জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মসজিদের ছাদের উপর নামাজ পড়া জায়েয আছে।
قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ وَلَمْ يَرَ الْحَسَنُ بَأْسًا أَنْ يُصَلَّى عَلَى الْجُمْدِ وَالْقَنَاطِرِ وَإِنْ جَرَى تَحْتَهَا بَوْلٌ أَوْ فَوْقَهَا أَوْ أَمَامَهَا إِذَا كَانَ بَيْنَهُمَا سُتْرَةٌ وَصَلَّى أَبُو هُرَيْرَةَ عَلَى سَقْفِ الْمَسْجِدِ بِصَلاَةِ الْإِمَامِ وَصَلَّى ابْنُ عُمَرَ عَلَى الثَّلْجِ
আবূ ‘আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহ.) বলেনঃ হাসান বাসরী (রহ.) বরফ ও পুলের উপর সালাত আদায় করা দোষের মনে করতেন না- যদিও তার নীচ দিয়ে, উপর দিয়ে অথবা সামনের দিক দিয়ে পেশাব প্রবাহিত হয়; যদি উভয়ের মাঝে কোন ব্যবধান থাকে। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) মসজিদের ছাদে ইমামের সাথে সালাত আদায় করেছিলেন। ইবনু ‘উমার (রাযি.) বরফের উপর সালাত আদায় করেছেন।
★মসজিদের নিচ তলাতে জায়গা থাকা সত্ত্বেও উপর তলায় বা ছাদে নামাজ পড়া মাকরুহ।
তবে কোনো ওযর বশত এমনটি করলে কোনো সমস্যা নেই।
তবে শর্ত হলো ইমামের হালত যেনো তার সম্মুখে অস্পষ্ট না থাকে।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানীয়াহ ৩/১৯৭
কিতাবুন নাওয়াজে ৪/২৩৫
ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬৫২)
إذا اشتد الحر یکرہ أن یصلوا بالجماعۃ فوقہ إلا إذا ضاق المسجد فحینئذ لا یکرہ الصعود علی سطحہ للضرورۃ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۵؍۳۲۲)
যদি কঠিন গরম পড়ে,তারপরেও ৩য় তলায় জামাত করা মাকরুহ হবে,হ্যাঁ যদি জায়গা না থাকার কারনে উপর তলায় যেতে হয়,তাহলে প্রয়োজনের ভিত্তিতে এটি মাকরুহ নয়।
الصلاۃ علی الرفوف في المسجد الجامع من غیر ضرورۃ مکروہۃ، وعند الضرورۃ بأن امتلأ المسجد ولم یجد موضعا یصلي فیہ، فلا بأس بہ۔ (الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۲؍۲۱۱ رقم: ۲؍۱۹۳ زکریا)
মসজিদের ছাদে বা উপরের তলায় নামাজ পড়া বিনা প্রয়োজনে হলে মাকরুহ,আর জরুরত থাকলে,যেমন মসজিদ ভরপুর হয়ে গিয়েছে,কোনো জায়গা ফাকা নেই,তাহলে সমস্যা নেই।
ولو صلی علی رفوف المسجد إن وجد في صحنہ مکاناً کرہ کقیامہ في صف خلف صف فیہ فرجۃ۔ (درمختار مع الشامي ۲؍۳۱۲ زکریا، درمختار مع الشامي ۱؍۵۷۰ کراچی)
মসজিদের বাড়ান্দায় জায়গা থাকা সত্ত্বেও মসজিদের ছাদে নামাজ আদায় করা মাকরুহ।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজ আদায় হয়ে যাবে,তবে বিনা প্রয়োজনে এমনটি করা মাকরুহ।