আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
422 views
in সালাত(Prayer) by (51 points)
হুযুর,বিতরের নামাজের ৩য় রাকায়াতে যে তিন বার সূরা ইখলাস পড়ে তাকবীরে তাহরিমা বলতে হয়,এটা কি ফরজ?মহিলাদের যদি এই তাকবীরের তাহরিমায় কাধ পর্যন্ত হাত উঠতে ভুল হয়ে যায় তাইলে নামাজ হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ক. সা’দ ইবনে হিশামের বর্ণনা বর্ণনাটি সহীহ মুসলিমে (১/২৫৬) রয়েছে। সা’দ ইবনে হিশাম বলেন, ‘‘আমি উম্মুল মু’মিনীনের নিকট আরজ করলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিতর সম্পর্কে আমাকে বলুন। তিনি উত্তরে বললেন, ‘আমরা তাঁর জন্য মিসওয়াক ও (অযুর) পানি প্রস্তুত রাখতাম। রাতে আল্লাহ যখন তাঁকে জাগ্রত করতেন, তিনি ওঠতেন এবং মিসওয়াক করতেন ও অযু করতেন। অতঃপর নয় রাকাত নামায পড়তেন। শুধু অষ্টম রাকাতে বসতেন এবং আল্লাহ তাআলার যিকর ও হামদ-ছানা করতেন এবং দুআ করতেন। অতঃপর সালাম না ফিরিয়ে উঠে যেতেন। নবম রাকাতে বসতেন এবং দুআ করতেন। এরপর এমনভাবে সালামের বাক্য পাঠ করতেন যে, তা আমাদের শ্রুতিগোচর হত। এরপর বসে বসে দুই রাকাত নামায পড়তেন। তো সর্বমোট এগারো রাকাত হল হে বৎস! এরপর যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বয়স বৃদ্ধি পেল এবং শরীর ভারী হয়ে গেল তখন তিনি সাত রাকাত দ্বারা বিতর পড়তেন এবং (শেষের) দুই রাকাত পূর্বের মতোই আদায় করতেন। তো সর্বমোট নয় রাকাত হল হে বৎস!’’
 ﺃﻧﺒﺌﻨﻲ ﻋﻦ ﻭﺗﺮ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻘﺎﻟﺖ ﻛﻨﺎ ﻧﻌﺪ ﻟﻪ ﺳﻮﺍﻛﻪ ﻭﻃﻬﻮﺭﻩ ﻓﻴﺒﻌﺜﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﺎ ﺷﺎﺀ ﺃﻥ ﻳﺒﻌﺜﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻴﻞ ﻓﻴﺘﺴﻮﻙ ﻭﻳﺘﻮﺿﺄ ﻭﻳﺼﻠﻲ ﺗﺴﻊ ﺭﻛﻌﺎﺕ ﻻ ﻳﺠﻠﺲ ﻓﻴﻬﺎ ﺇﻻ ﻓﻲ ﺍﻟﺜﺎﻣﻨﺔ ﻓﻴﺬﻛﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻳﺤﻤﺪﻩ ﻭﻳﺪﻋﻮﻩ ﺛﻢ ﻳﻨﻬﺾ ﻭﻻ ﻳﺴﻠﻢ ﺛﻢ ﻳﻘﻮﻡ ﻓﻴﺼﻠﻲ ﺍﻟﺘﺎﺳﻌﺔ ﺛﻢ ﻳﻘﻌﺪ ﻓﻴﺬﻛﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻳﺤﻤﺪﻩ ﻭﻳﺪﻋﻮﻩ ﺛﻢ ﻳﺴﻠﻢ ﺗﺴﻠﻴﻤﺎ ﻳﺴﻤﻌﻨﺎ ﺛﻢ ﻳﺼﻠﻲ ﺭﻛﻌﺘﻴﻦ ﺑﻌﺪﻣﺎ ﻳﺴﻠﻢ ﻭﻫﻮ ﻗﺎﻋﺪ ﻓﺘﻠﻚ ﺇﺣﺪﻯ ﻋﺸﺮﺓ ﺭﻛﻌﺔ ﻳﺎ ﺑﻨﻲ ﻓﻠﻤﺎ ﺃﺳﻦ ﻧﺒﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﺃﺧﺬﻩ ﺍﻟﻠﺤﻢ ﺃﻭﺗﺮ ﺑﺴﺒﻊ ﻭﺻﻨﻊ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﻛﻌﺘﻴﻦ ﻣﺜﻞ ﺻﻨﻴﻌﻪ ﻓﻲ ﺍﻷﻭﻝ ﻓﺘﻠﻚ ﺗﺴﻊ ﻳﺎ ﺑﻨﻲ. 
এই বর্ণনা থেকে কারো কারো ধারণা হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমদিকে নয় রাকাত বিতর পড়তেন এবং শুধু অষ্টম রাকাতে বৈঠক করতেন ও নবম রাকাতে সালাম ফেরাতেন। বয়স বেড়ে যাওয়ার পর সাত রাকাত পড়তেন এবং শুধু ষষ্ঠ রাকাতে বৈঠক করতেন ও সপ্তম রাকাতে সালাম ফেরাতেন। অথচ এই হাদীস এই সনদে (সা’দ ইবনে হিশাম ‘আন আয়েশা) হাদীসের বহু কিতাবে এভাবে বর্ণিত হয়েছে, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না।’
 ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻻ ﻳﺴﻠﻢ ﻓﻲ ﺭﻛﻌﺘﻲ ﺍﻟﻮﺗﺮ
 (নাসায়ী ১/২৪৮; মুয়াত্তা ইমাম মুহাম্মাদ পৃ. ১৫১; তহাবী ১/১৩৭; মুহাল্লা ইবনে হাযম ২/৪৮; ইবনে আবী শায়বা ২/২৯৫; মুসতাদরাকে হাকিম ১/৩০৪; দারাকুতনী পৃ. ১৭৫; বাইহাকী ৩/৩১) মুসতাদরাকে হাকিম কিতাবে (১/৩০৪) হাদীসটি (সা’দ ইবনে হিশাম ‘আন আয়েশা) এভাবে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন রাকাত বিতর পড়তেন এবং শুধু শেষ রাকাতে সালাম ফেরাতেন।’
 ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻮﺗﺮ ﺑﺜﻼﺙ ﻻ ﻳﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﻓﻲ ﺁﺧﺮﻫﻦ
মুসনাদে আহমদে (৬/১৫৬) সা’দ ইবনে হিশামের বর্ণনা এভাবে আছে, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার নামায আদায় করার পর গৃহে প্রবেশ করতেন এবং দুই রাকাত নামায পড়তেন। এরপর আরো দুই রাকাত পড়তেন, যা পূর্বের নামাযের চেয়ে দীর্ঘ হত। এরপর তিন রাকাত পড়তেন, যা মাঝে আলাদা করতেন না। এরপর বসে বসে দুই রাকাত নামায পড়তেন।
 ﺇﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻌﺸﺎﺀ ﺩﺧﻞ ﺍﻟﻤﻨﺰﻝ ﺛﻢ ﺻﻠﻰ ﺭﻛﻌﺘﻴﻦ ﺛﻢ ﺻﻠﻰ ﺑﻌﺪﻫﻤﺎ ﺭﻛﻌﺘﻴﻦ ﺃﻃﻮﻝ ﻣﻨﻬﻤﺎ ﺛﻢ ﺃﻭﺗﺮ ﺑﺜﻼﺙ ﻻ ﻳﻔﺼﻞ ﺑﻴﻨﻬﻦ ﺛﻢ ﺻﻠﻰ ﺭﻛﻌﺘﻴﻦ ﻭﻫﻮ ﺟﺎﻟﺲ

বিস্তারিত জানুন- ৮৫৯


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিতিরের নামাযে তৃতীয় রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা এবং অন্য একটি সূরা পড়ার নিয়ম রয়েছে।তিনবার সূরা ইখলাছ পড়ার কোনো বিশেষ নিয়ম নাই।কেউ চাইলে অবশ্যই পড়তে পারবে।

যাই হোক তাকবীর ওয়াজিব।এবং দু'আয়ে কুনুত পড়াও ওয়াজিব।কাধ বারাবর হাত উত্তোলন সুন্নত।সুতরাং কাধ বরাবর উঠাতে ভূল হয়ে গেলে নামায হয়ে যাবে।তবে তাকবীর ভুলে গেলে সাহু সিজদা আসবে।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...