আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (61 points)
edited by
১।রোজা থাকা অবস্থায় দাতে ক্যাপ বসাই সে সময় বিভিন্ন ঔষধ জিহ্বায় লাগে এবং একটা ছোট টুকরো পেটে গেছে নাকি সিইওর না গলার ডান পাসে জিহ্বার একটি টুকরো লাগে আবার মনে হয় অন্য টুকরো  কিনা এখন রোজার কোনো সমস্যা হবে কি?

২।একলোক তার ভাবিকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ পাক কে নিয়ে একটা খারাপ গালি দেয় নাউজুবিল্লাহ যা লিখতে পারবো না তখন আমি ছোট ছিলাম অন্য একজন আমাকে বলছে এখন আমি তাকে বলতে হবে কি ইমান ভংগের কথা তার মনে না ও থাকতে পারে অনেক আগের ঘঠনা যদি না বলি আমার গুনাহ হবে কি?

৩।অনিচ্ছাকৃত আল্লাহ পাক কে নিয়ে এমন বাজে চিন্তা আসে যা মুখ দিয়ে বলা বা লিখা সম্ভব না তারপরও বলি আমার অন্তরে বারবার আসে আল্লাহ পাক এর সাথে খারাপ কাজ করতে চাওয়া মানে স্বামী স্ত্রীর মত নাউজুবিল্লাহ আমি বারবার অন্তরে ও মুখে  বলি আমি চাইনা এর ধারা কুফরি হবে যদি মুখ দিয়ে উচ্চারন না করি? শুধ কি মুখ দিয়ে উচ্চারন করলে কাফের হয়ে?
৪।আমি পাগলের মত হয়ে যাচ্ছি খালি আল্লাহ ও রসুল সঃ কে নিয়ে বাজে চিন্তা আসে করতে চাইনা তারপর ও আসে এর থেকে বাচার উপায় বলেন?

৫।রমজান মাসে তো সয়তান থাকে না ওসওয়াসা কি নফস বা যাদুর কারনে হতে পারে

৬।নামাজে মাঝে মাঝে ঠোঁট আটকে একটু অন্যরকম বা সাভাবিক ভাবে পরতে পারিনা তাহলে নামাজে কোনো সমস্যা হবে কি?

৭।নামাজে এক রোকন কি এক রোকনে তিন বার চুলকালে কি নামাজ ভেঙে যাবে?

৮।ফেসবুক বা ইউটিউবে যদি কোনো মিউজিক ছাড়া ভিডিও বা মেয়ের ভিডিও আসলে পাল্টে দেই তাহলে কি জায়েজ হবে দেশের?

৯।অনিচ্ছায় মন হিন্দুদের মন্দির দিকে চলে  যায় বারবার ফিরানোর মন্দিরের পাশ দিয়ে গেলে বেশি হয়।সপ্নেও দেখি দুই একবার।  বাজারে  মসজিদে নামাজ পরতে গেলে মসজিদের পশ্চিম দিকে মন্দির খালি মনে হয় মন্দির কে বা কোনো মুর্তিকে সিজদাহ দিচ্ছি কিন্তু আমি এইসব ভাবতে চাই না তাহলে কি ইমানে কোনো সমস্যা হবে?
১০।হিন্দুদের মন্দির কিংবা কাফেরের ইচ্ছাকৃত চিন্তা করলে কি গুনাহ হবে নাকি ইমান চলে যাবে।?

১১।আমার হাসি বেশি হয়। শরীয়তের বিষয় বা অন্তরে কোনো ওসওয়াসার কারনে মনে আল্লাহ পাক রসুল সঃ ও ইসলাম কে নিয়ে আসে ঐ সময় প্রথমে অন্তরে তারপর মুখদিয়ে হাসি আসতে চায় অনিচ্ছাকৃত মুখ চাইপাও রাখতে পারিনা চেষ্টা করি যাতে না আসে তারপর ও আসে তাহলে আমার ইমানে কোনো সমস্যা হবে কি?

১২।হিন্দুদের এমনিতে মামা মামি বলা যাবে কি আত্মীয় না আন্তরিক সম্পর্কওনা?
১৩।উপরের কোনো প্রশ্ন করা দ্বারা ইমানে কোনো সমস্যা হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত-
ذكر عنده الوضوء من الطعام، قال الأعمش مرة والحجامة للصائم، فقال : إنما الوضوء مما يخرج وليس مما يدخل، وإنما الفطر مما دخل وليس مما خرج.

শরীর থেকে (কোনো কিছু) বের হলে অযু করতে হয়, প্রবেশ করলে নয়। পক্ষান্তরে রোযা এর উল্টো।  রোযার ক্ষেত্রে (কোনো কিছু শরীরে) প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায়, বের হলে নয় (তবে বীর্যপাতের প্রসঙ্গটি ভিন্ন)।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪০২)
,
https://ifatwa.info/71730/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে রোজা রেখে দাঁত ফিলিং করলে রোজা ভেঙ্গে যাবেনা।
রোজার উপর এর কোন প্রভাব নেই। বরং এটি করা যেতে পারে। 

তবে এক্ষেত্রে ঔষধ বা কোন কিছু গিলে ফেলা থেকে সাবধান থাকতে হবে। 
ঔষধ বা কোন কিছু গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন
আপনি যদি নিশ্চিত হোন যে ঔষধ এর ছোট টুকরো গলা দিয়ে চলে গিয়েছে,সেক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে যাবে। 

তবে নিশ্চিত না হলে শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।

(০২)
আপনার সাধ্যের মধ্যে থেকে ঐ ব্যাক্তিকে ঈমান ভঙ্গের কথা বলে ঈমান নবায়ন করতে বলবেন।

(০৩)
মুখ দিয়ে উচ্চারণ না করলে ঈমাম চলে যাবেনা।
মুখদিয়ে উচ্চারণ করলে ঈমান চলে যাবে।

(০৪)
আপনি নিজ কাজে মগ্ন হয়ে যান। এদিকে বেশি মনোযোগ দিবেন না। কেননা, এইসব অবাঞ্ছিত চিন্তাকে গুরুত্ব দিয়ে কীভাবে তা দূর করা যায় এ চিন্তায় পড়ে গেলে আপনি এখানেই আটকা পড়ে যাবেন। সামনে অগ্রসর হওয়া আর সম্ভব হবে না। এভাবে শয়তানের উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যাবে।
,
যে কোনো ওয়াসওয়াসার প্রধান চিকিৎসা এটাই যে, একে গুরুত্ব না দেয়া। কী চিন্তা আসল, কী চিন্তা গেল-তা না ভেবে নিজের কাজে মশগুল থাকুন। কেননা, এটা মূলত শয়তানের কাজ। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّمَا النَّجْوَىٰ مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيْسَ بِضَارِّهِمْ شَيْئًا إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ

এই ওয়াসওয়াসা তো শয়তানের কাজ; মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার দেয়ার জন্যে। তবে (এই ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করে) সে মুমিনদেরকে চুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে না, আল্লাহর হুকুম ছাড়া। মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপর ভরসা করা। (সূরা মুজাদালাহ ১০)

আপনি آمنت بالله ورسوله পড়ে নিবেন।
বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পরামর্শ থাকবে, এহেন চিন্তা মাথায় আসলেই অন্য মনস্ক হয়ে যাওয়া।
কোনো কাজ শুরু করে দেয়া।
মাথায় এগুলো আসতেই দিবেননা।
বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন। 

(০৫)
হ্যাঁ, নফস বা যাদুর কারনে ওয়াসওয়াসা হতে পারে।

(০৬)
এক্ষেত্রে ঐ বাক্য পুনরায় উচ্চারণ করবেন।

(০৭)
এক রুকন হলো তিন বার রুকু সেজদার তাসবিহ পাঠের সমপরিমাণ সময়।

এতটুকু সময়ের মধ্যে তিনবার চুলকালে আমলে কাসীর হওয়ায় নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

(০৮)
অনিচ্ছাকৃত সামনে আসলে সাথে সাথেই পালটে দিতে হবে।
তাহলে আর গুনাহ হবেনা।

ইচ্ছাকৃতভাবে নজর দিলে গুনাহ হবে।

(০৯)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা, তবে এহেন অবস্থায় বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন। 

(১০)
এতে ঈমান চলে যাবেনা।

(১১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে ঈমানে সমস্যা হবেনা। 

(১২)
এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।
তবে এমনটি অনুচিত। 

(১৩)
উপরের কোনো প্রশ্ন করা দ্বারা ঈমানে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...