আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (31 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, উস্তাদ আমি একজন মেয়ে।

আমার আম্মা আব্বা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে ব্রাক থেকে লোন নিয়ে ব্যাবসায় করেন এবং আমাদেরকে মানুষ করেন।আমার আব্বা এখন এই দুনিয়াতে নেই। আমি সংসারের বড় আমি পরিপূর্ণ পর্দা করি তাই জব করতে চাচ্ছি না আম্মা আমাকে এর জন্য মানসিক ভাবে আঘাত করে।আমার করণীয় কি?

অন্যদিকে আমি উনাকে সুদ দেওয়া যে হারাম সে সম্পর্কে বললে আমাকে অনেক অপমান করে। বলে এই টাকা দিয়ে বড় হইছো লেখাপড়া করছো এখন হারাম।
আমি বলেছি অনেক বার যে আম্মু আপনি নিয়ত করেন যে আর লোন নিবেন না দেখবেন আল্লাহ রিযিকের ব্যাবস্থা করে দিবেন তিনি কিছুতেই মানতে রাজি না।

আবার আমার ছোট বোন ২০ বছর বয়স সে জব করে সে হারাম অনেক কিছুতে ইনভলভ রয়েছে আম্মুর কষ্ট দেখে সে জব করে।এখন আমার জব না করার কারণে যে আর বা আওন্য ভাই বোনের কষ্ট হচ্ছে ওর দ্বায়ভার কি আমাকেই বহন করতে হবে?

আমাকে যেহেতু দ্বীনদার পাত্রের সাথে বিয়ে ও দিচ্ছে না তাদের টাকায় আমাকে খেতে হচ্ছে এটি কি আমার জন্য হালাল হবে?

কোরনা ভ্যাক্সিন এর জন্য রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে কিন্তু আমি দিতে আগ্রহী নই, এক্ষেত্রে কি পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হবে?

আমার আম্মা বলছেন পরে বড় কোনো রোগ হলে ডক্তররা বলবেন ভ্যাক্সিন না দেওয়ার কারণে।কিন্তু আমি এতে বিশ্বাস করি না আমার বিশ্বাস আল্লাহ এমন কিছুই আমার সাথে করবেন না।এবং এই ভ্যাক্সিন দ্বারা আমি নিজেই যেনে বুঝে নিজের ক্ষতিই করছি।অন্য দিকে আমি পেইপ্টিক আলসার এবং হার্ট এর সমস্যায় ভূগছি।আমার মনে হচ্ছে ভেক্সিন নিলে আমার ভালোর জায়গায় ক্ষতিটাই বেশি হবে
উস্তাদ আমাকে সুন্দর উত্তর এর সাথে কিছু নসিহা দিবেন ইনশাআল্লাহ।
জাযাকাল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (63,080 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

সুদ আদান প্রদাণ সম্পূর্ণ হারাম।

https://www.ifatwa.info/4247 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

সুদ হারাম। আল্লাহ তা'আলা বলেন,

اَلَّذِیْنَ یَاْكُلُوْنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا یَقُوْمُ الَّذِیْ یَتَخَبَّطُهُ الشَّیْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْۤا اِنَّمَا الْبَیْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا  فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ فَانْتَهٰی فَلَهٗ مَا سَلَفَ  وَ اَمْرُهٗۤ اِلَی اللهِ  وَ مَنْ عَادَ فَاُولٰٓىِٕكَ اَصْحٰبُ النَّارِ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ.

যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এজন্য যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয় তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যার নিকট তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তবে অতীতে যা হয়েছে তা তারই। আর তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় করবে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। (সূরা বাকারা-২)

 

সুদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন -

واحل الله البيع و حرم الربوا.

" আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন৷" (সূরা বাকারা, আয়াত:২৭৫)

 

সুদ কতখানি জঘন্য তা হাদীস শরীফে এসেছে-

عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : "الربا سبعون حوبا،أيسرها أن ينكح الرجل أمه."

حكم الحديث: صحيح

"হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত৷ তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- "সুদের ৭০ টি স্তর রয়েছে৷ সবচেয়ে নিম্নটি হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা৷" (ইবনে মাজাহ: অধ্যায়: ব্যবসা-সুদ:২২৭৪)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

১. বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন

ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ (اﻧْﺘَﻬَﻰ)

নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয। (আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯;

বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭;)

সুদ ব্যতিত বেঁচে থাকা অসম্ভব হলে,কেবল তখনই সুদের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ জায়েয হতে পারে।

. মেয়েদের চাকরী করা সম্পর্কে জানুন- https://ifatwa.info/18512/?show=18512#q18512

৩. করোনার টিকা নেওয়া সম্পর্কে জানুন- https://ifatwa.info/22336/?show=22336#q22336


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...