আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ্।

শাইখ,আমার একটি পোষা বিড়াল আছে।সে প্রায় পুরোটা সময় আমাদের বাসাতেই কাটায়। সামান্য সময় বাহিরে যায়।যখন বাসায় থাকে,মাঝে মাঝে ও খুবই লাফালাফি করে।এতটা জোরে লাফালাফি করে যে,কখনো ড্রেসিং টেবিল থেকে জিনিসপত্র পড়ে গিয়ে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়,কখনো সোফার কাভার নখের আঁচড় দিয়ে কাটতে থাকে।অর্থ্যাৎ ওকে কন্ট্রোল করা যায় না।তখন ওকে থামানোর জন্য  ভয় দেখাতে বাধ্য হয়ে পিঠে ছোট করে চাপড়/চড় দিয়ে থাকি।তবে খুবই আস্তে আঘাত করি।আঘাত করার পর ওর আচরণ দেখে কখনো মনে হয়নি,ও খুব ব্যথা পেয়েছে।এরকম আঘাত করার পর কখনো ও চুপচাপ স্বাভাবিক ভঙ্গিতে আমার কাছে এসে বসে,আবার কখনো দুষ্টুমি করতেই থাকে।এমনিতে সারাক্ষণ আদর করি।ও সবসময় আমার কাছ ঘেঁষে থাকে। পড়ার টেবিল থেকে শুরু করে জায়নামাজ-সব জায়গায় আমার পাশাপাশি থাকে।

১.মাঝে মাঝে ওকে অধিক দুষ্টুমি করা থেকে থামানোর  জন্য আমি যে আঘাত করি,সেটি করে কি ওর উপর জুলুম করছি?যদি ওর উপর জুলুম করে থাকি,তবে এই গুনাহ থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য কি করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://www.ifatwa.info/4980  ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে  যে, 

পোষ্য প্রাণীকে নিয়মিত খাবার দাবার প্রদান করতে হবে। এবং তার আরো অন্যান্য হক আদায় করতে হবে। 
হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিত,

عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)(

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যে তাকে আঘাত করছেন,এটি কত জোড়ে? 
যদি ব্যাথা পাওয়ার মতো আঘাত করেন,তাহলে আপনার গুনাহ হবে।
এক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিতে হবে।

তাকে বাসায় রাখাকে তো শরীয়ত আপনার উপর বাধ্যতামূলক করে দেয়নি,সুতরাং বিড়ালকে বাসায় রাখলে যদি বিড়ালের এভাবে আঘাত সহ্য করতে হয়,সেক্ষেত্রে আপনার জন্য করনীয় হবে দূরে কোথাও গিয়ে তাকে রেখে চলে আসা।
বাসায় না রাখা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...