আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
151 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (24 points)
এই লিখা কি ঠিক আছে?? নাকি ভুল??
(১) ভুলগুলো উল্লেখ করুন।
ছেলেদের ঊরু (রান) গোপনীয় অঙ্গ বা আওরত নয়।

বুখারীর হাদীসে আনাস বিন মালিক থেকে বর্ণিত,

"আল্লাহর রাসুল খাইবার অভিযানে বের হয়েছিলেন। সেখানে আমরা খুব ভোরে ফজরের সালাত আদায় করলাম। অতঃপর নবী বাহনে সওয়ার হলেন। আবু তালহাও সওয়ার হলেন, আর আমি আবু তালহার পিছনে উপবিষ্ট ছিলাম। নবী তাঁর সওয়ারীকে খায়বারের পথে চালিত করলেন। আমার দুই হাঁটু নবীর ঊরুতে স্পর্শ করছিল। অতঃপর নবীর ঊরু হতে তার কাপড় সরে গেল। এমনকি আমি নবীর ঊরুর উজ্জ্বলতা দেখতে পেলাম, যা এখনো আমার চোখে ভাসে।"

ইবনে হাজার আসকালানী ফাতহুল বারীতে বলেন,

: " ومما احتجوا به – أي القائلون : بأن الفخذ ليس بعورة - قول أنس رضي الله عنه في هذا الحديث : ( وإن ركبتي لتمس فخذ نبي الله صلى الله عليه و سلم ) إذ ظاهره أن المس كان بدون الحائل ، ومس العورة بدون حائل لا يجوز ، وعلى رواية مسلم ومن تابعه في أن الإزار لم ينكشف بقصد منه صلى الله عليه وسلم ، يمكن الاستدلال على أن الفخذ ليست بعورة من جهة استمراره على ذلك ؛ لأنه وإن جاز وقوعه من غير قصد ، لكن لو كانت عورة لم يُقر على ذلك ؛ لمكان عصمته صلى الله عليه و سلم " انتهى من " فتح الباري

"ঊরুকে যারা আওরত মানেন না, তারা আনাসের এই হাদীস দিয়ে প্রমাণ পেশ করে থাকেন। যেখানে তিনি বলেছেন, আমার দুই হাঁটু নবীর ঊরু স্পর্শ করছিল। বাহ্যত এর অর্থ হচ্ছে, মাঝখানে কোন আবরণ ছাড়াই স্পর্শ করছিল। আর আওরত এমন অঙ্গ হয়, যা আবরণ ব্যতীত স্পর্শ করা জায়েজ নয়। মুসলিমের বর্ণনা ও তার অনুসরণে যারা বলেছেন যে, নবীর ঊরু ইচ্ছাকৃতভাবে উন্মুক্ত হয় নি, তাদের জন্য ঊরু আওরত নয় এটা আরেকভাবে প্রমাণ করা যায়। আর তা হল নবীজী তার ঊরু উন্মুক্ত অবস্থাতেই রেখে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ যদি অনিচ্ছায় উন্মুক্ত হয়েও যায়, তিনি একে উন্মুক্ত রেখে দিতেন না যদি ঊরু আওরত হিসেবে গণ্য হত। কেননা নবী নাজায়েজ কাজ অব্যাহত রাখা থেকে মাসুম।"

হ্যাঁ, এটা সত্য যে ঊরু উন্মোচন নিষেধ করে কিছু হাদীস পাওয়া যায়। তো প্রশ্ন হল এই সাংঘর্ষিক হাদিসগুলোর সমন্বয় কিভাবে করা হবে।

ইমাম ইবনে কুদামা তার আল-মুগনী কিতাবে বলেন,

وأرجح الأقوال عندي، والذي فيه العمل بجميع الأدلة، أن يقال: إن العورة منها ما هي عورة مغلظة يحرم كشفها وهما السوءتان، ومنها ما هي عورة مخففة يكره كشفها، وهما الفخذان، ولا فرق بين الصلاة وغيرها، ولا تبطل الصلاة بتعمد كشف الفخذين

"আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে শক্তিশালী মত, যার মাধ্যমে সকল দলিলের উপর আমল হয়, তা হল এমন বলা যে, আওরত বা গোপনীয়তা দুই প্রকার। আওরতে মুগাললাযা বা কঠোরভাবে গোপনীয়, যা প্রকাশ করা হারাম। এটা হল দুই লজ্জাস্থান। আরেকটা হল আওরতে মুখাফফাফা বা নমনীয় গোপনীয়তা, যা উন্মোচন করা দৃষ্টিকটু। এটা হল ঊরু। আর এই বিষয়ে নামাজের ভেতর কিংবা বাইরে কোন পার্থক্য নেই। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজে ঊরু উন্মোচন করলেও তার নামাজ ভাঙবে না।"

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনার উপস্থাপনায় বুঝা যাচ্ছে যে, আপনি আরবী বুঝেন,আপনি নিম্নের ফাতাওয়াটি পড়ে নিবেন।লাজনাতুত দায়িমাহ কর্তৃক প্রদত্ব জবাবে দলীল প্রমাণের ভিত্তিতে সাব্যস্ত করা হয়েছে যে, উরু ও সতরের অন্তর্ভুক্ত।
وقد سئل علماء اللجنة الدائمة : هل الفخذ عورة ؟
فأجابوا : " ذهب جمهور الفقهاء إلى أن فخذ الرجل عورة ، واستدلوا على ذلك بأحاديث لا يخلو كل منها عن مقال في سنده من عدم اتصاله ، أو ضعف في بعض الرواة ، لكنها يشد بعضها بعضا فينهض مجموعها للاحتجاج به على المطلوب ، ومن تلك الأحاديث ما رواه أبو داود وابن ماجه من حديث علي رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ( لا تبرز فخذك ولا تنظر إلى فخذ حي ولا ميت ) ، وما رواه أحمد والبخاري في تاريخه من حديث محمد بن جحش قال : ( مر رسول الله صلى الله عليه وسلم على معمر بن عبد الله وفخذاه مكشوفتان فقال : يا معمر غط فخذيك فإن الفخذين عورة ) ، ومنها ما رواه مالك في الموطأ وأحمد وأبو داود والترمذي من حديث جرهد الأسلمي قال : مر رسول الله صلى الله عليه وسلم ، وعلي بردة ، وقد انكشفت فخذي ، فقال : ( غط فخذك فإن الفخذ عورة ) حسنه الترمذي .
وذهب جماعة إلى أن فخذ الرجل ليست عورة ، واستدلوا بما رواه أنس رضي الله عنه ( أن النبي صلى الله عليه وسلم حسر الإزار عن فخذه حتى أنى لأنظر إلى بياض فخذه ) رواه أحمد والبخاري ، وقال ( أي : البخاري ) حديث أنس أسند ، وحديث جرهد أحوط .
وقول الجمهور أحوط ؛ لما ذكره البخاري ، ولأن الأحاديث الأولى نص في الموضوع وحديث أنس رضي الله عنه محتمل " انتهى من " فتاوى اللجنة الدائمة – المجموعة الأولى " ( 6 / 165 – 166 ) .


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...