জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
যদি নামাজ পড়ার মধ্যেই ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়, তাহলে তার ফরজ নামাজ আদায় হবেনা।
পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।
তবে ঐ দিনের আছরের নামাজ পড়তে পড়তে যদি সূর্য ডুবে যায়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/১৮৭)
উকবা বিন আমের জুহানী রাযি. বলেন,
ثَلاثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ أَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا : حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ الشَّمْسُ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ
তিনটি সময়ে রাসুল ﷺ আমাদেরকে নামাজ পড়তে এবং মৃতের দাফন করতে নিষেধ করতেন। সূর্য উদয়ের সময়; যতোক্ষণ না তা পুরোপুরি উঁচু হয়ে যায়। সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময় থেকে নিয়ে তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া পর্যন্ত। যখন সূর্য অস্ত যায়। (সহীহ মুসলিম ১৩৭৩)
وغروب إلا عصر یومہ فلا یکرہ فعلہ لأدائہ کما وجب بخلاف الفجر۔
(درمختار مع الشامي ۲؍۳۲، ہدایۃ ۱؍۱۳۰، الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۲؍۱۴رقم: ۱۵۱۷ زکریا)
সারমর্মঃ তবে সেই দিনের আছরের নামাজ,সেই নামাজ আদায় করা মাকরুহ নয়।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আছর সালাতের নিষিদ্ধ সময়ে শুরু করলে সেই দিনের আসর হলে তাহা আদায় হয়ে যায়।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার কোনো আসরের সালাত এর কাজা আদায় করতে হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০২)
আসরের পর নিষিদ্ধ ওয়াক্তে কোনো কাজা নামাজ আদায় করে থাকলে সেক্ষেত্রে সেই কাজা নামাজ গুলি আদায় হয়নি।
পুনরায় তাহা আদায় করতে হবে।
যদি হিসাব মনে না থাকে,তাহলে প্রবল ধারনার ভিত্তিতে আনুমানিক একটি হিসাব নির্দিষ্ট করে সেই নামাজ গুলির পুনরায় কাজা আদায় করে নিবেন।