জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
মহিলাদেরও স্বপ্নদোষ হয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ اللهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ فَهَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ مِنْ غُسْلٍ إِذَا احْتَلَمَتْ قَالَ نَعَمْ إِذَا رَأَتِ الْمَاءَ فَغَطَّتْ أُمُّ سَلَمَةَ وَجْهَهَا وَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ أَوَتَحْتَلِمُ الْمَرْأَةُ؟ قَالَ نَعَمْ تَرِبَتْ يَمِينُكِ فَبِمَا يُشْبِهُهَا وَلَدُهَا.
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন (আনাস (রাঃ)-এর মা) উম্মু সুলায়ম (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ তা‘আলা হক কথা বলতে লজ্জাবোধ করেন না। স্ত্রীলোকের স্বপ্নদোষের কারণে তার ওপর কি গোসল ফরয হয়? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তরে বললেনঃ হাঁ, যদি (ঘুম থেকে জেগে উঠে) বীর্য দেখে। এ উত্তর শুনে উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) (লজ্জায়) স্বীয় মুখ ঢেকে ফেললেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রসূল! স্ত্রীলোকেরও আবার স্বপ্নদোষ হয় (পুরুষের ন্যায় বীর্যপাত হয়)। উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ। কি আশ্চর্য! (তা না হলে) তার সন্তান তার সদৃশ হয় কীভাবে?
(বুখারী ১৩০, মুসলিম ৩১৩,মিশকাতুল মাসাবিহ ৪৩৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
স্বপ্নদোষ স্বরণ থাকাবস্থায় যদি বীর্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। তাহলে গোসল ফরয হবে।
স্বপ্নদোষ স্বরণ থাকাবস্থায় যদি মযি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। তাহলেও গোসল ফরয হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি লজ্জাস্থানে বীর্য/মযি দেখতে পান,তাহলে গোসল ফরজ হবে।
আর যদি এটি ওদি হয় অথবা আপনি যদি সন্দেহে থাকেন,যে এটি বীর্য নাকি মযি নাকি ওদি?
তাহলে গোসল ফরজ হবেনা।
(০২)
আপনি সন্দেহে ছিলেন যে এটা বির্য নাকি সাদা স্রাব?
সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার উপর গোসল ফরজ হবেনা।
এটি সাদা স্রাবই ছিলো।
তাই আপনার ইশা ও ফজরের নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।
তবে উক্ত সাদা স্রাব যদি আপনার পরিহিত কাপড়ে এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি লাগে,সেক্ষেত্রে সেই কাপড়েই নামাজ পড়ে থাকলে নামাজ হবেনা।
পুনরায় উক্ত নামাজ গুলি আদায় করতে হবে।
তবে এক দিরহাম থেকে কম লাগলে নামাজ হয়ে যাবে।
(০৩)
এখানে আপনার ইচ্ছাকৃত নামাজ তরক কারীর সমান গুনাহ হবেনা।
(০৪)
প্রশ্নের বিবরন মতে ফরজ গোসল হয়েছে।
(০৫)
আপনি সালামা ফিরিয়েছিলেন।
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় আপনার মনের স্রেফ সন্দেহ মাত্র।
আপনার নামাজ হয়ে গিয়েছে।
(০৬)
মেয়ে সেই খাবার খেতে পারবে।
বাবার বাসায় থাকতে পারবে।
তবে তার বাবা যদি সেই ঋন হারাম টাকায় শোধ করেন,সেক্ষেত্রে উক্ত মেয়ে সেই সময়ে যেই পরিমান খাবার খেয়েছিলো,তার সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিবে।
আর যদি তার বাবা যদি সেই ঋন হালাল টাকায় শোধ করেন,সেক্ষেত্রে তার আর কোনো করনীয় নেই।