জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তোষকের ওপর নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হলো, কপালকে শক্ত জায়গা পর্যন্ত চাপিয়ে নিতে হবে। যাতে চাপ দিলে আর নিচে না যায়, অন্যথায় নামাজ শুদ্ধ হবে না।
(রদ্দুল মুহতার : ১/৪৫৪, মাজমাউল আনহুর : ১/১৪৮, আহসানুল ফাতাওয়া : ৩/৪৩২, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৩/৩৫৩)
কপাল দ্বারা যখন সিজদা দেয়া হবে,তখন যমিনের শক্ততা অনুভব করতে হবে।
যদি যমিনের শক্ততা অনুভব করা না যায়,তাহলে সিজদা হবে না।এবং নামাযও হবে না।
যমিনের শক্ততা অনুভব করা গেলে নামায বিশুদ্ধ হবে। হযরত আনাস রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
حديث أنس رضي الله عنه قال : ( كنا نصلي مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في شدة الحر ، فإذا لم يستطع أحدنا أن يمكن جبهته من الأرض يبسط ثوبه فيسجد عليه ) رواه البخاري ومسلم ،
আমরা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে প্রচন্ড গরমের সময় নামায পড়তাম।যখন গরমের কারণে যমিনে সিজদা দেওয়া সম্ভব হত না।তখন আমরা নিজ কাপড় বিছিয়ে,তার উপর সিজদা দিতাম।
আরো জানুনঃ
.
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত " আমাদের মসজিদ গুলোতে শীতের সময় কার্পেট বিছানো হয়।
এগুলো সাধারণত যথেষ্ট মোটা হয়ে থাকে, যেন ঠান্ডা না লাগে।
এটা সাধারণত অনেক শক্তই হয়ে থাকে,তেমন তোষকের মতো নরম নয়,
তাই এইরকম কার্পেটের উপর কি নামায হবে,কোনো সমস্যায় নেই।
,
হ্যাঁ যদি খুব নরম হয়,আর খুব মোটা হয়,তাহলে সেজদার কপাল যথেষ্ট চাপ দিয়ে রাখতে হবে।