আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
279 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (54 points)

আসসালামু আলাইকুম হুজুর। দয়া করে বিরক্ত হবেন না। আপনার কাছে একটি প্রশ্ন করেছিলাম এবং তারপর একটি ঘটনা ঘটে৷ সেই ঘটনাটি আমি  লিখেছি নিচে, দয়া করে ঘটনাটি দেখবেন কোন সমস্যা হবে কিনা সেই ঘটনার মাধ্যমে।  আমি কলে প্রশ্ন করলে বুঝিয়ে বলতে পারিনা তাই লিখে করলাম।


আপনার কাছে নিচের প্রশ্নটা করেছিলাম আপনি উত্তর দিয়েছিলেন, এই প্রশ্নটা উল্লেখ করলাম যাতে আপনি আমার ঘটনা টা বুঝতে পারেন। প্রশ্নের উত্তর চাইনা ঘটনাটার মাধ্যমে কোন সমস্যা হবে কিনা শুধু এইটুকু বলবেন। এইটাই আমার শেষ প্রশ্ন।

 এই প্রশ্নের পরেই ঘটনা ঘটে, প্রশ্নটি লিখলাম বুঝার জন্য শুধু। ((কোন স্ত্রী যদি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয় এটা বলে যে তাদের মধ্যে তালাক হয়ে গেছে, কিন্তু সে বলেনি নিজের উপরে নিয়েছে কিনা। এবং যদি ভুলে যায় বলার সময় স্বামী তাকে দিয়েছে বলে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়েছে নাকি নিজের কথা ভেবেছে তাহলে হুকুম কি?স্বামীর কথা বলে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিলে নাকি হয়না, তাই জানার জন্য প্রশ্ন করলাম।))  

এই প্রশ্নের উত্তর আমি পেয়েছি। তারপর একটি ঘটনা ঘটে।

 

ঘটনাঃ-#আমি মনে মনে ভাবতে থাকি আমিতো নিজেকে নিয়ে লিখিনি প্রশ্নে, লিখেছি কোন স্ত্রী যদি,,,,এইভাবে।   আর নিজেকে নিয়ে যদি লিখতাম তাও তো মনে হয় মিথ্যা স্বীকারোক্তি হতো না কারন আমি লিখেছিলাম  "যদি সে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়, বা যদি সে ভুলে যায় "।আমি ভাবছিলাম "যদি" বললে   তো মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে না মনে হয়। তারপর আমি মনে মনে ভাবি যদি নিজেকে নিয়েও বলতাম তাহলে লিখতাম,,তারপর এইটুকু কথা আমি মুখে বলে ফেলি আর ভয় পেয়ে যাই, "যদি আমি ভুলে যাই,,,এইখানে তো যদি বলেছি/(এইখানে তো যদি লিখেছি) এই দুইটা কথার মধ্যে যেকোনো একটা বলেছি কিন্তু মনে করতে পারছি না এইখানে তো যদি লিখেছি  বলেছি কিনা। 

#এখন আমার মুখে বলে ফেলা এইটুকু কথা বলার জন্য কি আমার করা প্রশ্নটা আমার উপর চলে আসবে বা মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে?? প্রশ্নে আমি নিজেকে বুঝাইনি কিন্তু পরে ভাবতে গিয়ে মুখে এইটুকু কথা চলে আসে৷ 

দয়া করে প্রশ্নটার উত্তর দিবেন।  আমি জানিনা বুঝিয়ে বলতে পারলাম কিনা। দয়া করে বিরক্ত হবেন না।

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো তালাক হবেনা 
আপনার উপর তালাক পতিত হবেনা।
তালাক বিষয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবেনা। 
আপনি নিশ্চিত থাকুন,কোনো সমস্যা হয়নি।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...