আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
223 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
শায়েখ আসসালামু আলাইকুম। আমি যখন থেকে শুনছিলাম যে দুজন সাক্ষীর সামনে কবুল বললে বিয়ে হয়ে যায়। তখন থেকে ওয়াসওয়াসা শুরু হয় আমার। তারপর ঐ ছেলের সাথে মাকে দিয়ে যোগাযোগ করাই আমি সিওর ছিলাম যে এমন কোন কিছুই হয়নি। সেই ছেলেও বলছে এমন কিছুই হয়নাই। তারপরও আমার মাকে বার বার প্রশ্ন করছি আম্মু ও কি মিথ্যা সিকারোক্তি মুলক কিছু বলছে কিনা কারণ আমি ১০০% সিওর এমন কোন কিছু হয় নাই এগুলো সব ওয়াসওয়াসা আম্মুও বলছে যে ঐ ছেলেটা মিথ্যা সিকারোক্তি ও দেয় নাই। সে বলছে এমন কিছু হয় নাই। কিন্তু তারপর আম্মু আমার বার বার প্রশ্ন শুনে বিরক্ত হয়ে বলছে, ' আগে ও মিথ্যাসিকারোক্তি দেয় নাই কিন্তু এখন ওর কাছে ফোন দিলে কিন্তু মিথ্যা বলবেনে। নিছক বিরক্ত হয়েই কথাটা বলছে।  আমার অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হইছে আর আমি সুখেও আছি আলহামদুলিল্লাহ এখন আম্মুর নিছক এমন বিরক্তি কর কথা বলার দ্বারা আমার সংসারে কি কোন প্রভাব(তালাক বা অন্যকিছু) পড়বে? আম্মু  যদি ছেলেটা খারাপ বেয়াদব বা শয়তান ও এমন কথা বলতে পারে এই অনুমান নিয়ে কিছু বলে তাহলেও কি আমার সংসারে কোন সম্যসা হবে?  আমি ১০০% সিওর ঐ ছেলের সাথে সাক্ষী রেখে কখনো এমন কোন কিছু হয় নাই। সে ত মিথ্যা কথাও বলে নাই আর আম্মুও বলছে নিছক বিরক্তি নিয়ে বলছে। বার বার প্রশ্ন করতেছিলাম তাই বা অনুমান করে বললে? আর একটা কথা আম্মু বলছে তুই সারা জায়গায় কথা বলছিস আর দায় ভার এখন আমার এটাও বিরক্তি নিয়ে বলছে এটাতেও কিছু হবে কিনা?

(২)

ওয়াসওয়াসা কি জ্বীনের সম্যসা হতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/11771/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আম্মুর এমন কথাগুলি বলার দ্বারা আপনার সংসারে কোন প্রভাব(তালাক বা অন্যকিছু) পড়বেনা।

আপনি টেনশন মুক্ত থাকুন।

ঐ ছেলেও যদি মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়,তবুও আপনার বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা হবেনা।
বিবাহ এতো সহজ বিষয় নয় যে কেউ মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিলেই বিবাহ হয়ে যাবে।

সুতরাং আপনি টেনশন মুক্ত থাকুন।
আপনার মায়ের কথায় এবং ঐ ছেলের কোনো কথায় বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
জানা মতে জ্বীনের সমস্যা হতে পারেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...