এই লিখা কি ঠিক আছে?? নাকি ভুল??
(১) ভুলগুলো উল্লেখ করুন।
ছেলেদের ঊরু (রান) গোপনীয় অঙ্গ বা আওরত নয়।
বুখারীর হাদীসে আনাস বিন মালিক থেকে বর্ণিত,
"আল্লাহর রাসুল খাইবার অভিযানে বের হয়েছিলেন। সেখানে আমরা খুব ভোরে ফজরের সালাত আদায় করলাম। অতঃপর নবী বাহনে সওয়ার হলেন। আবু তালহাও সওয়ার হলেন, আর আমি আবু তালহার পিছনে উপবিষ্ট ছিলাম। নবী তাঁর সওয়ারীকে খায়বারের পথে চালিত করলেন। আমার দুই হাঁটু নবীর ঊরুতে স্পর্শ করছিল। অতঃপর নবীর ঊরু হতে তার কাপড় সরে গেল। এমনকি আমি নবীর ঊরুর উজ্জ্বলতা দেখতে পেলাম, যা এখনো আমার চোখে ভাসে।"
ইবনে হাজার আসকালানী ফাতহুল বারীতে বলেন,
: " ومما احتجوا به – أي القائلون : بأن الفخذ ليس بعورة - قول أنس رضي الله عنه في هذا الحديث : ( وإن ركبتي لتمس فخذ نبي الله صلى الله عليه و سلم ) إذ ظاهره أن المس كان بدون الحائل ، ومس العورة بدون حائل لا يجوز ، وعلى رواية مسلم ومن تابعه في أن الإزار لم ينكشف بقصد منه صلى الله عليه وسلم ، يمكن الاستدلال على أن الفخذ ليست بعورة من جهة استمراره على ذلك ؛ لأنه وإن جاز وقوعه من غير قصد ، لكن لو كانت عورة لم يُقر على ذلك ؛ لمكان عصمته صلى الله عليه و سلم " انتهى من " فتح الباري
"ঊরুকে যারা আওরত মানেন না, তারা আনাসের এই হাদীস দিয়ে প্রমাণ পেশ করে থাকেন। যেখানে তিনি বলেছেন, আমার দুই হাঁটু নবীর ঊরু স্পর্শ করছিল। বাহ্যত এর অর্থ হচ্ছে, মাঝখানে কোন আবরণ ছাড়াই স্পর্শ করছিল। আর আওরত এমন অঙ্গ হয়, যা আবরণ ব্যতীত স্পর্শ করা জায়েজ নয়। মুসলিমের বর্ণনা ও তার অনুসরণে যারা বলেছেন যে, নবীর ঊরু ইচ্ছাকৃতভাবে উন্মুক্ত হয় নি, তাদের জন্য ঊরু আওরত নয় এটা আরেকভাবে প্রমাণ করা যায়। আর তা হল নবীজী তার ঊরু উন্মুক্ত অবস্থাতেই রেখে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ যদি অনিচ্ছায় উন্মুক্ত হয়েও যায়, তিনি একে উন্মুক্ত রেখে দিতেন না যদি ঊরু আওরত হিসেবে গণ্য হত। কেননা নবী নাজায়েজ কাজ অব্যাহত রাখা থেকে মাসুম।"
হ্যাঁ, এটা সত্য যে ঊরু উন্মোচন নিষেধ করে কিছু হাদীস পাওয়া যায়। তো প্রশ্ন হল এই সাংঘর্ষিক হাদিসগুলোর সমন্বয় কিভাবে করা হবে।
ইমাম ইবনে কুদামা তার আল-মুগনী কিতাবে বলেন,
وأرجح الأقوال عندي، والذي فيه العمل بجميع الأدلة، أن يقال: إن العورة منها ما هي عورة مغلظة يحرم كشفها وهما السوءتان، ومنها ما هي عورة مخففة يكره كشفها، وهما الفخذان، ولا فرق بين الصلاة وغيرها، ولا تبطل الصلاة بتعمد كشف الفخذين
"আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে শক্তিশালী মত, যার মাধ্যমে সকল দলিলের উপর আমল হয়, তা হল এমন বলা যে, আওরত বা গোপনীয়তা দুই প্রকার। আওরতে মুগাললাযা বা কঠোরভাবে গোপনীয়, যা প্রকাশ করা হারাম। এটা হল দুই লজ্জাস্থান। আরেকটা হল আওরতে মুখাফফাফা বা নমনীয় গোপনীয়তা, যা উন্মোচন করা দৃষ্টিকটু। এটা হল ঊরু। আর এই বিষয়ে নামাজের ভেতর কিংবা বাইরে কোন পার্থক্য নেই। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজে ঊরু উন্মোচন করলেও তার নামাজ ভাঙবে না।"