আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in সালাত(Prayer) by (102 points)
আসসালামু 'আলাইকুম।

আমি মুসাফির অবস্থায় ছিলাম ঢাকায়,তাই যখন ইশার শেষ মুহুর্তে মাগ্রিব ও ইশা একত্রে জমা সালাত আদায় করি তখন ভুল করে সময় দেখি আমার দেশের বাড়ির,সেমত আমি নামাজ আদায় করি, কিন্তু মাগরিব আদায় করে ইশার দ্বিতীয় রাকাতে ফজরের নামাজের আযান শুনতে পাওয়ায় নামাজ শেষ করে ভালমত টাইম দেখি ঢাকার টাইম অনুযায়ী আমার মাগ্রিব শুরুর ঠিক দু তিন মিনিট আগে ফজর ওয়াক্ত শুরু হয়েছে।

যেহেতু নিয়াত ভিন্ন ছিল কারণ আমি জানতাম ওয়াক্ত ছিল,তাহলে সালাত গুলা কি আবার আদায় করতে হবে?

উল্লেখ্য যে,প্রথমে যখন দেশের বাড়ির টাইম দেখি সেমতেও টাইম বুঝতে ভুল করেছিলাম।আদতে সে মতেও ওয়াক্ত ছিলনা,আমার বুঝতে ভুল হয়েছে

1 Answer

0 votes
by (63,400 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ওয়াক্ত মত আদায় না করে পরবর্তী ওয়াক্তে বা পরবর্তীতে আদায় করা কবিরাহ গুনাহ।  

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ أَبِي جَنَابٍ، عَنْ مَغْرَاءٍ الْعَبْدِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَمِعَ الْمُنَادِيَ فَلَمْ يَمْنَعْهُ مِنَ اتِّبَاعِهِ عُذْرٌ " . قَالُوا وَمَا الْعُذْرُ قَالَ خَوْفٌ أَوْ مَرَضٌ " لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ الصَّلَاةُ الَّتِي صَلَّى " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى عَنْ مَغْرَاءٍ أَبُو إِسْحَاقَ . صحيح

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান শুনা সত্ত্বেও কোনরূপ ওজর ছাড়া (বিনা কারণে) জামা‘আতে সলাত আদায়ে বিরত থাকে তার অন্যত্র (একাকী) সলাত কবুল হবে না। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ওজর কি? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ভয়-ভীতি অথবা অসুস্থতা। 

(আবু দাউদ ৫৫১.বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (৩/৭৫), হাকিম (১/পৃঃ ২৪৫), দারাকুতনী (১/পৃঃ ৪২১)

 

★★শুধু জামা'আত ছেড়ে দেওয়ার কারনেই হাদীস শরীফে এমন কঠিন বাক্য ব্যবহার হয়েছে,সুতরাং নামাজ কাজা করলে সেটি আরো বড় মারাত্মক অপরাধ হবে।

অনেক ফুকাহায়ে কেরামগন বলেছেন ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নামাজ কাজা করা চুরি করা যেনা করার চেয়েও মারাত্মক বলে আখ্যায়িত করেছেন।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيقٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: كَانَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ يَرَوْنَ شَيْئًا مِنَ الأَعْمَالِ تَرْكُهُ كُفْرٌ غَيْرَ الصَّلاَةِ.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন শাকীক রহঃ বলেছেন, হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবাগণ কোন আমল ছেড়ে দেয়াকে কুফরী মনে করতেন না শুধু নামায ব্যতীত। অর্থাৎ নামায ছেড়ে দেওয়াকে তারা কুফরীর প্রায় নিকটবর্তী কাজ মনে করতেন। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৬২২]

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 

হ্যাঁ, উক্ত নামাজ সহীহ হয়ে গিয়েছে। আর পড়া লাগবে না। তবে যেহেতু উক্ত নামাজ তার ওয়াক্তে না পড়ে ফজরের ওয়াক্তে পড়া হয়েছে তাই তা কাযা হিসেবে আদায় হবে। আলেম ওলামাগণ বলেন কাযা ও আদায় উভয় শব্দ একই অর্থে। তাই আপনি তা আদায়ের নিয়তে আদায় করলেও তা কাযা হিসেবে আদায় হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...