আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
83 views
in সালাত(Prayer) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায

আমার মাসিক শুরু হওয়ার পরে ব্লিডিং শেষ হয় ৫ম দিনের দিকে। ষষ্ঠ, ৭ম দিন সাদা টিসু দিয়ে চেক করলে দেখি খয়েরি কালার পদার্থ তখনও দেখা যাচ্ছে তখন ধরে নিই যে এখনো নামায পড়ার অবস্থা আসে নি।এজন্য ৮ম দিনে যখন দেখি একদম টিসু দিয়ে চেক করলে ক্লিয়ার আসে তখন থেকে নামাজ পড়ি ফরজ গোসল দিয়ে। আমি এবার দেখলাম ৭ম দিন যোহর এর পরে টিসু দিয়ে চেক করলে তখনও খয়েরী আসে তারপর আমি গোসল করি সাধারণ ভাবে ভেবে নিলাম এখনো ভালো হয় নি।কিন্তু মাগরিবের ওয়াক্তে চেক করলে দেখি টিসু ক্লিয়ার।তারপর এশার ওয়াক্তে ফরজ গোসল দিয়ে আসর,মাগরিব,এশা পড়ে নিই।আমার প্রশ্ন হলো এর আগের মাস গুলো তে মাসিক ৭ম দিন পর্যন্ত ধরেছিলাম ৮ম দিনে যোহর থেকে নামাজ পড়েছিলাম। কিন্তু আমার গাফেলতির কারণে বা রাতে গোসলের ভয়ে সন্ধ্যা বা রাতে চেক দিতাম না, ভেবে নিতাম ৮ম দিনেই একদম ক্লিয়ার হয় সেদিন থেকেই নামাজ শুরু করব।কিন্তু আমার মনে হচ্ছে ৭ম দিন আসর থেকে বা মাগরিব থেকে আসলে আমার নামাজ পড়া উচিত ছিল।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে ৭ম দিন থেকে নামাজ শুরু না করার জন্য সেই নামাজ গুলো কি কাজা হয়েছে??এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি???কত গুলো নামাজ কাজা সেটাও বুঝতে পারছি না। টিসু চেক ছাড়া শেষ এর দিকে মাসিক একদম শেষ কিনা বুঝা যায় না, খুব ককনফিউশান কাজ করে, এজন্য নামাজ পড়ব কোন ওয়াক্ত থেকে সেটা নিয়েও প্রব্লেম এ পড়তাম,ওর সমাধান কি??

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَلِيٌّ، - يَعْنِي ابْنَ مُسْهَرٍ - عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتْ عَائِشَةَ أَتَقْضِي الْحَائِضُ الصَّلاَةَ إِذَا طَهُرَتْ قَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ كُنَّا نَحِيضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَطْهُرُ فَيَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ يَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ .

আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... মুআযা আদাবীয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক মহিলা আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করল যে, ঋতুবতী মহিলা যখন ঋতু থেকে পবিত্র হবে তখন কি সে সালাত কাযা করবে? তিনি বললেন, তুমি কি হারুরী গোত্রের মহিলা? আমরা তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ঋতুবতী হতাম এবং যখন পবিত্র হতাম তখন আমাদেরকে সাওম কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হল কিন্তু সালাত কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত না।
(নাসায়ী শরীফ ২৩২০।)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি প্রবল ধারনার উপর ভিত্তি করে পূর্বের প্রত্যেক ৭ম দিনের আছর+মাগরিব+ইশা ৮ম দিনের ফজর নামাজের কাজা আদায় করবেন।

প্রবল ধারনার ভিত্তিতে নামাজগুলির সংখ্যা নির্দিষ্ট করে সেগুলোর কাজা আদায় করবেন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...