জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ هِشَامٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ إِذَا وُضِعَ الْعَشَاءُ وَأُقِيمَتْ الصَّلاَةُ فَابْدَءُوا بِالْعَشَاءِ.
‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন রাতের খাবার উপস্থিত করা হয়, আর সে সময় সালাতের ইক্বামাত(ইকামত/একামত) হয়ে যায়, তখন প্রথমে খাবার খেয়ে নাও। (বুখারী ৬৭১.৫৪৬৫; মুসলিম ৫/১৬, হাঃ ৫৬০, আহমাদ ২৪২২১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৩৮)
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا وُضِعَ عَشَاءُ أَحَدِكُمْ وَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَابْدَءُوا بِالْعَشَاءِ، وَلاَ يَعْجَلْ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْهُ ". وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يُوضَعُ لَهُ الطَّعَامُ وَتُقَامُ الصَّلاَةُ فَلاَ يَأْتِيهَا حَتَّى يَفْرُغَ، وَإِنَّهُ لَيَسْمَعُ قِرَاءَةَ الإِمَامِ.
ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারো সামনে রাতের খাবার এসে পড়ে, অপরদিকে সালাতের ইক্বামাত(ইকামত/একামত) হয়ে যায়। তখন পূর্বে খাবার খেয়ে নিবে। খাওয়া রেখে সালাতে তাড়াহুড়া করবে না। [নাফি‘ (রহ.) বলেন] ইবনু ‘উমার (রাযি.)-এর জন্য খাবার পরিবেশন করা হত, সে সময় সালাতের ইক্বামাত(ইকামত/একামত) দেয়া হত, তিনি খাবার শেষ না করে সালাতে আসতেন না। অথচ তিনি ইমামের কিরাআত শুনতে পেতেন। (বুখারী ৬৭৩.৬৭৪, ৫৪৬৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ৬৩৩ , ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৪০)
★হাদীসের ব্যাখ্যা:
(إِذَا وُضِعَ عَشَاءُ أَحَدِكُمْ)
‘যখন তোমাদের রাতের খাবার উপস্থিত করা হয়’। এ বাক্য থেকে জানা যায় যে, যখন খাবার উপস্থিত করা হয় তথন আগে খেয়ে পরে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করাই উত্তম। তবে খাবার রান্না করা থাকলে বা তা পাত্রে সংরক্ষিত থাকলেও যদি তা খাবার জন্য উপস্থিত না করা হয় তবে আগে সালাত আদায় করে নিবে।
(فَابْدَؤُوْا بِالْعَشَاءِ) ‘আগে রাতের খাবার খেয়ে নাও’। এখানে আদেশের মর্মার্থ নিয়ে ‘আলিমদের মতভেদ রয়েছে। জমহূর ‘উলামাদের মতে এ নির্দেশ ওয়াজিব বুঝায় না বরং তা উত্তম বা পছন্দনীয়। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের আহবানে সাড়া দিয়ে খাবার অবস্থায় স্বীয় হাতের গোশত (গোশত/গোস্ত/গোসত) ফেলে দিয়ে সালাতে চলে গেলেন। যদি আগে খাবার খাওয়া ওয়াজিব হত তাহলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাবার পরিত্যাগ করে সালাত আদায়ের জন্য চলে যেতেন না।
অত্র হাদীস প্রমাণ করে যে, খাবার উপস্থিত করা জামা‘আত পরিত্যাগ করার জন্য একটি ওযর। কেননা ইবনু ‘উমার (রাঃ) সালাতের ইক্বামাত শুনার পরও খাবার পরিত্যাগ করে জামা‘আতে যোগদান করতেন না যতক্ষণ না তার খাবার খাওয়া শেষ করতেন।
এ হাদীস থেকে এটাও সাব্যস্ত হয় যে, খাবার উপস্থিত করা হলে এমতাবস্থায় সালাত আদায় করা মাকরূহ। ইমাম নাবাবী বলেনঃ এটা এমন সময়ের জন্য যখন সালাতের সময় প্রশস্ত থাকে অর্থাৎ প্রচুর সময় থাকে কিন্তু যদি সালাতের সময় সংকীর্ণ হয়ে যায় তা হলে আগে সালাত আদায় করতে হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ক্ষুদা পেলেও যদি সলাত আদায় করেন, তাহলে সলাতটা আদায় হবে।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার সালাত সহীহ হবে।
,
খাবার খেতে গেলে ফরজ নামাজের ওয়াক্তই শেষ হয়ে যাবে,এমতাবস্থায় ফরজ নামাজই আদায় করতে হবে।
এটিই করনীয়।
(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এটি রিয়া হবেনা।
এ থেকে মুক্তির আমল হলো আপনি এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা বাদ দিবেন।
আপনি নেক কাজ করে যাবেন,রিয়া হচ্ছে কিনা, এসব বিষয় মাথায় আসতেই দিবেননা।
তাহলেই ইনশাআল্লাহ সমস্যা কেটে যাবে।