জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সবচেয়ে ভালো হবে যে আপনি উক্ত টাকা কোনো ব্যবসায় লাগাবেন।
এক্ষেত্রে নিজেও কোনো ব্যবসা করতে পারেন,শরীয়তের নিয়ম মেনে স্টক ব্যবসাও করতে পারেন অথবা নিজের আত্মীয় স্বজন,বন্ধুদের মধ্যে কেউ ব্যবসায়ী থাকলে বা যেকোনো বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীর ব্যবসায় লাগাতে পারেন।
আপনি মুদারাবার ভিত্তিতে শতকরা আকারে লাভ নেয়ার চুক্তি করবেন।
আর যদি সেই টাকা আপনি ব্যাংকে রাখতে চান,সেক্ষেত্রে আপনি ইসলামী কোনো ব্যাংকে রাখতে পারেন।
তবে মুনাফা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দানা করে দিবেন।
ব্যাংকে রাখতে চাইলে বিস্তারিতঃ-
বর্তমান সময়ে বাসায় টাকা-পয়সা রাখা অনেকটা অনিরাপদ। অন্যদিকে সুদ হারাম,এবং সুদী কাজে সাহায্য করাও হারাম।
,
তাই বলা যায় যে, ব্যাংকে সেভিংস একাউন্টে টাকা রাখা যাবে না। কেননা তখন ব্যাংক কর্তৃত আইনগতভাবে উক্ত টাকা সুদী কারবারে ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যদিও ব্যাংক চাহিবামাত্র গ্রাহককে উক্ত টাকা দিতে বাধ্য থাকে।
এজন্যই উলামায়ে কেরাম পরামর্শ দেন যে,উক্ত ব্যাংক সমূহে কারেন্ট একাউন্ট খুলে টাকা রাখতে হবে। কেননা কারেন্ট একাউন্টের টাকা আইনগতভাবে ব্যাংক ব্যবহার করতে পারেনা।
,
যদি কোনো কারণে ঐ সব ব্যাংক সমূহে কারেন্ট একাউন্ট খোলা দুস্কর হয়ে যায়, তাহলে সুদ গ্রহণ না করার শর্তে তাতে সেভিংস একাউন্ট খুলে টাকা রাখা যাবে।
https://ifatwa.info/9109/
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি ইসলামী ব্যাংকে কারেন্ট একাউন্ট খুলবেন।
যদি কারেন্ট একাউন্ট খোলা সম্ভব না হয়, তাহলে বাধ্য হলে ডিপোজিট ও দীর্ঘমেয়াদী একাউন্টও জায়েজ আছে। তবে তার মুনাফাটি সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবেন।
فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٢:١٧٣
অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন পাপ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু। (সূরা বাকারা-১৭৩)
,
মুনাফা গ্রহন করবেননা,তবে সেখানে ছেড়েও আসবেননা।
উক্ত মুনাফা উত্তোলন করে তাহা সতর্কতা মূলক মুনাফা গরিব মিসকিনদের মাঝে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবেন।
আরো জানুনঃ