আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
96 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
edited by
আমি আমার মায়ের কাছে জিজ্ঞেস করছি যে আমি কখনো তোমাকে জিজ্ঞেস করছি যে ছেলেটা আমাকে বৌ বলে ডাকছিল কিনা সে বলছে হ্যা তুমি জিজ্ঞেস করছিলা আমি বলছি তুমি কি উত্তর দিছিলা সে বলছে যা বলছিলাম তাই আমার ওতো মনে থাকে না। পরে আবার জিজ্ঞেস করায় সে বলছে যে প্রথমে বুঝতে পারে নাই  পরে বলছে না তুমিও বলনাই ঐ ছেলেও বলে নাই। প্রথম বার আন্দাযে বলছি। আমি এরকম প্রশ্ন পরে আমার মাকে জিজ্ঞেস করছিলাম যে ঐ ছেলে কখনো আমাকে বৌ বলে ডাকছে কি না এটা আমার মনে পড়তিসে না। হয়তো জিঙেস করছি সে বলছে ঐ ছে লে বৌ বলে নাই। আমার মনে হয় আমি জিিজ্ঞেস করছি ঐ ছেলে কখনো মিথ্যাস্বীকারোক্তি বা বিয়ে হইছে বলছে কিনা আমার মা বলছে না বলে নাই।

(১) শায়েখ এমন প্রশ্ন করার জন্য  আমার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সম্যসা হবে কি?
(২)কিন্তু এখন আমার মায়ের এমন কথা বলায়য় কোন সম্যসা হবে আমার বৈবাহিক জীবনে?

(৩) আমি বিয়ের আগে যাকে পছন্দ করতাম ভুল করে আসলে আমার মনে ছিল না আমি তার মায়ের  নামে আপনাদের i fatwa ওয়েবসাইট এ প্রশ্ন করার জন্য একটা একাউন্ট খুলে ফেলি। এর জন্য কি আমার এখন কার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সম্যসা হবে?

(৪) আমি বিয়ের আগে একবার ফেসবুকে পোস্ট করছিলাম প্রেম স্বর্গ থেইকা আইসা আমাকে ডোবায় ফেলাইছে। এই পোস্টে একজন কমেন্ট করছিল ধুর পাগলি  আমি থাকতে তোমায় ডুবতে দিবো নাকি।  আমি তাকে ইমোজি দিয়ে রিপ্লাই দিছিলাম। আমার পোস্ট এবং সেই ছেলের কমেন্ট এবং  আমি যে কোন ইমোজি দিয়ে রিপ্লাই দিলেও তো এখানে বিয়ে জাতীয় কিছু হতো না তাই না শায়েখ?  আমি ঐ ছেলে টাকে চিনিও না জানিও না।

( ৫) আরেকটা বিষয় আমি একবার ফেসবুকে পোস্ট করছিলাম সেই ছেলেকে কোনদিন বিয়ে করবো না যে নামাজ পড়ে না। একজন কমেন্ট করছিল দোয়া করি আল্লাহ কবুল করুন। আমি রিপ্লাই দিছিলাম ধন্যবাদ। এতেও তো বিয়ে জাতীয় কিছু হয় নাই  তাই না শায়েখ?  এই কমেন্ট কারী ব্যাক্তিকেও আমি চিনি না।
আমার জন্য দুআ করবেন প্লিজ। আল্লাহ আপনার জীবন নিয়ামতে পূর্ণ রাখুক আমিন।

৬) মেয়েটা নিজের নামের অর্থ ভাল না হওয়ায় হিন্দু নাম হওয়ায় নাম চেন্জ করতে চাইছিল তো বুশরা নামটা ঠিক করে৷ তার মা, সহপাঠী আর যেই ছেলেকে পছন্দ করতো তাকে বলে বুশরা নামে ডাকতে। ফেসবুকে বুশরা আনাম ইসলাম নামে আইডি খোলে ইসলাম নাম টা ছিল যে ছেলে পছন্দ করতো সেই ছেলের নামের সাথে বা তার নাম।   এখন ইজাব কবুল তো হয় নাই মেয়েটা  সেই ছেলের সাথে মিলিয়ে নাম রাখার জন্য বা বিয়ে হবে বা বিয়ে করবে তারা দুজন ভবিষ্যতে এমন ভাবনা থেকে নাম মিলিয়ে রাখলে ও তো  বিয়ে জাতীয় কিছু হয় না তাই না শায়েখ?
(৭) ছেলেটা বিয়ে হবে বা বিয়ে করবে তারা দুজন ভবিিষ্যতে এই  ভাবনা থেকে মেয়েটা নাম মিলিয়ে রাখছে এই ব্যাপারে  জানলেও তো বিয়ে হয় না তাই তো শায়েখ?   সামনাসামনি ইজাব কবুল হয় নাই।

৮) https://ifatwa.info/57329/ এই লিংকের ৪ নং প্রশ্ন টা করছিলাম। কিন্তু এখন শিওর আমি বিয়ে করবো বা বিয়ে হবে দুজনার এই নিয়তে আমার নিজেকে দেয়া নতুন নামের সাথে ঐ ছেলের নাম মিলিয়ে রাখিনি। লিংকে ৪ নং এ এমন প্রশ্ন করার জন্য কোন সম্যসা হবে কি আমার বৈবাহিক জীবনে?
(৯) ছেলেটাকে  শুধু বলছিিল বুশরা নাম রাখবে পুরনো হিন্দু নাম পাল্টায়ে এবং বুশরা নামে ডাকতে। এতে কি এখন মেয়েটার অন্য যাারর সাথে বিয়ে হইছে বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সম্যসা হবে কি?

৬নং এবং ৭ নং ওয়াসওয়াসা আসতেছিল। কিন্তু এখন শিওর  এমনিই নামের শেষে ছেলের ইসলাম নামটা মিলে গেছিল। সে ভবিষ্যতে বিয়ে হবে দুুজনার বা বিয়ে করবে এই নিয়তে নাম মিলিয়ে রাখে নাই। আর ছেলটাকে শুধু বুশরা নাম রাখবে পাল্টায়ে এবং বুশরা নামে ডাকতে বলছিল। এখানে কোন বিিয়ের নিয়ত ছিল না।

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/11771/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে টেলিফোনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
(০১)
এমন প্রশ্ন করার জন্য আপনার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
এখন আমার মায়ের এমন কথা বলায় আপনার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সমস্যা হবেনা।

(০৩)
এর জন্য আপনার এখন কার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সমস্যা হবেনা।

(০৪)
আপনার পোস্ট এবং সেই ছেলের কমেন্ট এবং আপনি যে কোন ইমোজি দিয়ে রিপ্লাই দিলেও এখানে বিয়ে জাতীয় কিছু হতো না।

(০৫)
এতেও তো বিয়ে জাতীয় কিছু হয়নি।

(০৬)
তারা দুজন ভবিষ্যতে এমন ভাবনা থেকে নাম মিলিয়ে রাখলেও বিয়ে জাতীয় কিছু হয় না।

(০৭)
এতেও বিয়ে জাতীয় কিছু হয়না।

(০৮)
লিংকে ৪ নং এ এমন প্রশ্ন করার জন্য আপনার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সমস্যা হবেনা।

(০৯)
এতে এখন মেয়েটার অন্য যার সাথে বিয়ে হইছে, বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...