ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি যেই বর্ণনার কথা উল্লেখ করেছেন, সেই বর্ণনা নিম্নোক্ত শব্দে বর্ণিত রয়েছে,
( من صلى عليَّ ألفَ صلاة لم يمت حتى يبشر بالجنة )
هذا الحديث رواه أبو الشيخ الأصبهاني – كما عزاه إليه السخاوي في " القول البديع " (95)، وحكم عليه بالنكارة ، ونقل الحكم بنكارته أيضا عن الحافظ ابن حجر -
যে ব্যক্তি এক হাজার বার দুরুদ পাঠ করবে, সে ব্যক্তি জান্নাতে তার স্থান না দেখা পর্যন্ত মারা যাবে না।
ভিন্ন শব্দে উপরোক্ত হাদীসের নিকটবর্তী অর্থবোধক একটি বর্ণনা এভাবে রয়েছে,
وقد خرج الشيخ الألباني رحمه الله حديثا قريبا من لفظه : ( من صلى علي في يوم ( الجمعة ) ألف مرة ؛ لم يمت حتى يرى مقعده من الجنة ) رواه ابن سمعون في " الأمالي " (172/ 1) أخرجه ابن شاهين في "الترغيب والترهيب" (ق 261/ 2) ؛ وإليه عزاه المنذري (2/ 281)
যে ব্যক্তি শুক্রুবার দিনে এক হাজার বার দুরুদ পাঠ করবে, সে ব্যক্তি জান্নাতে তার স্থান না দেখা পর্যন্ত মারা যাবে না।
ইমাম নববী রাহ উনার কিতাব 'তাক্বরীব' এ লিখেন,
ﻭﻳﺠﻮﺯ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻭﻏﻴﺮﻫﻢ ﺍﻟﺘﺴﺎﻫﻞ ﻓﻲ ﺍﻷﺳﺎﻧﻴﺪ
ﻭﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺎ ﺳﻮﻯ ﺍﻟﻤﻮﺿﻮﻉ ﻣﻦ ﺍﻟﻀﻌﻴﻒ ﻭﺍﻟﻌﻤﻞ ﺑﻪ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺑﻴﺎﻥ ﺿﻌﻔﻪ ﻓﻲ ﻏﻴﺮ ﺻﻔﺎﺕﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﺍﻷﺣﻜﺎﻡ ﻛﺎﻟﺤﻼﻝ ﻭﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﻭﻣﺎ ﻻ ﻳﺘﻌﻠﻖ ﺑﺎﻟﻌﻘﺎﺋﺪ ﻭﺍﻷﺣﻜﺎﻡ
এবং মুহাদ্দিসিনে কেরামের নিকট সনদে দুর্বলতা গ্রহণযোগ্য রয়েছে।মাওযু ব্যতীত সনদ হিসেবে যঈফ(দুর্বল) হাদীস বর্ণনা করা জায়েয রয়েছে।এবং এর ভিত্তিতে আ'মল করাও জায়েয রয়েছে।এক্ষেত্রে যঈফ উল্লেখ করা জরুরী নয়।তবে শর্ত হল,সেই যঈফ হাদীস আল্লাহর সিফাত,হালাল-হারাম, আক্বাঈদ সম্ভলিত হতে পারবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফযিলত হিসেবে উক্ত হাদীসের উপর আ'মল করতে পারবেন।