আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in সালাত(Prayer) by (9 points)


(no subject)

Inbox

image

 

8:03 PM (9 minutes ago)

 

 

আস্সালামু'আলাইকুম ওয়া র'হমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ,

 

আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুন শাইখ, আপনি আমাদের এতো এতো প্রশ্নের উত্তর দেন।

 

শাইখ আমার নামাযে প্রচুর ওয়াসওয়াসার সমস্যা। ৪ রাকাত নামাজ পড়তে ইদানিং প্রায় ৩০ মিনিট লাগছে।

সমস্যাগুলো হলো :

 

১. তাকবীরে তাহরিমা দেই কিন্তু মনে হয় দেই নাই।তাই কিছু দূর আগানোর পর অর্থাৎ সানা বা সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর আবার নামাজ ভেঙ্গে তাকবীর দিয়ে সালাত শুরু করি।

 

২. সূরা ফাতিহা পড়ি কিন্তু মনে হয় পড়ি নাই, তাই আবার পড়ি।

 

৩. রুকু দেই মনে হয় দেই নাই।তাই আবার দেই। প্রত্যেক রাকাতে একই ঘটনা।

 

৪. সিজদাহ ২ বার দেয়ার পর মনে হয় ১ বার দিসি। তাই আবার একটা সিজদাহ দেই। মাঝে মাঝে মনে হয় ২ টা সিজদাহ দেই নাই, তাই পুনরায় ২ টা সিজদাহ দেই।

 

৫. তাশাহুদ পড়ি অনেক মনোযোগ দিয়ে, তারপর দরূদ শরীফ পড়তে পড়তে মনে হয় তাশাহুদ পড়া হয় নাই। তাই আবার পড়ি।

 

৬. নামাজ শেষে সিজদা সাহু দেই সেটাও মনে থাকে না সালাম ফিরানোর পর।তখন আবার সাহু সিজদাহ দিয়ে সালাম ফিরাই।

 

 ৭. সালাম ফিরানোর ব্যাপারটাও মনে থাকে না , তাই আবার সালাম ফিরাই। মনে হয় সালাম মুখে উচ্চারন করি নাই, তাই বারবার আওড়াই।

 

৮. রাকাত সংখ্যা মনে থাকে না, মনে হয় ৪ রাকাত পড়া হয়েছে, কিন্তু তারপরও কম সংখ্যক ধরে ৫ রাকাত সালাত আদায় করি। মনে হয় সালাত শেষে যদি মনে হয় ১ রাকাত কম পড়েছি, তখন তো আবার সালাত আদায় করতে হবে।

প্রত্যেক ওয়াক্তে একই সমস্যা। আমি জানি আদায় করা হয়েছে, তারপরও মনে হয় আদায় করি নাই। মনে হয় নামাজ হবে না, ফরজ ছুটে গেলে। তাই রোকন গুলো double double আদায় করি।(ami jore jore kirat o ruku sijda er tosbi  pori tarpor o mone thake na)

- এই সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় কি?

- এভাবে ওয়াসওয়াসার কারণে double double রোকন আদায় করলে কি সালাত হবে?

- এতদিন কি আমার সালাত আদায় হয়েছে?

 

------------------------------------

শাইখ, আমার এই link এর প্রশ্নগুলোর উত্তর এখনও হয়তো কোনো কারণে দেয়া হয় নি,২ মাসের বেশি হয়ে গেছে,দিলে মুনাসিব হতো শাইখ।জাযাকাল্লাহ খাইর।

 

https://ifatwa.info/57010/?show=57085#a57085

image

 

1 Answer

0 votes
by (676,800 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


আপনি যেহেতু নামাজ শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করেছেন,সুতরাং আপনার এতোদিনের নামাজ আদায় হয়েছে।

তবে এই ওয়াসওয়াসা থেকে আপনাকে বের হতে হবে।
এটি অসুস্থতার দিকে এগোচ্ছে। 
,
আপনি এই ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবেননা,তাহলেই ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে। 

যে কোনো ওয়াসওয়াসার প্রধান চিকিৎসা এটাই যে, একে গুরুত্ব না দেয়া।  কেননা, এটা মূলত শয়তানের কাজ। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,

إِنَّمَا النَّجْوَىٰ مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيْسَ بِضَارِّهِمْ شَيْئًا إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ

এই ওয়াসওয়াসা তো শয়তানের কাজ; মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার দেয়ার জন্যে। তবে (এই ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করে) সে মুমিনদেরকে চুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে না, আল্লাহর হুকুম ছাড়া। মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপর ভরসা করা। (সূরা মুজাদালাহ ১০)

কিছু পরামর্শঃ-

আপনাকে এমন ভাবে নামাজ পড়তে হবে যেনো আমি আল্লাহ তায়ালার সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছি। আর আল্লাহ তায়ালা নামাজ পড়া দেখছেন। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

قَالَ مَا الإِحْسَانُ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ".

‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮)
 
অন্য এক হাদীসে এসেছে-

ثُمَّ قَالَ مَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ نَفْسَهُ فِيهِمَا بِشَيْءٍ إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে সুন্দরভাবে অজু করে, অতঃপর মন ও শরীর একত্র করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে (অন্য বর্ণনায় এসেছে যে নামাজে ওয়াসওয়াসা স্থান পায় না) তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়)। ’ (নাসাঈ, হাদিস : ১৫১; বুখারি, হাদিস : ১৯৩৪)

★কিরাআত, তাসবিহ,তাকবির,তাশাহুদ,দরুদ ইত্যাদি পড়ার সময় নিজের কানে আসে,এমন আওয়াজে জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করুন।

নামাজে ‘হুজুরে দিল’ বা একাগ্র থাকা; এটি নামাজের প্রাণ। এমনভাবে নামাজ পড়তে হবে যেন আল্লাহ আমাকে দেখছেন। 

নামাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই কল্পনা ধরে রাখার অনুশীলন করুন যে ‘আল্লাহ আমাকে দেখছেন’। এভাবে অনুশীলনের মাধ্যমে নামাজ শেষ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন।

নামাজে যা কিছু পাঠ করা হয়, তা বিশুদ্ধ উচ্চারণে পড়ার চেষ্টা করুন। এটি অন্তরের উপস্থিতিকে আরো দৃঢ় করে।

নামাজে  দাঁড়িয়ে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করুন। ভাবুন, এই নামাজই হয়তো বা আপনার জীবনের শেষ নামাজ।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...