আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
edited by
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ্।

শাইখ, নিম্নোক্ত বিষয়ে আপনার পরামর্শ চাচ্ছি।

২০২০ সালে যখন করোনা দেখা দেয়,তখন আমার বাসার সামনে আমি একটি বিড়াল দেখতে পাই।বিড়ালটির ক্ষুধার্ত এবং অসহায় অবস্থা দেখে তার প্রতি আমার মায়া হয় এবং তাকে আমি খাবার খেতে দিই।ধীরে ধীরে বিড়ালটি আমাদের বাসায় আসা-যাওয়া করতে থাকে,তার প্রতি আমাদের পরিবারের মায়াও বাড়তে থাকে।

ধীরে ধীরে বিড়ালটি আমাদের পোষা প্রাণীতে পরিণত হয়।সবকিছুই ঠিক ছিল কিন্তু যখন বিড়ালটি মা হয়,তখনই  বিড়ালটিকে প্রতিপালন করতে আমার পরিবার থেকে আমাকে নিষেধ করা হচ্ছিল।কিন্তু আমি বাসার কথা তেমন কানে নেইনি। বিড়ালটির বাচ্চা প্রসব থেকে শুরু থেকে মোটামুটি তার খাওয়া-দাওয়া,ঘুম সবকিছুই আমার অধীনে চলে আসছে।ধীরে ধীরে বিড়ালটি ৩ বছরে পালাক্রমে ১১টি বিড়ালছানা আমার বাসায় প্রসব করে(আমার বাসায় প্রসব করার কারণ,আমি বিড়ালটির বিশ্বস্ত একটি আশ্রয়ে পরিণত হয়েছিলাম।)।সেসব ডেলিভারি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দয়াপরবশ হয়ে আমিই একা হাতে করি।

ইদানীং মোটামুটি গত একবছর ধরে আমার বাবা বিড়াল প্রতিপালন নিয়ে আমার প্রতি বিরক্ত।বারবার বিড়ালগুলোকে তাড়িয়ে দিতে বলছেন।

[উল্লেখ্য,মা বিড়ালের সবগুলো বিড়ালছানা এখন বড় হয়েছে।বিড়ালছানাসহ মা বিড়ালের খাবারের যোগান আমরা দিয়ে থাকি।তবে বিড়ালগুলো যেহেতু বড় হয়েছে,তারা মোটামুটি সবাই আমাদের বাসার বাহিরে থাকে।]

বর্তমানে আমাদের বাসার আশে পাশে বিড়ালের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে।বাসার সামনে তাদের খাবার আমি দিয়ে থাকি। মোটামুটি একবছর ধরে আমার প্রতিবেশিরা এবং আমাদের বিল্ডিং এর মালিক আমার বিড়াল প্রতিপালন নিয়ে বিরক্তবোধ করছেন এবং আমার পিতা-মাতার কাছে প্রায়ই অভিযোগ করছেন।বাসার সামনে বিড়ালগুলোকে খাবার দেওয়া,বিড়ালের ডাকাডাকি,অন্যান্য প্রতিবেশীদের বাসায় বিড়ালের আসা-যাওয়া,বাসার সামনে বিড়ালের অহরহ পায়খানা করে দেওয়া-মূলত এই বিষয়গুলোর জন্য আশেপাশের মানুষ খুবই বিরক্তবোধ করছেন এবং আমাকে অভিযুক্ত করছেন।

আজকাল বিড়ালগুলোকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার ব্যাপারেও আশেপাশের মানুষজন,বিল্ডিং এর মালিক, প্রতিবেশীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছেন।

১.প্রতিবেশীদের কষ্টে ফেলে এবং আমার পিতার কথা অমান্য করে বিড়ালগুলোকে প্রতিপালন করায় আমি কি গুনাহগার হয়েছি?

২.বিড়ালগুলোকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার পর তাদেরকে প্রতিপালন করা কি আমার উচিত হবে? এবং এমন অবস্থায় আমার কি করণীয়?

1 Answer

0 votes
by (717,920 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4980

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া জায়েয হবে না।আপনি বিড়ালকে খাচায় রেখে লালন পালন করবেন।অথবা উন্মোক্ত ছেড়ে দিবেন, তবে তার মল ইত্যাদি আপনাকেই পরিস্কার করতে হবে। অথবা আপনি দূরে কোথা ছেড়ে আসবেন, তাহলে আপনার এলাকার লোকজন আর বিড়ালকে হত্যা করতে পারবে না এবং আপনি মুক্তি পেয়ে যাবেন।বিড়াল সে তার রিযিক নিজেই খুজে নিবে।এ যোগ্যতা আল্লাহ তাকে দিয়েছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...