بِالأُجُورِ يُصَلُّونَ كَمَا نُصَلِّي وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُومُ وَيَتَصَدَّقُونَ بِفُضُولِ أَمْوَالِهِمْ . قَالَ " أَوَلَيْسَ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لَكُمْ مَا تَصَّدَّقُونَ إِنَّ بِكُلِّ تَسْبِيحَةٍ صَدَقَةً وَكُلِّ تَكْبِيرَةٍ صَدَقَةٌ وَكُلِّ تَحْمِيدَةٍ صَدَقَةٌ وَكُلِّ تَهْلِيلَةٍ صَدَقَةٌ وَأَمْرٌ بِالْمَعْرُوفِ صَدَقَةٌ وَنَهْىٌ عَنْ مُنْكَرٍ صَدَقَةٌ وَفِي بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَأْتِي أَحَدُنَا شَهْوَتَهُ وَيَكُونُ لَهُ فِيهَا أَجْرٌ قَالَ " أَرَأَيْتُمْ لَوْ وَضَعَهَا فِي حَرَامٍ أَكَانَ عَلَيْهِ فِيهَا وِزْرٌ فَكَذَلِكَ إِذَا وَضَعَهَا فِي الْحَلاَلِ كَانَ لَهُ أَجْرٌ " .
‘আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (সা.)-এর সাহাবীদের কয়েকজন রাসূল (সা.)-কে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! বিত্তবানরা সওয়াব নিয়ে যাচ্ছে তারা আমাদের মত নামাজ আদায় করেন, আমাদের মত সিয়াম সাধনা করেন এবং তারা নিজেদের ধন সম্পদ হতে কিছু দান করে থাকেন। তিনি বললেন, তোমাদের জন্য কী আল্লাহ তাআলা সদকা করার ব্যবস্থা করেননি? প্রতিটি তাসবীহ সদকা, প্রতিটি তাকবীর সদকা, প্রতিটি তাহমীদ সদকা, প্রতিটি তাহলীল সদকা, সৎকাজের আদেশ দেয়া, অসৎকাজ হতে বিরত রাখা সদকা এবং স্ত্রীর সঙ্গে মিলনও সদকা। তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কেউ যদি স্ত্রী সংগম করে এতেও কি সে সওয়াব পাবে? তিনি বললেন তোমরা কি মনে কর যদি সে কামাচার করে হারাম পথে তাতে কি তার পাপ হবে না? অনুরূপভাবে যদি সে কামাচার করে হালাল পথে তবে সে সওয়াব পাবে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২২০১ ইফাঃ]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রিয়া বা ছোট শিরক হবেনা।
এক্ষেত্রে আপনি গুনাহ থেকে বাঁচা, অসৎ কাজ হতে বিরত থাকার উদ্দেশ্য নিয়ে স্ত্রী সহবাস করবেন।
(০২)
এতে রিয়া হবেনা।
এক্ষেত্রে অন্যায় কাজে বাধা প্রদানের নিয়ত করবে।
(০৩)
এক্ষেত্রে রিয়া বা শিরক হবেনা।
সে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করানোর জন্যই এমন করছে,এটি নিয়ত করবে,পরবর্তীতে মানবিক কারনে, আত্মমর্যাদাবোধের কারনে উপরোক্ত বিষয় মাথায় আসলেও সমস্যা নেই।
এটি স্বাভাবিক।
(০৪)
এক্ষেত্রে তাকে নিরাপদ স্থানে রেখে মসজিদে যেতে হবে।
একেবারেই কোনো উপায় না পেলে মসজিদের কাছে নিয়ে গিয়ে কোথায় রাখবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত কাজ শিরক নয়।
★এরকম ভালোবাসায় কোনো শিরক হয়না।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৫)
হ্যাঁ, এটি সঠিক।
(০৬)
এক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে দ্রুত কয়েক সেকেন্ড এ কালেমায়ে শাহাদাৎ পাঠ করবে।
এটি তার জন্য উক্ত ব্যাক্তিকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে সমস্যাকর হবেনা।
প্রয়োজনে সাহায্যের জন্য যেতে যেতে কালেমা পাঠ করবে।
(০৭)
এক্ষেত্রেও পরামর্শ থাকবে দ্রুত কয়েক সেকেন্ড এ কালেমায়ে শাহাদাৎ পাঠ করবে।
এটি তার জন্য উক্ত ব্যাক্তিকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে সমস্যাকর হবেনা।
প্রয়োজনে সাহায্যের জন্য যেতে যেতে কালেমা পাঠ করবে।
(০৮)
সেই ব্যাক্তির গুনাহ হবেনা।
তবে তার জন্য এক্ষেত্রে অনুমতি ছিলো,মনে পূর্ণ ঈমান ঠিক রেখে বাহ্যিক ভাকে শিরক/কুফরি করার।
(০৯)
তাহলে ইমান নষ্ট হয়ে যাবেনা।
(১০)
এক্ষেত্রেও ইমান নষ্ট হয়ে যাবেনা।
(১১)
এগুলো প্রশ্ন করার কারনে ঈমানে সমস্যা হবেনা।