কেহ যদি জামায়াতে শরীক হতে এসে দেখে যে ইমাম সাহেব রুকুতে চলে গিয়েছে,সেক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো সোজা হয়ে দাড়িয়ে মুখে তাকবিরে তাহরিমা বলে তারপর রুকুতে গিয়ে ইমামকে সামান্য সময়ের জন্য পেলেই তবে সে উক্ত রাকাত পাবে।
নতুবা তাকে উক্ত রাকাত পায়নি বলেই গন্য করা হবে।
এখানে ইমামকে এক তাসবীহ পরিমাণ পাওয়া জরুরি নয়।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال من أدرك ركعة من الصلاة فقد أدركها قبل أن يقيم الإمام صلبه
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের রুকু পেয়ে যায় ইমাম তার পিঠ সোজা করার পূর্বে, সে ব্যক্তি উক্ত রাকাত পেয়ে গেল।
{সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪০৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৩২৯, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪৫, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৬৯৩, নসবুর রায়াহ, হাদীস নং-৩২৭}
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই ,
আপনি যে রুকুতে যেতে যেতে তাকবির দিতেন,এটা কি তাকবিরে তাহরিমা? তথা নামাজ শুরু করার তাকবির? নাকি রুকুর তাকবির?
এটা যদি তাকবিরে তাহরিমা তথা নামাজ শুরু করার তাকবির হয় অর্থাৎ আপনি মসজিদে গিয়ে দেখেন যে ইমাম সাহেব রুকুতে চলে গিয়েছে, তখন যদি আপনি তাকবির বলে ইমামের সাথে উক্ত রুকুতে চলে যেতে যেতে তাকবীর দিতেন, বলতে গেলে পরিপূর্ণ রুকু অবস্থায় যাওয়ার আগ মুহুর্তে তাকবীর দেওয়া শেষ হতো।
সেক্ষেত্রে এটিই যদি নামাজ শুরু করার তাকবির হয় তথা তাকবিরে তাহরিমা হয়,তাহলে তো আপনি উক্ত রাকাত পাননি বলেই গন্য হবে।
তাই সেই রাকাতটি নামাজের শেষে পুনরায় মাসবুক হিসেবে আদায় করতে হবে।
যদি আদায় না করেন,সেক্ষেত্রে এক রাকাত কম নামাজ পড়ায় আপনার নামাজ হবেনা। পুনরায় আদায় করতে হবে।
★আর যদি উক্ত তাকবির তাকবিরে তাহরিমা না হয় অর্থাৎ এটিই যদি নামাজ শুরু করার তাকবির না হয়,বরং নামাজ আপনি আগেই শুরু করেছেন,বা তাকবিরে তাহরিমা আগেই আদায় করেছেন,এখন রুকুর তাকবির বলতে বলে রুকুতে যাচ্ছেন,সেক্ষেত্রে এই তাকবির তো সুন্নাত।
এক্ষেত্রে নামাজের কোনো সমস্যাই হবেনা।
আপনার নামাজ হয়ে যাবে।