আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (55 points)
edited by
১.তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত কোনো মহিলা যদি বলে "আমার সংসার করা হবে না শেষকালে" (এখানে শুরুতে আমার শব্দটা বলেছে কিনা সন্দেহ তবে সংসার করা হবে না শেষকালে এটুকু বলেছে শিওর) এবং যদি হঠাৎ তালাকের নিয়ত চলে আসে মাথায় তবে শুরুতে এসেছে নাকি মাঝে এসেছে এটা নিয়ে সন্দেহে থাকে।এমতাবস্থায় ঐ বাক্যাটা বলাতে কি তালাক হবে?? এটা কি কেনায়া বাক্য?

২.নামাজে সালাম ফিরানো নিয়ে সন্দেহ হলে ১ টা নাকি ২ টা দিলাম তা নিয়ে সন্দেহ হলে কি করনীয়?

৩.প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজেই সন্দেহ থাকে। বিশেষ করে সেজদা নিয়ে ১ টা দিলাম নাকি ২ টা দিলাম সন্দেহ হয় কোনো না কোনো রাকাতে প্রত্যেক ওয়াক্তেই।আর রুকু সহু সেজদা নিয়েও প্রায়ই সন্দেহ হয়।সূরা ফাতেহা পড়ার সময় মনে হয় আয়াত বাদ পড়ছে ২ বার ৩ বারও পড়ি।ওজুতে মনে হয় অঙ্গ ধোঁয়া হচ্ছে না ৩ বারের বেশি ধোয়া হয়ে যায় প্রশাবের পর পানি পবিত্র হতে সময় লাগে।আমার কি ওজু নামাজ আদায় হচ্ছে??আমার খুব কস্ট কস্টে কান্না আসে।

৪.আমার দৈনন্দিন অনেক কাজেই সন্দেহ হয় মনে হয় করিনি অথচ করি।আগের তালাক সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো নিয়ে সন্দেহ হয় শুধু নেগেটিভ সন্দেহই হয়।আরো অনেক সমস্যাই হচ্ছে।আমি কাউকে বুঝাতেও পারিনা।স্বামী বলেছিলাম কিছু বিষয়ে সন্দেহের ব্যাপারে।পরে সে বললো তোমার সন্দেহ শুনতে শুনতে আমারও নামজে সমস্যা হয়।তাই আর বলিনা।আমার কি করনীয়??

৫.আমি সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও নামাজ চালিয়ে গেলে রুকু সেজদা পুনরায় আদায় না করলে কি নামাজ হবে?

৬.একটা মানুষকে কখন বেদ্বীন বলা যাবে??ইসলামের কি কি কাজ করলে বা না করলে সে বেদ্বীন বলে গন্য হবে??

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত কোনো মহিলা যদি বলে "আমার সংসার করা হবে না শেষকালে" (এখানে শুরুতে আমার শব্দটা বলেছে কিনা সন্দেহ তবে সংসার করা হবে না শেষকালে এটুকু বলেছে শিওর) এবং যদি হঠাৎ তালাকের নিয়ত চলে আসে মাথায় তবে শুরুতে এসেছে নাকি মাঝে এসেছে এটা নিয়ে সন্দেহে থাকে।e

এমতাবস্থায় ঐ বাক্যাটা বলাতে তালাক হবে না। এটা কেনায়া বাক্য নয়।

(২) নামাজে সালাম ফিরানো নিয়ে সন্দেহ হলে ১ টা নাকি ২ টা দিলাম, তা নিয়ে সন্দেহ হলে, করণীয় কি?

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1797

(৩) প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজে সন্দেহ হলে,তাহাররি তথা গভীর চিন্তাভাবনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেদিকে মন সায় দেয়, সেই অনুযায়ী নামায পড়তে হবে। এবং শেষে সাহু সিজদা দিতে হবে।


(৪) সন্দেহ সন্দেহই। সন্দেহের উপর কোনো হুকুম আরোপিত হয়না। সুতরাং সন্দেহকে পরিহার করাই উচিৎ।

(৫) সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও নামাজ চালিয়ে গেলে রুকু সেজদা পুনরায় আদায় না করলে, নামাজ হবে। তবে যদি সন্দেহ ৫০% এর বেশী হয়, তাহলে সেই সন্দেহকে আমলে নিয়ে শেষে সাহু সিজদা দিতে হবে।

(৬) বেদ্বীন শব্দের ব্যবহার অনেক ভাবেই হতে পারে।কখনো অমুসলিমকে বেদ্বীন বলা হয়ে থাকে আবার কখনো এমন মানুষকেও বেদ্বীন বলা হয়, যে ইসলামকে সঠিকভাবে পালন করে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...