আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in সালাত(Prayer) by (115 points)
১/ক্ষুধা পেলেও যদি সলাত আদায় করি তাহলে সলাতটা আদায় হবে?ধরলাম আমার ক্ষুদা পেলো কিন্তু সলাতের সময় কম।ফরজ আদায় করতে পারব কিন্তু সুন্নাত না।বা ক্ষুদা মিটাতে গিয়ে ফরজ সলাতের সময় ই পাব না।কোনো সময় যদি এমন হয় যে পেটে ক্ষুদা লাগলো,কিন্তু নিজের এখন খাওয়ার ইচ্ছা নাই।সলাত ও আদায় করছি।এই অবস্থাগুলোতে কি সলাত আদায় করলে সহিহ হবে?

২/আমার মধ্যে রিয়ার ওয়াসওয়াসা আছে।বুঝে উঠতে পারিনা আসলেই এইটা রিয়া হচ্ছে কিনা।যেমন আমার কাছে দ্বীনি ইলম,প্রডাক্টিভ লিখা থাকে যা মানুষের অনেক কাজে লাগবে।কিন্তু আমি কাউকে কিছু শেয়ার করলে তারা আমার তারিফ করে।দেখা যায় কয়জন লিখাটা পড়লো কয়জন রিয়েক্ট করলো সেটাও আমি দেখছি।সওয়াবের নিয়তেই দেওয়া হয়।যদিও নিয়ত সহিহ করে দেই কিনা আল্লাহই ভালো জানেন।আবার বড়দের  বিশেষ করে দ্বীনি বড় বোনদের কেমন খুশি করতে ভালো লাগে।তারা আমার নিজের প্রতি খুশি হলে আমার কেমন ভালো লাগে।তাদের প্রিয় হতে মন চায়।যেমন কাল মুক্বাররিরাহ আপুকে কিছু নোট (যা খুব হেল্পফুল) দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু নিয়ত খালেস করতে পারতেছিনা বুঝতেছিনা যে এইটা আমি আসলেই আল্লাহর জন্য দিচ্ছি নাকি মুক্বাররিরাহ আপু যাতে খুশি হোন এইজন্য! লাগছিলো আমি বেশি মুক্বাররিরাহ আপুকেই খুশি কর‍তে চাচ্ছি আল্লাহকে নয়।এইটা কি রিয়া হচ্ছে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ هِشَامٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ إِذَا وُضِعَ الْعَشَاءُ وَأُقِيمَتْ الصَّلاَةُ فَابْدَءُوا بِالْعَشَاءِ.

‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন রাতের খাবার উপস্থিত করা হয়, আর সে সময় সালাতের ইক্বামাত(ইকামত/একামত) হয়ে যায়, তখন প্রথমে খাবার খেয়ে নাও। (বুখারী ৬৭১.৫৪৬৫; মুসলিম ৫/১৬, হাঃ ৫৬০, আহমাদ ২৪২২১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৩৮)

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا وُضِعَ عَشَاءُ أَحَدِكُمْ وَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَابْدَءُوا بِالْعَشَاءِ، وَلاَ يَعْجَلْ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْهُ ". وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يُوضَعُ لَهُ الطَّعَامُ وَتُقَامُ الصَّلاَةُ فَلاَ يَأْتِيهَا حَتَّى يَفْرُغَ، وَإِنَّهُ لَيَسْمَعُ قِرَاءَةَ الإِمَامِ.

ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারো সামনে রাতের খাবার এসে পড়ে, অপরদিকে সালাতের ইক্বামাত(ইকামত/একামত) হয়ে যায়। তখন পূর্বে খাবার খেয়ে নিবে। খাওয়া রেখে সালাতে তাড়াহুড়া করবে না। [নাফি‘ (রহ.) বলেন] ইবনু ‘উমার (রাযি.)-এর জন্য খাবার পরিবেশন করা হত, সে সময় সালাতের ইক্বামাত(ইকামত/একামত) দেয়া হত, তিনি খাবার শেষ না করে সালাতে আসতেন না। অথচ তিনি ইমামের কিরাআত শুনতে পেতেন। (বুখারী ৬৭৩.৬৭৪, ৫৪৬৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ৬৩৩ , ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৪০)

★হাদীসের ব্যাখ্যা: 

(إِذَا وُضِعَ عَشَاءُ أَحَدِكُمْ)
‘যখন তোমাদের রাতের খাবার উপস্থিত করা হয়’। এ বাক্য থেকে জানা যায় যে, যখন খাবার উপস্থিত করা হয় তথন আগে খেয়ে পরে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করাই উত্তম। তবে খাবার রান্না করা থাকলে বা তা পাত্রে সংরক্ষিত থাকলেও যদি তা খাবার জন্য উপস্থিত না করা হয় তবে আগে সালাত আদায় করে নিবে।

(فَابْدَؤُوْا بِالْعَشَاءِ) ‘আগে রাতের খাবার খেয়ে নাও’। এখানে আদেশের মর্মার্থ নিয়ে ‘আলিমদের মতভেদ রয়েছে। জমহূর ‘উলামাদের মতে এ নির্দেশ ওয়াজিব বুঝায় না বরং তা উত্তম বা পছন্দনীয়। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের আহবানে সাড়া দিয়ে খাবার অবস্থায় স্বীয় হাতের গোশত (গোশত/গোস্ত/গোসত) ফেলে দিয়ে সালাতে চলে গেলেন। যদি আগে খাবার খাওয়া ওয়াজিব হত তাহলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাবার পরিত্যাগ করে সালাত আদায়ের জন্য চলে যেতেন না।

অত্র হাদীস প্রমাণ করে যে, খাবার উপস্থিত করা জামা‘আত পরিত্যাগ করার জন্য একটি ওযর। কেননা ইবনু ‘উমার (রাঃ) সালাতের ইক্বামাত শুনার পরও খাবার পরিত্যাগ করে জামা‘আতে যোগদান করতেন না যতক্ষণ না তার খাবার খাওয়া শেষ করতেন।

এ হাদীস থেকে এটাও সাব্যস্ত হয় যে, খাবার উপস্থিত করা হলে এমতাবস্থায় সালাত আদায় করা মাকরূহ। ইমাম নাবাবী বলেনঃ এটা এমন সময়ের জন্য যখন সালাতের সময় প্রশস্ত থাকে অর্থাৎ প্রচুর সময় থাকে কিন্তু যদি সালাতের সময় সংকীর্ণ হয়ে যায় তা হলে আগে সালাত আদায় করতে হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ক্ষুদা পেলেও যদি সলাত আদায় করেন, তাহলে সলাতটা আদায় হবে।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার সালাত সহীহ হবে।
,
খাবার খেতে গেলে ফরজ নামাজের ওয়াক্তই শেষ হয়ে যাবে,এমতাবস্থায় ফরজ নামাজই আদায় করতে হবে। 
এটিই করনীয়। 

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এটি রিয়া হবেনা।
এ থেকে মুক্তির আমল হলো আপনি এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা বাদ দিবেন।

আপনি নেক কাজ করে যাবেন,রিয়া হচ্ছে কিনা, এসব বিষয় মাথায় আসতেই দিবেননা।
তাহলেই ইনশাআল্লাহ সমস্যা কেটে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 95 views
...