জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো আল্লাহ তায়ালা ব্যাতিত কাহারো সেজদাহ করা জায়েজ নেই।
এই জন্য কুরআন মাজিদ (পান্ডুলিপি) কেউ সেজদাহ করে জায়েজ নেই।
যদিও মুহাব্বতের নিয়তে করুক,তারপরেও এটি নাজায়েজ।
,
তবে কুরআন কারীমকে মুহাব্বতের নিয়তে কপালে লাগানো,মুখে লাগানোর অনুমতি রয়েছে।
তারপরেও সেক্ষেত্রে এই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি ,যে কুরআন শরিফ সামনে উপরে উঁচু করে কপালে লাগাবে,মুখে লাগাবে।
কুরআন কারিমের সামনে মাথা ঝুকিয়ে কপালে লাগানো যাবেনা।
রেহালের উপর রাখিয়া ঝুকে চুম্বন করা উচিত নয়।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ ৩/৫৩৩)
তবে কিছু উলামায়ে কেরামগন এমনটি করাকেও নাজায়েজ বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
سنن ابن ماجه :
"عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ: لَمَّا قَدِمَ مُعَاذٌ مِنْ الشَّامِ سَجَدَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فقَالَ: "مَا هَذَا يَا مُعَاذُ؟ " قَالَ: أَتَيْتُ الشَّامَ فَوَافَقْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِأَسَاقِفَتِهِمْ وَبَطَارِقَتِهِمْ، فَوَدِدْتُ فِي نَفْسِي أَنْ نَفْعَلَ ذَلِكَ بِكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "فَلَا تَفْعَلُوا، فَإِنِّي لَوْكُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِغَيْرِ اللَّهِ، لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا... الحديث". (3/ 59ط:دار الرسالة العلمية)
যার সারমর্ম হলো হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ শাম থেকে আসার পর রাসুল সাঃ কে মুহাব্বতের তাগীদে সেজদাহ করেছিলেন, রাসুল সাঃ সেটা থেকে নিষেধ করেছিলেন।
বলেছেন আমি কাউকে আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কাহারো সেজদাহ করার আদেশ করি,তাহলে স্ত্রীদেরকে বলবো স্বামীকে সেজদাহ করতে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
وفي الدر المختار وحاشية ابن عابدين:
"وفي القنية في باب ما يتعلق بالمقابر: تقبيل المصحف قيل: بدعة؛ لكن روي عن عمر - رضي الله عنه - أنه كان يأخذ المصحف كل غداة ويقبله ويقول: عهد ربي ومنشور ربي عز وجل، وكان عثمان - رضي الله عنه - يقبل المصحف ويمسحه على وجهه". (6/384 ط:سعید)
কেহ কেহ কুরআন শরিফ মুখে লাগানো,চুমো দেওয়া কেহ কেহ বিদআত বলেন।
কিন্তু ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত আছে যে তিনি প্রত্যেহ সকালে কুরআন শরিফ চুমো দিতেন।
وفي حاشية إبن عابدين :
"وفي الملتقط: التواضع لغير الله حرام".(6/384 ط:سعيد)
আল্লাহ তায়ালা ব্যাতিত অন্য কাহারো সামনে মাথা নুত করা হারাম।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উপরের পদ্ধতি অনুপাতে কুরআন শরিফ কপালে লাগানো,মুখে লাগানো যাবে।
,
তবে কুরআন শরিফকে কোনোভাবেই সেজদাহ করা যাবনা।