জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْجَاهِرُ بِالْقُرْآنِ كَالْجَاهِرِ بِالصَّدَقَةِ وَالْمُسِرُّ بِالْقُرْآنِ كَالْمُسِرِّ بِالصَّدَقَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ الَّذِي يُسِرُّ بِقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ أَفْضَلُ مِنَ الَّذِي يَجْهَرُ بِقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ لأَنَّ صَدَقَةَ السِّرِّ أَفْضَلُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ صَدَقَةِ الْعَلاَنِيَةِ وَإِنَّمَا مَعْنَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ لِكَىْ يَأْمَنَ الرَّجُلُ مِنَ الْعُجْبِ لأَنَّ الَّذِي يُسِرُّ الْعَمَلَ لاَ يُخَافُ عَلَيْهِ الْعُجْبُ مَا يُخَافُ عَلَيْهِ مِنْ عَلاَنِيَتِهِ .
হাসান ইবন আরাফা (রহঃ) ...... উকবা ইবন আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, প্রকাশ্যে কুরআন পাঠকারী প্রকাশ্যে সাদাকা প্রদানকারীর মত। আর গোপনে কুরআন পাঠকারী গোপনে সদাকা প্রদানকারীর মত।
সহীহ, মিশকাত তাহকিক ছানী ২২০২, সহীহ আবু দাউদ ১২০৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯১৯ [আল মাদানী প্রকাশনী আবূ দাঊদ ১৩৩৩, তিরমিযী ২৯১৯, নাসায়ী ২৫৬১, আহমাদ ১৭৩৬৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৪৭১২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৭৩৪, সহীহ আল জামি‘ ৩১০৫।]
এই হাদীসটি হাসান-গারীব। হাদীসটির মর্ম হল, প্রকাশ্যে কুরআন তিলাওয়াতকারী অপেক্ষা গোপনে কুরআন তিলাওয়াকারী উত্তম। কেননা আলিমগণের মতে প্রকাশ্যে সাদাকা প্রদান অপেক্ষা গোপনে সাদাকা করা উত্তম।
আলিমগণের মতে এর হিকমত হল, পাঠক যেন অহংকার থেকে বেঁচে থাকে সে জন্য এই কথা বলা হয়েছে। কেননা প্রকাশ্যে আমলকারীর ক্ষেত্রে অহংকারের যতটা আশংকা থাকে গোপনে আমলকারীর ক্ষেত্রে ততটা আশংকা থাকে না।
(তিরমিজি ২৯১৯)
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবু কাইস রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কুরআন তেলাওয়াত করা সম্পর্কে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা প্রশ্ন করলাম- তাঁর কুরআন তেলাওয়াত কেমন ছিল? তিনি কি তা চুপি চুপি পড়তেন না সশব্দে পড়তেন? তিনি (হজরত আয়েশা) বললেন, উভয়ভাবেই পড়তেন। কখনো তিনি তা চুপে চুপে পড়তেন, আবার কখনো সশব্দে পড়তেন। আমি বললাম, সব প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য; যিনি এ ব্যাপারে প্রশস্ততর ব্যবস্থা রেখেছেন। (আবু দাউদ, মুসলিম, বুখারি)
★মুমিন মুসলমানের জন্য উভয়ভাবেই কুরআন তেলাওয়াত করা এবং অধ্যয়ন করার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং যারা যেভাবে কুরআন তেলাওয়াত ও অধ্যয়নে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন সেভাবেই কুরআন তেলাওয়াতে কোনো বাধা নেই।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কুরআন আস্তে তিলাওয়াত করা ও জোড়ে তিলাওয়াত করা উভয়টির অনুমোদন রয়েছে।
রিয়ার আশংকা থাকলে আস্তে তিলাওয়াত উত্তম হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আস্তে আওয়াজে তিলাওয়াত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো জিহবা নাড়িয়ে এতটুকু আওয়াজ,যেটা কমপক্ষে নিকের কানে আসবে।
জিহবা নাড়িয়ে নিজের কানে আসার মতো আওয়াজ না হলে এটিকে উচ্চারণ বলা হবেনা।
এক্ষেত্রে প্রতি হরফ তিলাওয়াতে যে ছওয়াব,সেই ছওয়াব পাওয়া যাবেনা।