আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
256 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (36 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

 

শায়েখ, 

আমি খুব মানসিক চাপে আছি খুব খারাপ লাগছে। খুব ওসওয়াসায় আছি।যেমনঃ

আমি যদি কোন পাত্রী দেখতে যাই তাহলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করব সে কি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে কি না, সাওম পালন করে কি না,মেয়ে দীনদার কি না এরকম জিজ্ঞেস করব ইন শা আল্লাহ। 

এখন তারা যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে তাহলে আমি কি করব । আমি যদি উত্তর দেই এই নিয়ত করি তাহলে আমার এরকম মনে হয় যে তারা আমার দীনদার হওয়া দেখে মনে হয় আমাকে পছন্দ করবে। আর যদি এই নিয়ত করি যে তারা যদি আমাকে বলে সালাত আদায় কর কি না, কুরআন তিলাওয়াত করতে পার নাকি, আমি যদি চুপ থাকি তাহলে মনে হয় তারা আমাকে খারাপ বলবে বিবাহ নাও হতে পারে। 

প্রশ্ন শায়েখ, 

১।এখন আমি কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না। 

২।যদি কেউ এই নিয়ত করে যে তাকে কোন পাত্রী পক্ষ থেকে জিজ্ঞেস করলে যে সালাত,সাওম আদায় কর কি না, কুরআন তিলাওয়াত করতে পার নাকি তাহলে সে যদি এই নিয়তে বলে যে যদি চুপ থাকি তাহলে মনে হয় তারা আমাকে খারাপ বলবে বিবাহ নাও হতে পারে। এই কারণে যদি সে সত্য কথা বলে যে আমি এগুলো করি। তবে যদি তার নিয়ত এরকম থাকে তাহলে কি রিয়া হবে শিরক হবে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে? আমি কি করব কিছু বুঝতাছি না। 

৩।নিয়ত ঠিক করার জন্য কুরআন ও সহিহ হাদিসে যত দোয়া আপনার জানা আছে আমকে লিখে দেন তাহলে অনেক উপকৃত হব ইন শা আল্লাহ। 

৪।শায়েখ আমি প্রশ্ন ভালো ভাবে করতে পারছি না যদি আপনাদের নাম্বারটা দিতেন তাহলে ফোন করে ভালো করে বলতাম আমি খুব ওসওসায় আছি যদি নাম্বারটা দিতেত তাহলে অনেক উপকৃত হব ইন শা আল্লাহ 

1 Answer

0 votes
by (564,060 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


যদি শুধুমাত্র লোক দেখানো ইবাদত হয়,তাহলে এমন রিয়া ছোট শিরক।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا إِلَى مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَجَدَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَاعِدًا عِنْدَ قَبْرِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْكِي فَقَالَ مَا يُبْكِيكَ قَالَ يُبْكِينِي شَىْءٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ وَإِنَّ مَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الأَبْرَارَ الأَتْقِيَاءَ الأَخْفِيَاءَ الَّذِينَ إِذَا غَابُوا لَمْ يُفْتَقَدُوا وَإِنْ حَضَرُوا لَمْ يُدْعَوْا وَلَمْ يُعْرَفُوا قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ " .

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক দিন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মসজিদে গিয়ে মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবরের পাশে উপবিষ্ট অবস্থায় কান্নারত দেখতে পান। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কাঁদছো কেন? তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত কিছু বিষয় আমাকে কাঁদাচ্ছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ সামান্যতম কপটতাও শিরক। যে ব্যক্তি আল্লাহর কোন বন্ধুর (ওলী) সাথে শত্রুতা করলো, সে যেন আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলো। নিশ্চয় আল্লাহ ভালোবাসেন সৎকর্মপরায়ণ আল্লাহভীরু আত্মগোপনকারী বান্দাদের, যারা দৃষ্টির অন্তরাল হলে কেউ তাদের খোঁজ করে না, সামনে উপস্থিত থাকলে কেউ তাদের আপ্যায়ন করে না এবং তাদের পরিচয়ও নেয় না। তাদের অন্তরসমূহ হেদায়াতের আলোকবর্তিকা। তারা সব ধরনের অন্ধকারাচ্ছন্ন কদর্যতা থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাবে।
(ইবনে মাজাহ ৩৯৮৯)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে পাত্রী যা যা প্রশ্ন করে,আপন সবগুলোর সঠিক জবাব দিবেন।
রিয়া নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসলে সে সময়ে মনে মনে
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم 
لا حول ولا قوة الا بالله العلي العظيم 
বেশি বেশি পাঠ করবেন।

(০২)
এক্ষেত্রে কোনো রিয়া হবেনা, শিরক হবেনা ইমান নষ্ট হয়ে যাবেনা।

আপন সত্যি সত্যি সব বলে দিবেন।
মনে মনে রিয়া আসলে উপরোক্ত আমল করবেন।

(০৩)
আপনার মধ্যে ওয়াসওয়াসা এসেছে।
এই ওয়াসওয়াসা পরিহার করতে চাইলে বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে।
ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দেয়া যাবেনা।
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم 
لا حول ولا قوة الا بالله العلي العظيم 
বেশি বেশি পাঠ করবেন।
প্রয়োজনে 
لا حول ولا قوة الا بالله العلي العظيم 
তিনবার পাঠ করে বাম দিকে তিন বার থুথু ফেলবেন।

(০৪)
জী,ইনবক্স চেক করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...