আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
122 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম,
যারা কিস্তিতে টাকা আনে তারাতো সুদের সাথেই সম্পৃক্ত।  যদি কোন লোক সুদ সংক্রান্ত সকল ভয়ানক শাস্তি সম্পর্কে জেনেও কিস্তিতে বার বার টাকা উঠায়,  এবং মানা করলে বলে ওয়াদা করে আর উঠাবে না,  আর কিছুদিন পর সামান্য অসুবিধায় পরলেই আবার কিস্তিতে টাকা উঠায়। তার প্রতি তার মায়ের করনীয় কি??? তার মাও মাশাল্লাহ সব হাদিস শুনে এবং জানে। কিন্তু ছেলেকে এব্যপারে কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা করে না। এ ব্যপারে একটু বলবেন প্লিজ,  তার মায়ের এ ব্যপারে ছেলেকে কতটুকু নিষেধ করা উচিৎ?  মা নিষেধ না করার জন্য কি গোনাহগার হচ্ছে?? আর ঐ লোকের বোনেরা এ সম্পর্কে নিষেধ করার পরোও যদি কোন কথা না শুনে এ ব্যপারে ঐ ভাইয়ের সাথে বোনের কেমন সম্পর্ক রাখা উচিৎ?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে। কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। 
(সূরা ফাতির-১৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সন্তান সাবালক হওয়ার পর যদি সুদে জড়িয়ে যায়, তাহলে মা তার সন্তানকে সর্বোচ্ছ সতর্ক করবে! তারপরও যদি সন্তান বিরত না হয়, তাহলে সম্পর্ক ত্যাগ করবে। এরপরও যদি সন্তান বিরত না হয়, তাহলে  তাহলে এক্ষেত্রে মায়ের কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...