আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in সালাত(Prayer) by (44 points)
সম্মানীত শায়েখ আস সালামু আলাইকুম।  প্রশ্নটির উত্তর খুজেছি পাইনি বলে করা।  কয়েকদিন ধরে আমার শরীল খারাপ।  আমি ফজরের সুন্নত পড়তে পড়তে দ্বিতীয় রাকাতে রুকুতে গিয়ে আমি তাসবীহ কি পড়বো ভুলে গেছি।  একবার সূরা নাস ১ ম আয়াত পড়ে ফেলেছি।  বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়ে ফেলেছি। আমি মনে করতে পারছিলাম না।  পরে মনে পড়লে কোনটা রুকু কোনটা সিজদাহ এটা নিয়ে সংশয়ে পড়ে যায়। পরে সঠিক টা পড়ে নিই।
যেহেতু আমার তিন তাসবীহ পরিমান দেরি হয়েছে তাই আমি ভেবেছি আমার সাহু সেজদাহ দিতে হবে। কারন মাসআলা আমার জানা ছিলোনা । আমি সাহু সেজদাহ দিই।  পরে ভাবি দেহড়িয়ে নিবো কিনা কিন্তু ফরজ সালাত আরম্ভ হয়ে যায় ।

এখন আমার ভুল হলে করনীয় কি যদি বলতেন । সালাত কি দেহড়িয়ে নিতে হবে ।

প্রশ্ন ১: ছোটবেলায় একজনের একটা বাল্ব চুরি করে সেটা দিয়ে খেলা করেছিলাম। আপনারা বলেছিলেন হক আদায় করতে হবে। আমি সেই ব্যাক্তি এর wife এর বিকাশ নম্বর মেনেজ করে ৩০০ টাকা দিয়ে দিছি আমার কি হক আদায় হয়েছে। নাকি আরও কিছু করতে হবে

1 Answer

0 votes
by (63,080 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয় ৬ কারণে। যথা-

১) কোন রুকন আগে করে ফেলা।

২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা।

৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা।

৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন  জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া।

৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া।

৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া

أنه يجب بستة أشياء: بتقديم ركن، وبتأخير ركن، وتكرار ركن، وبتغيير واجب، وبترك واجب، وبترك سنّة تضاف إلى جميع الصلاة (المحيط البرهانى، كتاب الصلاة، الفصل السابع فى سجود السهو-1/501)

মর্থার্থ: ছয় কারণে সেজাদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়। যথা: ১) কোন রুকন আগে করে ফেলা২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা। ৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা। ৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন  জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া। ৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া। ৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া

 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯. (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

 

চুরি করা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৮) যথাসাধ্য চেষ্টার পরেও যদি মালিককে খুঁজে পাওয়া না যায়, তখন উক্ত টাকা তার নামে ছাদাক্বা করে দিতে হবে। তাহ’লে আশা করা যায় আল্লাহ ক্ষমা করবেন। উল্লেখ্য যে, মালিক শনাক্ত হওয়ার পরেও লজ্জা বা অপমান মনে করে তাকে তার সম্পদ ফিরিয়ে না দিলে এবং তার নিকট মাফ না চাইলে মনে রাখতে হবে যে, ইহকালের শাস্তি ও অপমান হ’তে পরকালের শাস্তি ও অপমান অনেক কঠিন এবং ভয়াবহ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১২৭)

আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/26858/?show=26858#q26858

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার নামাজ সহীহ হয়ে গিয়েছে। উক্ত নামাজ আর পড়া লাগবে না।

২. যদি উক্ত চুরিকৃত বাল্বের দাম ৩০০ টাকা বা তার থেকে কম হয়ে থাকে এবং তার স্ত্রীর তার স্বামীকে উক্ত ৩০০ টাকা দিয়ে দেওয়ার ওয়াদা করে থাকে এবং দিয়েও দেয় তাহলে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত হক আদায় হয়েছে বলে ধরা হবে। তবুও উক্ত কাজের জন্য অনুতপ্ত হতে হবে এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে তাওবা করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 112 views
0 votes
1 answer 183 views
...