আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
reshown by

আসসালামু আলাইকুম

 

আমি আমার বউকে SMS এর মাধ্যমে 26.07.2022 তারিখে  শুধু তালাক দিলাম বলেছি এখানে এক তালাক বা দুই তালাক বলিনি তারপর 30.07.2022 তারিখে তারপর আবার তার সাথে থেকেছি  এবং পরবর্তীতে আমি চাকরিতে চলে আসি তখন তাকে অনেক বার বলেছি আমি তোমাকে তালাক দেব এবং আরও বলেছি তোমাকে তালাক দিয়ে দিয়েছি এখন আমাদের    তালাক হবে কি

 

এখানে আমি তালাক দিলাম বলেছি এই কারনে পরবর্তীতে তাকে আমি বলেছি তোমাকে তালাক দিয়ে দিয়েছি এখন আমাদের সম্পর্ক হারাম এখন তোমাকে তালাক দিয়ে দিয়েছি  বলার জন্য তালাক হবে কি. দয়া করে জানাবেন.

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি মেসেজে স্ত্রীকে যে তালাক দিয়েছেন,এর দরুন এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়েছে।
আপনি যে তার সাথে পুনরায় থেকেছেন,এর দ্বারা তাকে স্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে নেয়া উদ্দেশ্য থাকলে বা "ফিরিয়ে নিলাম" এমন কথা বলে থাকলে আপনাদের সম্পর্ক বৈধ হয়ে গিয়েছে।
 
এরপর আপনি চাকরিতে চলে আসার পর স্ত্রীকে অনেক বার বলেছেন যে "আমি তোমাকে তালাক দিবো" এ কথার দরুন নতুন করে আর তালাক পতিত হবেনা।
আগের এক তালাকই থাকবে।

তবে এক্ষেত্রে আপনি যে আপনার স্ত্রীকে বলেছেন, "তোমাকে তালাক দিয়ে দিয়েছি"

এখানে আপনার আগের সেই এক তালাক দেয়ার খবর দেয়ার উদ্দেশ্য থাকলে, নতুন করে তালাক দেয়ার উদ্দেশ্য না থাকলে এ কথার দরুন তালাক হবেনা।
আগের এক তালাকই থাকবে।

আর যদি এই বাক্য দ্বারা আগের সেই এক তালাকের খবর দেয়া উদ্দেশ্য না থাকে,বরং নতুন করে তালাক দেয়ার উদ্দেশ্য থাকে,সেক্ষেত্রে দুই তালাক পতিত হবে। 
যদি এটি একের অধিক বার এভাবে নতুন করে তালাক দেয়ার উদ্দেশ্য বলে থাকেন, তাহলে তিন তালাক পতিত হবে। 
এক্ষেত্রে আপনার স্ত্রী আপনার জন্য সম্পূর্ণভাবে হারাম হবে।
শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত ফিরিয়ে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...